ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মার্চে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৫.৬৫ শতাংশে

প্রকাশিত: ০৪:০০, ৬ এপ্রিল ২০১৬

মার্চে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৫.৬৫ শতাংশে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ মার্চ মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি সামান্য বেড়েছে। এ হার পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৬৫ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৬২ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৮৯ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ। মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এক ব্রিফিং পরিসংখ্যান ব্যুরোর করা প্রতিবেদন থেকে পরিকল্পনামন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল এসব তথ্য প্রকাশ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব তারিক-উল-ইসলাম এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব কানিজ ফাতেফ। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি বেড়েছে কারণ জিনিসপত্রের দাম কিছুটা বেড়েছে। এটুকু মূল্যস্ফীতি থাকবে। কেননা উদীয়মান অর্থনীতির দেশে মূল্যস্ফীতি একেবারেই কমানো যাবে না। তিনি বলেন, ইলিশ মাছের দাম বেড়েছে, গরুর মাংসের দাম কেজিতে বেড়েছে দশ টাকা ও চিনির দাম বেড়েছে কেজিতে দুই টাকা। এসব কারণেই কিছুটা মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে। বিবিএসের প্রতিবেদন অনুযায়ী গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৭৯ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ১৫ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৮২ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ। অন্যদিকে শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ২৭ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক ২২ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৬১ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ১২ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ১৪ শতাংশ।
×