ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রিজার্ভ হ্যাকিংয়ে জড়িত দেশী-বিদেশী চক্র বেরিয়ে আসছে

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ১৭ মার্চ ২০১৬

রিজার্ভ হ্যাকিংয়ে জড়িত দেশী-বিদেশী চক্র বেরিয়ে আসছে

রহিম শেখ ॥ বাংলাদেশ ব্যাংকের হ্যাক হওয়া অর্থের সঙ্গে জড়িত চক্রের নাম ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছে। পুরো বিষয়টির সঙ্গে হ্যাকার ছাড়াও অন্তত একাধিক দেশের ব্যাংক, জুয়াড়ি চক্র এবং ব্যাংকের কর্মকর্তা জড়িত থাকতে পারেন বলে ধারণা করছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটির জেরার মুখে ব্যাংকের রির্জাভের অর্থ চুরির ঘটনায় ফিলিপিন্সের রিজার্ভ ব্যাংকের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ততার কথা জানিয়ে ব্যাংকটির জুপিটার শাখা ব্যবস্থাপক মায়া দেগুইতো নিজের দোষও স্বীকার করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ব্যাংক অব নিউইয়র্ক, সিটি ব্যাংক ও ওয়েলস ফারগো ব্যাংকের মাধ্যমে রিজার্ভ ব্যাংকে এ অর্থ পাঠানো হয়। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ফিলিপিন্স সিনেটে ব্লু রিবন কমিটির নির্বাহী শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। ওই শুনানিতে সবপক্ষই মুখ খুলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংক পরিদর্শন করেছেন সিআইডি কর্মকর্তারা। বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তারা। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক ও র‌্যাব আলাদা তদন্ত করছে। এ ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ নির্বাহী পরিচালক ও মহাব্যবস্থাপকদের সরিয়ে দেয়ার গুঞ্জন চলছে। নতুন গবর্নর দায়িত্ব নেয়ার পরপরই ওই কর্মকর্তাদের অপসারণ করা হবে বলে দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা জনকণ্ঠকে বলেন, এ ঘটনায় কারা জড়িত, কিভাবে কোন দেশ থেকে সংগঠিত হয়েছে, তা খুব শীঘ্রই বের হয়ে আসবে। ইতোমধ্যে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে। এ ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তা খুঁজতে ফিলিপিন্স কর্তৃপক্ষও কাজ করছে। আমাদের সঙ্গে তাদের সমঝোতা আছে। শ্রীলঙ্কার সরকারও আমাদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করছে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, পুরো বিষয়টির সঙ্গে হ্যাকার ছাড়াও অন্তত একাধিক দেশের ব্যাংক, জুয়াড়ি চক্র এবং ব্যাংকের কর্মকর্তারা জড়িত থাকতে পারেন। এদিকে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে সঞ্চিত থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় সন্দেহভাজন ছয়জনকে শনাক্ত করেছে ফিলিপিন্সের এ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিল (এএমএলসি)। যে ছয়জনকে শনাক্ত করা হয়েছে তারা হলেনÑ মাইকেল ফ্রান্সিসকো ক্রুজ, জেসি ক্রিস্টোফার লাগ্রোসাস, আলফ্রেড সান্তোস ভারজারা, এনরিকো তিয়োডোরো ভাসকুয়েজ, উইলিয়াম সো গো ও কাম সিন অং (কিম অং)। এর মধ্যে হঠাৎ লাপাত্তা বাংলাদেশের ৮০০ কোটি টাকা চুরির সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ী কিম অং। তার আইনজীবী বললেন, তিনি চিকিৎসা নিতে সিঙ্গাপুরে গেছেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এতদিন তাকে অসুস্থ বলে শোনা যায়নি। অকস্মাৎ তিনি কী এমন অসুস্থ হলেন যে তাকে বিদেশে যেতে হলো চিকিৎসা নিতে। তিনি কী রোগে আক্রান্ত তা তার আইনজীবী জানাতে পারেননি। ফলে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হচ্ছে। মঙ্গলবার ওই দুর্নীতি নিয়ে ফিলিপিন্সের সিনেট রিবন কমিটিতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এতে তলব করা হয়েছিল কিম অংকে। অন্যরা ঠিকই এতে হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু হাজির হননি কিম অং। