ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

শোভাযাত্রা ও শ্রদ্ধাঞ্জলি ॥ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস

প্রকাশিত: ০৪:২৪, ১৮ মার্চ ২০১৬

শোভাযাত্রা ও শ্রদ্ধাঞ্জলি ॥ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ যথাযোগ্য মর্যাদা ও উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৭তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত হয়েছে। স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর: চট্টগ্রাম সরকারী, আধাসরকারী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছিল বিশেষ কর্মসূচী। এছাড়া আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনগুলোর উদ্যোগে পালিত হয় আলোচনা সভা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ প্রচার, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদানসহ নানা কর্মসূচী। এসব কর্মসূচী থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শোষণহীন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে শপথবাক্য উচ্চারিত হয়। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত হয় শিশু-কিশোর সমাবেশ। এতে নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটত না। তাই তিনি বাঙালী জাতিসত্তার আলোক বর্তিকা। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেছেন, ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন এবং শিশু দিবস। এই দিনটি শিশুদের জন্য নিবেদিত। আজকের শিশুদের বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-দর্শনে প্রাণিত করতে অভিভাবক হিসেবে তাদের সঠিক নির্দেশনা দিতে হবে। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন-সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, খোরশেদ আলম সুজন, আখতার হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, এমএ রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আলমাহমুদ, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুন চৌধুরী, সম্পাদকম-লীর সদস্য চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, আবদুল আহাদ, জহুর আহমদ, শহীদুল আলম প্রমুখ। বাগেরহাট জেলা প্রশাসন, জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন দিনব্যাপী নানা কর্মসূচী পালন করে। স্থানীয় স্বাধীনতা উদ্যানে সকালে শিশু সমাবেশ ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শেষে জেলা প্রশাসক মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন ডাঃ মোজাম্মেল হোসেন এমপি। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভী নগরীর ২নং রেলগেট এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং কেক কেটে জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেন। দিবসটি উপলক্ষে সিটি কর্পোরেশন শিশুদের আবৃত্তি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এদিকে বঙ্গবন্ধুর ৯৬তম জন্মদিন উপলক্ষে সকাল ১০টায় বন্দর সমরক্ষেত্র ’৭১ মাঠে বৃহৎ আকৃতির কেক কেটে সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালন করেন। অপরদিকে এ উপলক্ষে শিশুদের সমন্বয়ে আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদরে সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিতে শিশুদের সঙ্গে অংশ নেয়, সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজালাল মিয়া প্রমুখ। বরিশাল নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হল চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করেন জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস এমপি, জেবুন্নেছা আফরোজ এমপি, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। অপরদিকে জেলা প্রশাসকের আয়োজনে ‘শিশু গড়বে নতুন দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ সেøাগানকে সামনে রেখে অশ্বিনী কুমার টাউন হলে আয়োজন করা হয় চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা, শিশু সমাবেশ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ড. গাজী সাইফুজ্জামানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় কমিশনার গাউস, মুক্তিযোদ্ধা আক্কাস হোসেন, সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি এ্যাডভোকেট এসএম ইকবাল প্রমুখ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহরের জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হলে শহর প্রদক্ষিণ করে পুনরায় পৌর মুক্তমঞ্চে এসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবদেন করেন জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুুষ। পরে সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তনে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বশিরুল হক ভূইয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক ডক্টর মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন। বগুড়া সকালে আনন্দ র্যালি শহর প্রদক্ষিণের পর জিলা স্কুল মাঠে শিশু সমাবেশ হয়। একই স্থানে ‘শিশু গড়বে নতুন দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ আশরাফ উদ্দিন। সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) খোরশেদ আলম। শহীদ খোকন পার্কে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর জেলা পরিষদ চত্বরে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সকাল সাড়ে ৮টায় জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম বঙ্গবন্ধু মঞ্চে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে সূচনা করেন। এর আগে শিশু সমাবেশ ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও স্বেচ্ছায় রক্তদান, চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতা, গল্প বলা প্রতিযোগিতা, মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ দোয়া, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পরে জেলা সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে। এদিকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। পরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মঈনুদ্দিন ম-ল ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ এমপির নেতৃত্বে র্যালি বের করে বঙ্গবন্ধু মঞ্চে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। দিনাজপুর বৃহস্পতিবার দিবসের প্রথম প্রহরে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম, পুলিশ সুপার মোঃ রুহুল আমিন। পরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্রশাসক আজিজুল ইমাম চৌধুরী, দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আহমেদ হোসেন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ ফরিদুল ইসলাম প্রমুখ। সকালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ শহরে শোভাযাত্রা বের করে। সকাল ৯টায় হাবিপ্রবির ভাইস-চ্যান্সেলর (দায়িত্বপ্রাপ্ত) প্রফেসর মিজানুর রহমান কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। রংপুর