ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

তৈরি পোশাকের মুনাফার সিংহভাগই ভোগ করে বিদেশী ক্রেতারা

প্রকাশিত: ০৪:০১, ২৬ এপ্রিল ২০১৬

তৈরি পোশাকের মুনাফার সিংহভাগই ভোগ করে বিদেশী ক্রেতারা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ তৈরি পোশাকের উৎপাদিত মুনাফার সিংহভাগই বিদেশী ক্রেতা ও বিক্রেতারা ভোগ করে বলে দাবি করেছেন টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন সভাপতি শ্রমিকনেতা আবুল হোসাইন। সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির গোলটেবিল মিলনায়তনে ‘তৈরি পোশাকশিল্পে শ্রমিকের অধিকার : কার কতটুকু দায়?’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এই কথা বলেন। আবুল হোসেন বলেন, বাংলাদেশের উৎপাদক ও রফতানিকারকরা মুনাফার মাত্র ২৭ শতাংশ ভোগ করে। অথচ এই শিল্পে কোন বিপর্যয় ঘটলে তার সমস্ত দায়দায়িত্ব বাংলাদেশের উৎপাদন ও রফতানিকারীদের বহন করতে হয়। এটা বাণিজ্যের পরিপন্থী। তৈরি পোশাক খাতের মুনাফা যারাই ভোগ করবে তাদেরই এই শিল্পের দায়দায়িত্ব বহন করতে হবে। সেমিনারে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন খুবই অল্প। এই অল্প মজুরি দিয়ে তারা দেশের জন্য, শিল্পের জন্য ও নিজের জন্য কাজ করে। অথচ তারা কোন দুর্ঘটনার শিকার হলে কেউ তাদের দায়দায়িত্ব বহন করতে চায় না। নেতারা বলেন, বিদেশী ক্রেতা-বিক্রেতারা ক্রমাগত বাংলাদেশের মালিকদের ওপর চাপ দিয়ে আসছে। অথচ তারা পোশাকের ন্যায্যমূল্য দিতে অনীহা প্রকাশ করে। শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরির সঙ্গে পোশাকের ন্যায্যমূল্যের যোগসূত্র রয়েছে। শ্রমিকের ন্যায্য মজুরির জন্য পোশাকের ন্যায্য মজুরি দেয়া আবশ্যক। নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, পাশ্চাত্যের দেশগুলো বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি বড় করে দেখে অথচ তারা পোশাকের ন্যায্যমূল্য দিতে অনীহা প্রকাশ করে। শ্রমিকনেতারা এ ব্যাপারে বাংলাদেশের শ্রমিকদের আরও সচেতন ও সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানান। অসংগঠিত শ্রমিক কখনোই শক্তিশালী নয়। শক্তিশালী শ্রমিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নেতারা এ ব্যাপারে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান। সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন হংকং থেকে আসা সনজীব প-িত ও ওমেনা জর্জ। এছাড়া শ্রমিকনেতা তপন সাহা, তৌহিদুর রহমান, মাহবুবুর রহমান ইসমাইল, গোলাম কাদির, সাহিদা সরকার, শামীমা শিরীন, কামরুন নাহার প্রমুখ। ভুল তথ্যে মিৎসুবিশি শেয়ার দর হারিয়েছে ৪০ শতাংশ অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ জ্বালানির কার্যকারিতা পরীক্ষায় ভুল তথ্য প্রকাশ করে গাড়ি খাতের কোম্পানি মিৎসুবিশিকে চরম মাসুল গুনতে হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে কোম্পানিটির শেয়ারদর দিন দিন কমছে। বিবিসি এক খবরে জানিয়েছে, গেল এক সপ্তাহে জাপানের পুঁজিবাজারে কোম্পানিটি শেয়ারদর হারিয়েছে ৪০ শতাংশের বেশি। সোমবারও দরপতনের ধারা অব্যাহত রয়েছে। এদিন কোম্পানিটি ৪.৮ শতাংশ দর হারিয়েছে। এ নিয়ে গত ছয় কার্যদিবসে প্রায় অর্ধেকে নেমেছে মিৎসুবিশির শেয়ারদর। জাপানের বাজারে ষষ্ঠ বৃহৎ গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি মিৎসুবিশি মোটরস। ছয় লাখের বেশি গাড়ির টেস্টে জ্বালানির পারফর্মেন্স নিয়ে গত ২০ এপ্রিল জাপানের যোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে ‘মিথ্যা তথ্য’ দিয়ে প্রতিবেদন দেয় কোম্পানিটি। এর পর থেকে বাজারে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কোম্পানিটিকে। শুধু ভুল তথ্য প্রকাশের দিনই জাপানের বাজারে কোম্পানিটির শেয়ারে ১৫ শতাংশের বেশি দরপতন হয়। মিৎসুবিশি এ সপ্তাহে তাদের বার্ষিক আয়ের পূর্বাভাস দিতে যাচ্ছে। কিন্তু জ্বালানি সম্পর্কিত এ কেলেঙ্কারিতে পূর্বাভাস কমতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমানে মিৎসুবিশির এ কেলেঙ্কারির তদন্ত চলছে। প্রসঙ্গত, গাড়ির তেল ও দূষণ নিয়ে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি বড় কোম্পানি কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছে।
×