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরির ঘটনা নিয়ে প্রায় অবিশ্বাস্য সব তথ্য ওঠে এসেছে ফিলিপিন্সের সিনেটের তদন্তে। মঙ্গলবার তদন্ত কমিটির জেরার মুখে হ্যাকিংয়ের সঙ্গে রিজাল ব্যাংক সভাপতির সম্পৃক্ততার কথা জানিয়ে ব্যাংকটির জুপিটার শাখা ব্যবস্থাপক মায়া দেগুইতো নিজের দোষও স্বীকার করেছেন। আজ আবারও বৈঠকে বসছে সিনেটের ব্লু রিবন কমিটি। এছাড়াও তদন্তে জানা গেছে, অর্থ স্থানান্তরের সময় ফিলিপিন্সের রিজাল ব্যাংকের জুপিটার শাখার সব ক্লোজসার্কিট ক্যামেরাও ভাঙ্গা অবস্থায় ছিল। আর অভিযুক্ত ৫টি ভুয়া এ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল নয় মাস আগেই। সিনেটের ব্লু রিবন কমিটির বরাত দিয়ে দেশটির ইংরেজী দৈনিক ইনকোয়ারার জানিয়েছে, শুনানিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি হওয়া ৮১ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে ৫০ মিলিয়ন ডলার ফিলিপিন্সের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশন-আরসিবিসি থেকে রেমিটেন্স কোম্পানি ফিরলেম সার্ভিস কর্পোরেশনে আসে। টাকা চুরির ঘটনায় তারা আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্তও শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে দেশটির মুদ্রা পাচারবিরোধী সংস্থাও তদন্তের স্বার্থে সিসিটিভি ফুটেজ চেয়েছে। তারা আরসিবিসির মাধ্যমে কিভাবে টাকা স্থানান্তর হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে। এছাড়া এ ঘটনায় ৬ ব্যক্তির যোগসাজশও যাচাইবাছাই করবে তদন্ত কমিটি। মঙ্গলবার ফিলরেম রেমিটেন্স কোম্পানির প্রেসিডেন্ট সালুদ বাতিস্তা সিনেট কমিটির শুনানিতে জানান, ৯ ফেব্রুয়ারি ১৫ মিলিয়ন ডলার আরসিবিসির জুপিটার শাখার সংশ্লিষ্ট ৪টি এ্যাকাউন্টের একটি থেকে পাঠানো হয়। এ এ্যাকাউন্ট এনরিকো তিওডোরো ভাসকুইজের নামে খোলা হয়। শুনানিতে তিনি বলেন, ৫ ফেব্রুয়ারি আরসিবিসি থেকে পাঁচ লাখ ডলার এবং ১৪ দশমিক দুই মিলিয়ন ডলার মূল্যের দুটি কিস্তি, ৯ ফেব্রুয়ারি ১৫ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলারের একটি এবং ১০ ফেব্রুয়ারি ১৭ দশমিক ৯ মিলিয়ন ডলারের আরেকটি কিস্তি ফিলরেমে আসে। ফিলরেম তখন ২১ মিলিয়ন ডলার ইস্টার্ন হাওয়াই লেইসার কোম্পানিকে এবং ২৯ মিলিয়ন ডলার ব্লমবেরি কোম্পানির কাছে হস্তান্তর করে। শুনানিতে বাতিস্তাকে এসব অর্থ স্থানান্তর নিয়ে আবারও প্রশ্ন করা হলে বিস্তারিত কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। ফিলিপিন্স মুদ্রাপাচার প্রতিরোধ কর্তৃপক্ষ-এএমএলসির কর্মকর্তারা শুনানিতে হুলিয়া বাকায়-আবাদ সিনেটরকে জানায়, চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধারে সহযোগিতার জন্য ১১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তাদের অনুরোধ জানানো হয়। পরে ৪টি এ্যাকাউন্টের সব অর্থ উইলিয়াম গোর এ্যাকাউন্টে জমা হয়। গোর এ্যাকাউন্টটি এ বছর ১ ফেব্রুয়ারিতে খোলা হয় বলে জানান এএলএমসি। তবে উইলিয়াম গো শুনানিতে দাবি করেছেন, তার নামে খোলা এ্যাকাউন্টটি ভুয়া। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ফিলিপিন্সে সিনেট কমিটির নির্বাহী শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে আজ বৃহস্পতিবার। ওই শুনানিতে সবপক্ষই মুখ খুলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে শুনানিতে অংশ নেয়া রিজাল ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট, ব্রাঞ্চ ম্যানেজারসহ সংশ্লিষ্টরা নানা বিধিবিধানের যুক্তি দেখিয়ে এ অর্থ জালিয়াতির ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের চাকরি হারানোর আতঙ্ক ॥ মঙ্গলবার ড. আতিউর রহমানের পদত্যাগের পরই দুই ডেপুটি গবর্নরকেও সরিয়ে দেয়া হয়। একই সঙ্গে নির্বাহী পরিচালক ও মহাব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও ইঙ্গিত আসে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, রিজার্ভ থেকে যেকোন লেনদেনের তথ্যের মেসেজ জেনারেট করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফ্রন্ট অফিসের একজন কর্মকর্তা। ওই বার্তা ভেরিফাই করে একই অফিসের আরেক কর্মকর্তা। আবার মেসেজ ট্রান্সশিপমেন্ট করে একই বিভাগের আরেক কর্মকর্তা। আর মিডল অফিসের দুই কর্মকর্তা ফ্রন্ট অফিসের মেসেজ যথাযথ হয়েছে কি-না, তা তদারক করে থাকে। রিজার্ভ ম্যানেজমেন্টের জন্য এ দুই অফিস নিয়ন্ত্রণ করে ফরেক্স রিজার্ভ ও ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ। অপরদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের এ্যাকাউন্ট এ্যান্ড বাজেটিং বিভাগ নিয়ন্ত্রণ করে ব্যাক অফিস। এ ব্যাক অফিস ফ্রন্ট ও মিডল অফিসের কাজগুলো ঠিকমতো হচ্ছে কি-না বা পাঠানো বার্তা অনুযায়ী ঠিকমতো রিজার্ভ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা কেটে রাখা হয়েছে কি-না, দেশের রিজার্ভ কী পরিমাণে রয়েছে, এগুলো দেখাশোনা করে। এর সঙ্গে আইটি নিরাপত্তা ও পেমেন্ট সিস্টেমও জড়িত। শোনা যাচ্ছে এসব বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ নির্বাহী পরিচালক ও মহাব্যবস্থাপকদের সরিয়ে দেয়ার চিন্তাভাবনা হচ্ছে। এদিকে রিজার্ভ চুরির ইস্যুতে বৈদেশিক রিজার্ভ ব্যবস্থাপনায় জড়িত বেশকিছু কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি কম্পিউটার জব্দ করা হয়েছে। যার ফরেনসিক রিপোর্ট আগামী সপ্তাহে পাওয়া যাবে। এসব ঘটনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মাঝে আতঙ্ক-অস্বস্তি আরও বেড়ে গেছে। রিজার্ভ লোপাটের প্রকৃত তথ্য উদ্ঘাটিত না হওয়া পর্যন্ত কর্মকর্তারা স্বস্তিতে ফিরতে পারছেন না। সিআইডির তদন্ত শুরু ॥ বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনায় অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক শাহ আলমের নেতৃত্বে সিআইডির একটি তদন্ত দল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক পরিদর্শন করেন। সকাল ১০টার কিছু সময় পর তারা বাংলাদেশ ব্যাংকে যান এবং বিকেল পর্যন্ত অবস্থান করেন। তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রথমেই বৈঠক করেন। বৈঠকে ঘটনার আদ্যোপান্ত শুনেন। প্রয়োজনীয় নোট লিখে নেন। এরপর তারা সার্ভার রুমে দায়িত্বে থাকাদের নামের তালিকা চান। তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ্যাকাউন্টিং এ্যান্ড বাজেটিং বিভাগের ব্যাক অফিসে যান এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। দুই কর্মকর্তাকে আটকের কথা জানা গেলেও সিআইডির তরফ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি। ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের সঙ্গে যুক্ত থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্ভারের বেশ কিছু ফুটেজ সংগ্রহ করে তার পর্যালোচনা চলছে। এছাড়া সার্ভার রুমে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজও সংগ্রহ করা হয়েছে। সিআইডির সংঘবদ্ধ অপরাধ বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মীর্জা আবদুল্লাহেল বাকী সাংবাদিকদের জানান, ঘটনা তদন্তে পর্যাপ্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। সংগৃহীত তথ্যের পর্যালোচনা চলছে। প্রয়োজন অনুযায়ী অনেককে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। তবে কাউকে গ্রেফতার বা আটকের বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করেননি। ২ ডেপুটি গবর্নরের চুক্তি বাতিলের আদেশ ॥ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আরও দুটি আদেশে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গবর্নর মোঃ আবুল কাসেম ও নাজনীন সুলতানার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। ১৫ মার্চ থেকে এ বাতিল আদেশ কার্যকর হবে বলে আদেশে বলা হয়েছে। এ দু’জনের নিয়োগ বাতিল হওয়ার কথাও মঙ্গলবার জানিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী। আবুল কাসেম অফিসে আসলেন ফিরেও গেলেন ॥ সদ্যবিদায়ী ডেপুটি গবর্নর আবুল কাসেম বুধবার সকালে বাংলাদেশ ব্যাংকে এসে ২ ঘণ্টার মতো থেকে ফিরে গেছেন। ফিরে যাওয়ার সময় সাংবাদিকরা তাকে ঘিরে নানান প্রশ্ন করলেও তিনি তা এড়িয়ে যান। শুধু বলেন, এ বিষয়ে আমাকে ক্ষমা করবেন। জানা গেছে, ব্যক্তিগত কাগজপত্র নেয়ার জন্য তিনি অফিসে এসেছিলেন। রিজার্ভের টাকা হ্যাকের ঘটনায় মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর আতিউর রহমান পদত্যাগ করলে পদাধিকার বলে আবুল কাসেম অন্তর্বর্তীকালীন গবর্নরের দায়িত্ব পান। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরই তাকেও অব্যাহতি দেয়া হয়।
×