সকালে নগরীর ডিসির মোড়ে সদ্য নির্মিত জাতির পিতার মুর্যালে জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসনের উদ্যোগে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসের সূচনা করা হয়। এরপর সেখান থেকে বের হয় একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। এটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ স্মৃতি হলে ফিরে এসে সেখানে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ তাদের দলীয় কার্যালয় থেকে বের করে একটি পৃথক শোভাযাত্রা। এছাড়াও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, কারমাইকেল কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে। সিরাজগঞ্জ সকালে শহীদ এম মনসুর আলী অডিটরিয়ামে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে মাল্য দানের মধ্য দিয়ে দিবসটির সূচনা করা হয়। পরে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহরে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারী ও বেসরকারী সংগঠন, স্বাচিব, বিএমএ, ডাক্তার, নার্সসহ সর্বস্তরের জনগণ র্যালিতে অংশ নেন। র্যালি শেষে শহীদ এম মনসুর আলী অডিটরিয়ামে জাতির পিতার জীবনী নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক বিল্লাল হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সংসদ সদস্য সেলিনা বেগম স্বপ্না, পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমদ, চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আবু ইউসুফ সূর্য, কে এম হোসেন আলী হাসান, গাজী শফিকুল ইসলাম শফি, জান্নাত আরা তালুকদার, আহ্বায়ক ডাঃ জহুরুল হক রাজা, আসাদ উদ্দিন পবলু, এ্যাডভোকেট শামীমা ইয়াসিম রীমা প্রমুখ। কুড়িগ্রাম কর্মসূচীর মধ্যে ছিল জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, শিশু সমাবেশ, র্যালি, চিত্রাঙ্কন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কুইজ, স্বেচ্ছায় রক্তদান, বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দোয়া মাহফিল, তার জীবন ও মহান মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক ডকুমেন্টরি ফিল্ম প্রদর্শন, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ। জেলা কালেক্টরেট চত্বর থেকে শুরু করে পুরো শহর প্রদক্ষিণ করে কলেজ মোড়ের স্বাধীনতার বিজয় স্তম্ভে শেষ হয়। এখানে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক খান নুরুল আমিন। বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তবারক উল্লাহ, সিভিল সার্জন ডাঃ জয়নাল আবেদিন জিল্লুর, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আকতার হোসেন আজাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশীদ লাল, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাহাবুদ্দিন, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান কাজিউল ইসলাম, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ রাশেদুজ্জামান বাবু, কুড়িগ্রাম আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আনোয়ার ও সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শর্মি প্রমুখ। নীলফামারী বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও বাদ্যযন্ত্রসহকারে বর্ণাঢ্য র্যালি শহর প্রদক্ষিণ এবং র্যালি শেষে স্থানীয় শহীদ মিনার চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় শিশু-কিশোর সমাবেশ ও শিশু মেলা। মেলা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় বঙ্গবন্ধুর জীবনীর ওপর আলোচনা সভা, শিশু স্বাস্থ্য সচেতনতা, পুষ্টি ও খাদ্য সম্পর্কে চিত্রাঙ্কন, রচনা, গল্প বলা ও নির্ধারিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতা। এসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর এমপি। জেলা প্রশাসক জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের প্রশাসক মমতাজুল হক, পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান, পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবুজার রহমান, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আলিমুদ্দিন বসুনিয়া, সাবেক এমপি জোনাব আলী, স্বাচিব জেলা সভাপতি ডাঃ মমতাজুল হক মিন্টু, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফজলুল হক, সাবেক অধ্যক্ষ গৌরাঙ্গ চন্দ্র রায়, সিপিবি সভাপতি শ্রীদাম দাস, মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম, নারী নেত্রী রাবেয়া আলিম, জেলা শিশু একাডেমির কর্মকর্তা মোস্তাক আহমেদ ও শিশুদের পক্ষে মোজাহিদুল হক। পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাটের দেয়া ৯৭ পাউন্ড ওজনের কেক কাটার মধ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৭তম জন্মদিন পালিত হয়েছে। বিলুপ্ত ছিটমহলগুলোতেও এবারই প্রথম উৎসবমুখর পরিবেশে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সরকারী অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ শীর্ষক চলচ্চিত্র প্রদর্শন এবং আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক অমল কৃষ্ণ ম-ল। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাহমুদুল আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার গিয়াসউদ্দিন আহ্মদ, জেলা পরিষদ প্রশাসক আবু বকর ছিদ্দিক। সভায় অন্যদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট, জেলা জাসদ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ বাবুল, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মির্জা আবুল কালাম দুলাল, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান রেজিয়া ইসলাম বক্তব্য রাখেন। মুন্সীগঞ্জ বর্ণাঢ্য র্যালি কালেক্টরেট প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, কেক কাটা ও শিশু মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। পরে মিলনায়তনে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক আসর বসে। আয়োজনগুলোতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রসাশক সাইফুল হাসান বাদল। এডিসি হারুন-অর-রশীদের সভাপতিত্বে এতে অংশ নেন সাবেক সাংসদ মমতাজ বেগম, এসপি বিজয় তালুকদার, অধ্যক্ষ ড. মীর মাহফুজুল হক, অধ্যক্ষ মেজর গাজী মোঃ তাওহীদুজ্জামান, সিভিল সার্জন ডাঃ শহীদুল ইসলাম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আনিস-উজ-জামান, পৌর মেয়র ফয়সাল বিপ্লব, সাবেক মেয়র এ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান, জামাল হোসেন, এম এ কাদের মোল্লা, প্রেসক্লাব সভাপতি মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল প্রমুখ। এছাড়া টাঙ্গাইল, মৌলভীবাজার, লক্ষ্মীপুর, মানিকগঞ্জ, নেত্রকোনা, শেরপুর, ঠাকুরগাঁও, পিরোজপুর, রাঙ্গামাটি, ফরিদপুর, মাদারীপুর, নওগাঁ, কুমিল্লা, গাইবান্ধা, পাবনা, ঝালকাঠি, ঝিনাইদহ, খাগড়াছড়ি, কিশোরগঞ্জ, নড়াইল, কক্সবাজার, নাটোর, দর্শনা, পটিয়া, ফটিকছড়ি, দুর্গাপুর, আমতলী, ভৈরব, বাকৃবি, বোয়ালমারী, ভালুকা, কচুয়া, দৌলতপুর, ইবি, সীতাকু- ও রায়পুরে অনুরূপ কর্মসূচী পালন করা হয়।
×