ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আইটি মার্কেটিয়ার

প্রকাশিত: ০৬:৪৫, ২১ মে ২০১৬

আইটি মার্কেটিয়ার

তথ্যপ্রযুক্তি এখন শুধু উন্নত বিশ্বের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়, সারাবিশ্বই এখন প্রযুক্তিতে ঝুঁকে পড়েছে। কেবল তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহারের মাধ্যমেই এগিয়ে যাচ্ছে অনেক দেশ। সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশও তথ্যপ্রযুক্তিতে ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশে দেরিতে শুরু হলেও ডিজিটালাইজেশনের ছোঁয়া লাগতে শুরু করেছে সরকারী অফিস, কর্পোরেট হাউস এমনকি মফস্বলের ছোট্ট দোকান বা অফিসেও। চ্যালেঞ্জিং ও সম্ভাবনাময় এই আইটি সেলস ও মার্কেটিং পেশা হতে পারে আপনার উন্নতির সোপান। মার্কেটিং এমন একটি পেশা যেখানে কঠোর পরিশ্রমের ফল অনায়েসেই মেলে এবং সেই ফল হয় সুমিষ্ট। আর সেই সুমিষ্ট ফল পেতে কিছু বিষয় আপানকে মাথায় রাখতে হবে সব সময়। কাস্টমার ভিজিটের আগে প্রস্তুতি নেয়া ॥ কাস্টমার ভিজিটের আগে অবশ্যই কাস্টমার সম্পর্কে অল্প বিস্তর ধারণা নিতে হবে তাহলে সাক্ষাত হবে প্রাঞ্জন। কিভাবে এ্যাপ্রজ করবেন, প্রথমে কোন কথাটি বলবেন ভেবে রাখুন এবং সময় মতো রেফারেন্স ব্যবহার করুন। আপত্তি না তোলা বিষয় এড়িয়ে যাওয়া ॥ কাস্টমার কী কী আপত্তি থাকতে পারে তা আগে থেকে বুঝে নিয়ে সেজন্য উত্তর তৈরি করে নেয়া ভাল। তবে নিজে থেকে সেসব আপত্তি নিয়ে আগেভাগে গ্রাহকের সামনে কথা না বলা ভাল নয় কারণ গ্রাহক হয়ত ওই বিষয় নিয়ে ভাবেনি। কখনও বলবেন না, ‘হয়ত আপনি ভাবছেন’ বা ‘হয়ত আপনার মনে প্রশ্ন এসেছে’। পরবর্তী পদক্ষেপের ভার গ্রাহকের ওপর ছেড়ে দেয়া ॥ অনেক সেলস লেটার বা ই-মেইলের শেষে লেখা থাকে সেলারের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য যদি গ্রাহক আগ্রহী থাকে বা আরও কিছু যদি জানার থাকে। আর এ ধরনের লেটারে কখনও কোন উত্তর আসে না। কারণ আপনি গ্রাহককে আপনার কাজটি করতে বলেছেন। এক্ষেত্রে লেখা ঠিক করে নিন। এমন কিছু লিখুন, ‘আমি আপনাকে আগামী সপ্তাহে কল করব যাতে বিষয়টি নিয়ে আরও আলোচনা করা যায়।’ ফলাফলের চেয়ে ফিচার নিয়ে মাতামাতি ॥ মার্কেটিং ব্যক্তিরা মনে করেন গ্রাহকরা ফিচারের জন্য পণ্য কিনে থাকে। এজন্য তারা ফিচারের জয়গান গাইতে থাকে যাতে গ্রাহকরা আকৃষ্ট হয়। কিন্তু আসলে গ্রাহকরা চায় ফলাফল যা তাদের জীবনমানকে উন্নত করতে পারবে। কেন কাস্টমার অন্য পণ্য ছেড়ে কেন আপনার পণ্য কিনবে তা নিয়ে ভাবুন। এখন এই কারণটাকেই ফলাফল আকারে গ্রাহকের সামনে তুলে ধরুন। আন্তরিকতার ভান করা ॥ যখন অন্যের মনে এ ধারণা থাকবে যে আপনি হলেন একজন সেলসম্যান যে পণ্য বিক্রি করতে এসেছে, তখন তাদের মন জয় করা একটু কঠিন হবে। আর এমতাবস্থায় আন্তরিকতার ভান করা আরও আত্মঘাতী হবে। কেমন আছেন, আজকের দিনটি কেমন গেলÑ এসব বলেও তখন কোন কাজ হবে না। এক্ষেত্রে নিজের মতো করে প্রফেশনাল থাকুন। কারণ এটা বন্ধুত্ব করার মতো সময় নয়, কারণ তাতে আর অনেক বেশি সময় লেগে যায়। আগেই সেলস প্রপোজাল লিখে রাখা ॥ প্রপোজাল সুযোগ তৈরি করতে সহায়ক তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রপোজাল লেখা হওয়া উচিত সমস্যা চিহ্নিত ও সমাধান নির্ণিত হওয়ার পর, আগে নয়। এক্ষেত্রে মৌখিক সম্মতি পাওয়ার পরই সেলস প্রপোজাল লিখবেন। কথাবার্তায় ডিসকাসন মেথড ॥ আলোচনার মাধ্যমে আপনার পণ্যের তথ্য কাস্টমেরকে দিন যেটাকে ডিসকাসন মেথড বলে। আপনার মনে, সেলসকে এমন একটি পরোক্ষ কর্মকা- হিসেবে ধরে নিন যেখানে বলার চেয়ে অন্যের কথা শুনতে হয় বেশি এবং গ্রাহক যা বলবে সেই অনুযায়ী রিএ্যাক্ট করতে হয়। এক্ষেত্রে ডিসকাসন মেথড ও অনেক সময় ভাল কাজ দেয়। অচল সম্ভাবনা নিয়ে সময় নষ্ট করা ॥ আলাপের ৫ মিনিটের মধ্যেই এমন সব প্রশ্ন করুন যাতে বোঝা যায় যে গ্রাহকের আসলেই পণ্যের দরকার আছে কিনা এবং সেই সঙ্গে চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত অর্থও আছে কিনা। ফলো করার ব্যর্থতা ॥ গ্রাহকদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে হয় ধীরে ধীরে বিশ্বাস স্থাপনের মাধ্যমে। যার ফলে সেলসম্যানের ব্যাপারে যে নেতিবাচক ধারণা থাকে তা কাটানো যায়। আপনার কাজের লিস্ট এবং নির্দিষ্ট ইভেন্টের ব্যাপারে সজাগ থাকুন। যখন আপনি ১০০% প্রতিজ্ঞা রাখতে পারবেন, কেবল তখনই ওয়াদা করুন।
×