ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকাকে ক্লিন সিটি করতে সমন্বয়ে বিশেষ উদ্যোগ নেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত: ০৪:২৫, ১৬ মার্চ ২০১৬

ঢাকাকে ক্লিন সিটি করতে সমন্বয়ে বিশেষ উদ্যোগ নেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

স্টাফ রিপোর্টার ॥ লন্ডনের ন্যায় রাজধানী ঢাকাকেও ক্লিন সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে সার্বিক উন্নয়ন কর্মকা- পরিচালনায় দুই শহরের মধ্যে সমন্বয়ের জন্য কাজ করতে বিশেষ উদ্যোগ হাতে নেবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী। অপরদিকে ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চে বিএনপি জাতীয় কাউন্সিল করতে পারবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। মঙ্গলবার সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতাবিষয়ক জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ডিএসসিসি মেয়র এসব কথা জানান। পরিচ্ছন্ন বছর-২০১৬ উপলক্ষে ডিএসসিসির সহায়তায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের বর্তমানে একটি পরিবর্তনকাল চলছে। এই পরিবর্তনের জন্য শহরের শ্রীবৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এতে সকল শ্রেণীর নাগরিকের অংশগ্রহণ করা দায়িত্বও বটে। এজন্য প্রতিটি এলাকায় বসবাসকারীদের তাদের এলাকা ও বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখতে কাজ করতে হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও তাদের সকল অফিস ও মন্ত্রণালয়ে কর্মরতদের এ কাজে উৎসাহিত করবে। এছাড়া প্রাথমিকভাবে লন্ডনের সহায়তায় ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে এ উদ্যোগ কার্যকরের প্রচেষ্টা চালালেও পরে উত্তর সিটি কর্পোরেশনকেও এর সঙ্গে সংযোজন করা হবে। মূলত আমরা ঢাকা শহরকেই ক্লিন সিটি ও আধুনিক সিটি হিসেবে দেখতে চাই। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাঈদ খোকন বলেন, ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চে জাতীয় কাউন্সিল করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে একটি আবেদন আমরা পেয়েছি। বিএনপি মহানগর নাট্যমঞ্চে তাদের কাউন্সিল করতে পারবে। সেই সঙ্গে আমরাও তাদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করব। তিনি আরও বলেন, আমরা চাই, রাজনৈতিক দল শক্তিশালী হোক। দেশে গণতন্ত্রের চর্চা হোক। একজন মেয়র হিসেবে তিনি বিএনপির কাউন্সিল সফল হওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। মেয়র বলেন, দক্ষিণ সিটিকে ক্লিন সিটি হিসেবে ইতোমধ্যেই বিভিন্ন উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়েছে। আগামী বর্ষায় রাস্তায় জমে থাকা পানি সহজে ড্রেন দিয়ে সরে যেতে আমরা ডিএসসিসির এলাকায় অবস্থিত প্রায় ১০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ডিপ ড্রেন পরিষ্কারের উদ্যোগ নিয়েছি, যার প্রায় ৭০ ভাগ কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। আশা করি বাকি কাজ এপ্রিল মাসের মধ্যেই সম্পন্ন হবে। এর মাধ্যমে আমরা ডিএসসিসির বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় বৃষ্টির পানি জমতে দেখব না। এর মধ্যে আগামী বর্ষায় বিশেষ করে শান্তিনগর এলাকাসহ অনেক এলাকায়ই রাস্তায় পানি যাতে না জমে সে ব্যবস্থা করছি। তবে জলাবদ্ধতা পুরোপুরি মুক্ত না করতে পারলেও বেশিরভাগ এলাকায় বৃষ্টির পানি যাতে না থাকে সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়া বর্ষার আগেই এপ্রিলের মধ্যেই ডিএসসিসির ৩০০ শ’ রাস্তা সংস্কার করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে রাস্তায় চলাচলে নাগরিকদের দুর্ভোগ অনেকাংশে কমবে। মশক নিধন সম্পর্কে মেয়র বলেন, মশক নিধনে ক্রাশ প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
×