ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন প্রকল্প

সাড়ে ৩ কোটি টাকার ঋণ লোপাট

প্রকাশিত: ০৭:০০, ১৯ এপ্রিল ২০১৬

সাড়ে ৩ কোটি টাকার ঋণ লোপাট

স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা ॥ পটুয়াখালীর গলাচিপা কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের অধীনে ২০টি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিকে দেয়া তিন কোটি ৬২ লাখ টাকার প্রায় পুরোটাই লোপাট হয়ে গেছে। ১৯৯৯ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যজীবী পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় পণ্য ঋণ হিসেবে সমিতিগুলোকে এ অর্থ দেয়া হয়েছিল। গত ১৫ বছরে ঋণের খুব সামান্য অর্থই আদায় হয়েছে। এমনকি অর্থ আদায়ের জন্য কয়েকটি সমিতির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হলেও পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় তদ্বিরের অভাবে বেশিরভাগ মামলা খারিজ হয়ে গেছে। অভিযোগ রয়েছে, এ প্রকল্পের আওতায় ঋণ হিসেবে দেয়া ট্রলারগুলোর হাতেগোনা মাত্র দু-চারটি ট্রলার সমিতির সদস্যরা ব্যবহার করেছেন। বাকিগুলো এক বছরের মধ্যেই বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। পরে ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে গেছে অথবা জলদস্যুরা ছিনতাই করেছে, এমন নানা অজুহাত তুলে পুরো বিষয়টি ধামাচাপা দেয়া হয়েছে। উপজেলা সমবায় কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গলাচিপা কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের অধীনে ২০টি সমবায় সমিতির ২০ জন দলনেতা অর্থাৎ সভাপতির মাধ্যমে মাছ ধরার ট্রলার ও উপকরণ বাবদ দু’টি ক্যাটাগরিতে মোট তিন কোটি ৬২ লাখ টাকার পণ্য ঋণ দেয়া হয়। ঋণ নেয়ার শর্তে উল্লেখ ছিল প্রতিটি সমিতিতে ১২ জন প্রকৃত জেলে থাকবে। যারা ট্রলার ও উপকরণ ব্যবহারের মাধ্যমে সুফল ভোগ করবে। ঋণের সমুদয় অর্থ ১০ বছরের মধ্যে কিস্তির মাধ্যমে পরিশোধ করা হবে। কিন্তু ঋণ সুবিধা নেয়ার পর প্রত্যেকটি সমিতি এসব শর্ত ভঙ্গ করেছে। সভাপতিরাই এসব ট্রলার ও উপকরণের সুবিধা নিয়েছে। জানা গেছে, এ প্রকল্পের আওতায় উপকারভোগীদের তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তাদের কোন ভূমিকা ছিল না। এদিকে, উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ঋণের টাকা পরিশোধ না করায় ২০০৩ সালে মকবুল হোসেন, অলি উল্লাহ, আবদুল হালিম, গোলাম মোস্তফা খান ও মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতে ফৌজদারি আইনে মামলা করা হয়। এর মধ্যে তিনটি মামলা তদ্বিরের অভাবে খারিজ হয়ে গেছে। জাতির জনককে নিয়ে অশ্লীল কবিতা ॥ মামলা নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট, ১৮ এপ্রিল ॥ উঠশালা উঠ শিরোনামে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে কবিতা লেখায় মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আশরাফুজ্জামান ম-লের নামে সোমবার দুপুরে লালমনিরহাট থানায় এজাহার দায়ের হয়েছে। এদিকে জাতির জনকের বিরুদ্ধে অশ্লীল ভাষায় কবিতা লিখে হেয় করায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ আশরাফুজ্জামান ম-লকে গ্রেফতারের দাবি তুলেছে। জানা যায়, বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ লালমনিরহাট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তন্ময় আহম্মেদ নয়ন বাদী হয়ে থানায় এজাহার দায়ের করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আশরাফুজ্জামান ম-ল তার ফেসবুক আইডি হতে অশ্লীল কবিতাটি লিখে ছেড়ে দেয়।
×