ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রেলের ছয় শ’ কোয়ার্টার ভূমিদস্যুদের কবলে

প্রকাশিত: ০৩:৪৬, ২৯ মে ২০১৬

রেলের ছয় শ’ কোয়ার্টার ভূমিদস্যুদের কবলে

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ পার্বতীপুর রেলওয়ের ১ হাজার ৩শ’ ৯৬টি কোয়ার্টারের মধ্যে ৬শ’টি চলে গেছে অবৈধ দখলে। রেলওয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তা আর স্থানীয় মস্তানদের নিয়ন্ত্রণে মোটা অঙ্কের টাকায় দীর্ঘদিন ধরে হাতবদল হচ্ছে এসব কোয়ার্টার। এখন চলছে এসব কোয়ার্টারের চারপাশের ফাঁকা জায়গা দখলের প্রতিযোগিতা। রেল প্রশাসন এসব দেখেও না দেখার ভান করে আছে। এ ব্যাপারে রেলওয়ের ভূমি অধিদফতর ফিল্ড কানুনগো মনোয়ার হোসেন বলেন, রেল কর্মকর্তা-কর্মচারীর আবাসন সমস্যা নিশ্চিত করতে ছোট-বড় মিলে কোয়ার্টার রয়েছে ১ হাজার ৩শ’ ৯৬টি। এর মধ্যে ৬০০টি কোয়ার্টার এখন ভূমিদস্যুদের দখলে। কোন রেল কর্মচারী বাসা ছেড়ে দিলে, স্থানীয় মস্তানরা আইডব্লিউ অফিসকে ম্যানেজ করে সঙ্গে সঙ্গে বাইরের লোকজনকে উঠিয়ে দেয় কোয়ার্টারগুলোতে। ব্রিটিশ আমলের জরাজীর্ণ কোয়ার্টারগুলোতে রেল কর্মচারীরা থাকতে চান না। তাছাড়া ভাড়া বেশি হওয়ায় কর্মচারীরা অল্প খরচে উঠছেন বাইরের ভাড়া বাসায়। অথবা নিজ কোয়ার্টারকে পরিত্যক্ত দেখিয়ে নিজেও হয়ে যাচ্ছেন অবৈধ দখলদার। যদিও রেল কর্তৃৃপক্ষ সেগুলোকে পরিত্যক্ত বলতে চান না। তাছাড়া বিশাল রেল এলাকার কোয়ার্টারগুলো স্বল্প জনবল দিয়ে সিলগালা করেও আটকানো সম্ভব হয় না। অনেক রেল কর্মচারী বরাদ্দ ছাড়াই অবৈধভাবে রেলের কোয়ার্টারে অবস্থান করছেন যুগ যুগ ধরে। দখলে যাওয়া অনেক কোয়ার্টারে চলছে মাদকসহ নানা অসামাজিক কার্যকলাপ। তাদের অত্যাচারে এখন রেল কর্মচারীরাই কোনঠাসা। রেল কলোনিগুলোর মধ্যে হলদীবাড়ি রেল কলোনির ১৬৩টি কোয়ার্টারের সবই অবৈধ দখলদারদের হাতে। অথচ সেখানেও বাস করছেন অনেক রেল কর্মচারী। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কয়েক রেল কর্মচারী বলেন, এখন চলছে কোয়ার্টারের চারপাশের ফাঁকা জায়গা দখলের হিড়িক। ফাঁকা জায়গা পেলেই দখলকারীরা কাঁচা অথবা পাকা ঘর তুলে বিক্রি করে দিচ্ছে। অবৈধ দখলে থাকা কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রেলের এসব কোয়ার্টার বসবাস অনুপযোগী। যারা আছেন, সবাই হাজার হাজার টাকা খরচ করে বাসাগুলো সংস্কার করে বাস করছেন। তা না হলে এসব কোয়ার্টারের ইট পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যেত না। ফাঁসির আসামি মীর কাশেমের সঙ্গে স্ত্রী সন্তানের দেখা নিজস্ব সংবাদদাতা, গাজীপুর, ২৮ মে ॥ মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধের মামলায় ফাঁসিতে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামি জামায়াত নেতা মীর কাশেম আলীর সঙ্গে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে তার স্ত্রী, মেয়ে, ছেলে ও পুত্রবধূরা শনিবার দেখা করেছেন। এটি তাদের নিয়মিত সাক্ষাত বলে জানিয়েছেন কারা কর্তৃপক্ষ। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর জেলার নাশির আহমেদ জানান, মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধের মামলায় ফাঁসিতে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত জামায়াত নেতা ব্যারিস্টার মীর কাশেম আলী এ কারাগারের ৪০ নম্বর কনডেম সেলে বন্দী আছেন। মীর কাশেম আলীর সঙ্গে সাক্ষাত করার জন্য তার স্ত্রী খন্দকার আয়শা খাতুন, ছেলে মীর আহমেদ বিন কাশেম, মেয়ে তাহেরা তাসমিন ও সুমাইয়া রাবেয়া এবং পুত্রবধূ সায়েদা তাহমিদা শনিবার বেলা ১১টার দিকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ এসে আবেদন করেন। পরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের মীর কাশেম আলীর সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা হয়।
×