ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আফগানিস্তানের কুন্দুজ থেকে দুই ব্র্যাক কর্মকর্তা অপহৃত

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ১৯ মার্চ ২০১৬

আফগানিস্তানের কুন্দুজ থেকে দুই ব্র্যাক কর্মকর্তা অপহৃত

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ আফগানিস্তানে ব্র্যাকের দুই বাংলাদেশী কর্মকর্তাকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিয়মিত ফিল্ড ভিজিট শেষে আফগানিস্তানের কুন্দুজ থেকে কাবুলে ফিরছিলেন ব্র্যাকের তিন কর্মকর্তা। এদের মধ্যে একজন আফগান ও দু’জন বাংলাদেশী কর্মকর্তা ছিলেন। পথের মাঝে তাদের গাড়ি থামিয়ে গাড়িচালক ও আফগান কর্মকর্তাকে ছেড়ে দিলেও অস্ত্রের মুখে বাংলাদেশী দুই কর্মকর্তাকে ধরে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। অপহৃত কর্মকর্তা দু’জন হলেন হাজী শওকত (৫০) ও সিরাজুল ইসলাম খান সুমন (৩৭)। হাজি শওকত আফগানিস্তানে ব্র্যাকের প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত। তার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলায়। সিরাজুল ইসলাম খান সুমনে? বাড়ি পাবনায়। তিনি সেখানে সংস্থাটির প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা। এ বিষয়ে ব্র্যাকের পক্ষ থেকে স্থানীয় প্রশাসন ও আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। সেখানে এ ঘটনায় তদন্তও শুরু করেছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। এর অংশ হিসেবে গাড়িচালক ও ওই আফগান কর্মকর্তাকে আটকও করেছে পুলিশ। এ ছাড়া ব্র্যাকের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে অপহরণের সঙ্গে তালেবান জঙ্গীরা জড়িত কি-না সেটা নিশ্চিত হতে পারেনি ব্র্যাক। যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান পুনর্গঠনের কাজে থাকা ব্র্যাক কর্মীরা এর আগেও বেশ কয়েকবার আক্রান্ত হয়েছেন। ২০১২ সালের মে মাসে ঘোর প্রদেশে ব্র্যাকের একটি কার্যালয়ে ঢুকে এক কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা করে জঙ্গীরা। তার আগে ২০১০ সালের ডিসেম্বরে ব্র্যাকের এক প্রকৌশলীকে হত্যা করে অপহরণ করা হয় ছয়জনকে। ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকধারীদের গুলিতে প্রাণ যায় আরেক ব্র্যাক কর্মকর্তার। ওই বছর নূরুল ইসলাম নামে এক ব্র্যাক কর্মকর্তা অপহৃত হওয়ার ৮৩ দিন পর মুক্তি পান। ২০০৮ সালের অক্টোবরে গজনি প্রদেশ থেকে অপহৃত হন দুজন। দশদিন পর তাদের মুক্তি দেয়া হয়। বিশ্বের সবচেয়ে বড় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক আফগানিস্তানে কাজ শুরু করে ২০০২ সালে। দেশটির ৩৪টি প্রদেশে ব্র্যাকের প্রায় ৪০০ অফিসে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণের কাজে রয়েছেন বাংলাদেশী কর্মীরা।
×