ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভোলায় সংঘর্ষ

মামলায় আসামি ৬শ’ ॥ চার পুলিশ সাময়িক বরখাস্ত

প্রকাশিত: ০৩:৪৮, ২৯ মে ২০১৬

মামলায় আসামি ৬শ’ ॥ চার পুলিশ সাময়িক বরখাস্ত

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভোলা, ২৮ মে ॥ ভোলা সদরের রাজাপুর ইউনিয়নের জনতা বাজারে আগামী ধরাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ পুলিশ ক্যাম্পে হামলাসহ রোম্মান নামে এক যুবক নিহতের ঘটনায় শুক্রবার রাতে ভোলা থানায় সুনির্দিষ্টভাবে ৩ জনসহ অজ্ঞাত ৫/৬শ’ লোকের নামে পুলিশ মামলা দিয়েছে। আর ওই মামলায় পুলিশের গুলিতে নিহত যুবক রোম্মানকেও আসামি করা হয়েছে। অথচ সংঘর্ষ হামলার ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত একাধিক মামলার আসামি নাসির সর্দারকে গ্রেফতার করা হলেও তাকে পুলিশ এ্যাসল্ট মামলায় আসামি না করে অন্য মামলায় চালান দেয়া হয়েছে। এদিকে দায়িত্বে অবহেলার কারণে পুলিশের কনস্টেবল আমিনুল, আসাদুজ্জামান, রাজিব এবং আলালকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অপরদিকে দু-একদিনের মধ্যে জনতা বাজার থেকে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প প্রত্যাহারের সম্ভাবনা রয়েছে বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে। স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, গত মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময় ভোলার রাজাপুর ইউনিয়নে ১০/১২টি মামলা হয়। তার মধ্যে মামলা নং ৬৬/১৬ ও ৬৪/১৬ এর আসামি রাজাপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ও শিক্ষক মিজানুর রহমানকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর রাজাপুরের জনতা বাজারের সাদা পুলিশ গ্রেফতার করে প্রকাশ্যে মারধর করে অস্থায়ী ক্যাম্পে নিয়ে যায়। এতে করে এলাকার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে এর প্রতিবাদ জানিয়ে ক্যাম্প থেকে মিজানুর রহমানকে ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ বাধে। স্থানীয়রা পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্পে হামলা চালায়। এ সময় যে বাড়িতে পুলিশ ক্যাম্প করা হয় সেই বাড়ির মালিক একাধিক মামলার আসামি এলাকার ত্রাস নাসির সর্দার পুলিশের পক্ষ নিয়ে গ্রামবাসীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। ভোলা থানার ওসি মীর খায়রুল কবির জানান, এ সময় পুলিশের একটি অস্ত্র ছিনতাই করা হয়। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ গুলি ছোঁড়ে। পরে তাদের অস্ত্র তারা উদ্ধার করে। এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ পুলিশের অস্ত্র ছিনতাই করে নাসির সর্দারের গুলিতে রোম্মান নিহত হয়। টেকনাফে আনসার ক্যাম্পে হামলায় গ্রেফতার ৬ স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ আনসার ক্যাম্পে হামলা ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় বনের রাজাখ্যাত রোহিঙ্গা ডাকাত আবদুল হাকিমের সহোদর নজির ও শ্বশুর জহিরসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে বিজিবি। শনিবার ভোরে টেকনাফের জালিয়াপাড়া ও পুরাতন পল্লানপাড়া এলাকায় বিজিবি সদস্যরা এ অভিযান চালায়। আবদুল হাকিম ও হোসেন ওরফে রফিক ওরফে ডাকাত রফিকের নেতৃত্বে রোহিঙ্গা জঙ্গীগোষ্ঠী টেকনাফে আনসার ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছে বলে তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা। এদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত রেখেছে প্রশাসন। কুতুপালং ও নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্প ঘেরাও করে অভিযান চালানো হয়েছে। নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের আরএসও ক্যাডার হোসেন ওরফে রফিক, খাইরুল আমিন, আবদুল হাকিম, শীলবনিয়া পাড়ায় বসবাসকারী সাবেক আরএসও ক্যাডার আবদুল গফ্ফার, রোহিঙ্গা দস্যু রশিদুল্লাহ, দোস্ত মোহাম্মদ, হারুন ও জহিরকে গ্রেফতার করা গেলে ঘটনার রহস্য উদঘাটন সম্ভব হবে বলে জানা গেছে। রোহিঙ্গা ডাকাত রফিক ও আবদুল হাকিমের নেতৃত্বে শালবাগান আনসার ক্যাম্পে যে এ হামলা চালানো হয়েছে তা বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব ও সরকারী একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা নিশ্চিত করেছে।
×