ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ-ভারত পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল উদ্বোধন

প্রকাশিত: ০৪:২১, ১৬ মার্চ ২০১৬

বাংলাদেশ-ভারত পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল উদ্বোধন

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকালে দু’দেশের মধ্যে সম্পাদিত কোস্টাল শিপিং এগ্রিমেন্টের আওতায় মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বন্দরে উদ্বোধন হয়েছে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল। আগামীকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ভারতের উদ্দেশে যাত্রা করবে প্রথম পণ্যবাহী জাহাজ এভি হারবার-১। নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান আনুষ্ঠানিকভাবে জাহাজ চলাচল উদ্বোধন করেন। যুগান্তকারী এ কার্যক্রম শুরু হওয়ায় প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্য ও পণ্য পরিবহনে গতি সঞ্চার হবে বলে আশা করছেন আমদানি ও রফতানিকারকগণ। চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা যায়, স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যাওয়া পণ্যবাহী জাহাজ নারায়ণগঞ্জের পানগাঁও হয়ে ভারতের ৭টি বন্দরে ভিড়তে পারবে। ভারতের এ বন্দরগুলো হচ্ছে কলকাতা, হলদিয়া, বিশাখা, কৃষ্ণ পতনম, চেন্নাই, প্যারাদ্বীপ ও কাকিনাডা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার যাত্রা করবে প্রথম জাহাজ, যা ২২ মার্চ পৌঁছাবে কৃষ্ণ পতনম বন্দরে। পরদিন জাহাজটি সেখান থেকে যাত্রা করে ২৮ মার্চ পানগাঁও এবং ৩০ মার্চ চট্টগ্রাম বন্দরে ফিরবে। নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান তাঁর বক্তব্যে বলেন, গত বছরের জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকালে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল কোস্টাল শিপিং এগ্রিমেন্ট। সে চুক্তি অবশেষে বাস্তবায়িত হয়েছে। ফলে দুই দেশের মধ্যে পণ্য পরিবহনে ব্যয় কমবে। আমদানি-রফতানিকারকরা উপকৃত হবেন এবং উভয় দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। প্রসঙ্গক্রমে মন্ত্রী বিভিন্ন ক্ষেত্রে পাকিস্তানের ষড়যন্ত্রের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, পাকিস্তান এখনও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে চলেছে। ঢাকায় তাদের হাইকমিশনে নিযুক্ত কূটনৈতিক জঙ্গী অর্থায়নের ঘটনায় ধরা পড়ায় তাকে দেশটি সরিয়ে নিয়েছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার সময়ে স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান এদেশের শাখা থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে, যা আমাদেরই সম্পদ। পাকিস্তান সেই পাওনা ফেরত দেয়নি। বক্তব্যে তিনি চট্টগ্রাম বন্দর ও দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে বর্তমান সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়নের বিষয় তুলে ধরেন। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর জুলফিকার আজিজের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য নুর-ই-আলম চৌধুরী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব ধর ও চট্টগ্রামের ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনে নিযুক্ত ফার্স্ট সেক্রেটারি রাকেশ রমণ। উপস্থিত ছিলেন ভারতের কৃষ্ণ পতমন বন্দরের প্রতিনিধি রবিরাম প্রসাদ, সংশ্লিষ্ট শিপিং প্রতিষ্ঠান নিপা পরিবহনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিরাজুর রহমান ও বন্দরের বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। বন্দর সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ-ভারত কোস্টাল নৌপথের জন্য হারবার-১ নামের জাহাজটি নির্মাণ করেছে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড। ১৭৬ টিইইউএস কন্টেনার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন এ জাহাজটি ইতালির রিনা ক্লাসের তত্ত্বাবধানে নির্মিত হয়। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গত ১৮ অক্টোবর জাহাজটি হস্তান্তর করে। জাহাজটি পরিচালনা করবে নিপা পরিবহন। একই ধরনের আরও সাতটি জাহাজ নির্মাণাধীন রয়েছে।
×