ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সামনে রোজা, পাইকারি বাজার প্রস্তুত ॥ পাঁচ পণ্য বেচবে টিসিবি

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ২৮ মে ২০১৬

সামনে রোজা, পাইকারি বাজার প্রস্তুত ॥ পাঁচ পণ্য বেচবে টিসিবি

হাসান নাসির, চট্টগ্রাম অফিস ॥ রমজান সামনে রেখে আমদানি ও মজুদ বাড়িয়ে প্রস্তুত হচ্ছে ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার। বেড়েছে ছোলা, মসুর ডাল, খেজুরসহ বিভিন্ন ধরনের রোজার পণ্যের আমদানি। চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস হচ্ছে খাদ্যপণ্য, যা সড়ক ও অভ্যন্তরীণ জলপথে পৌঁছে যাবে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। এদিকে, রোজায় অত্যাবশ্যকীয় বিবেচনায় দেড় হাজার টন ছোলা আমদানি করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। চট্টগ্রাম বন্দরে আসা এ চালানের খালাস কাজ কয়েকদিনের মধ্যেই সম্পন্ন হবে। রমজানে ভোগ্যপণ্য নিয়ে উৎকণ্ঠা থাকলেও বাজারে কোন সঙ্কট নেই বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন ট্রেড বডির নেতৃবৃন্দ ও খাদ্য আমদানিকারকরা। টিসিবি সূত্রে জানা যায়, রোজায় চাহিদা বিবেচনায় রেখে এবার অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানি করা হয়েছে দেড় হাজার টন ছোলা। ইতোমধ্যে সে চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছার পর খালাস কাজও শুরু হয়ে গেছে। বেশ দ্রুত চলছে পণ্য খালাস। কারণ, রমজান শুরু হতে খুব বেশি দিন হাতে নেই। এর মধ্যেই পণ্য খালাস করে তা পৌঁছে দিতে হবে দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা টিসিবির খাদ্য গুদামগুলোতে। বন্দর সূত্রে জানা যায়, রমজান এসে পড়ায় খাদ্যপণ্যগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খালাসের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বিশেষ করে টিসিবির আমদানি করা ছোলা খালাস ও পরিবহন নিশ্চিত করতে সরকারের নির্দেশে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কাস্টমস ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। টিসিবি কর্তৃপক্ষ ছোলা ছাড়াও চিনি, মসুর ডাল, ভোজ্য তেল ও খেজুর বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় জেলা শহরে অস্থায়ী বিক্রয় খুলে রোজার খাদ্যপণ্য বিক্রি করা হবে। টিসিবি চট্টগ্রামের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, রোজায় সারাদেশে ভোগ্যপণ্য বিক্রির কাজে নিয়োজিত থাকবে ১৭৯টি ট্রাক। এর মধ্যে ঢাকায় ৩২টি ও চট্টগ্রামে ১০টি ট্রাকে পণ্য বিক্রি করা হবে। অন্য বিভাগীয় শহরগুলোতে ৫টি করে এবং জেলা শহরগুলোতে দুটি করে ট্রাক পণ্য বিক্রির কাজে নিয়োজিত থাকবে। ভ্রাম্যমাণ এ বিক্রয় কেন্দ্রগুলোতে বিক্রি করা হবে চিনি, ডাল, ছোলা, সয়াবিন ও খেজুর। টিসিবির পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতিকেজি চিনি ৪৮ টাকা, সয়াবিন তেল ৮০ টাকা, মসুর ডাল ৯০ টাকা, খেজুর ৯০ টাকা ও ছোলা ৭০ টাকা। প্রতি ক্রেতা একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৪ কেজি চিনি, ৫ লিটার তেল, ২ কেজি মসুর ডাল, ৫ কেজি ছোলা ও ১ কেজি খেজুর কিনতে পারবেন। এ প্রক্রিয়ায় খাদ্যপণ্য বিক্রির জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। খাতুনগঞ্জ ট্রেড এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল উদ্দিন জনকণ্ঠকে বলেন, রমজানে ভোগ্যপণ্যের কোন ধরনের সঙ্কট নেই। যে ৫টি পণ্যের চাহিদা রোজার মধ্যে বেশি থাকে তার সবগুলোই পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। বেসরকারী উদ্যোগে প্রচুর আমদানি হয়েছে। প্রায় সকল পণ্যের মূল্যই স্থিতিশীল। শুধু চিনির বাজার সামান্য বাড়তি রয়েছে মিল থেকে ঠিকমতো ডেলিভারি না থাকায়। তিনি জানান, অনেক ব্যবসায়ীই ডিও অনুযায়ী চিনির সরবরাহ পাচ্ছেন না। এ বিষয়টি নিশ্চিত করা গেলে চিনির বাজারও সহনীয় পর্যায়েই থাকবে। পেঁয়াজের মূল্য প্রসঙ্গে তিনি জানান, বর্তমানে এ পণ্যটির মূল্য কাঁচা তরকারির চেয়েও কম। রোজার মধ্যে চাহিদা বাড়লেও মূল্য ধরাছোঁয়ার বাইরে যাওয়ার কারণ নেই।
×