ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দেবীগঞ্জে পুরোহিত হত্যা

আদালতে আরেক জেএমবি জঙ্গীর স্বীকারোক্তি

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ৭ মার্চ ২০১৬

 আদালতে আরেক  জেএমবি  জঙ্গীর  স্বীকারোক্তি

স্টাফ রিপোর্টার, পঞ্চগড় ॥ পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জের শ্রী শ্রী গৌড়ীয় মঠ মন্দিরের পুরোহিত মহারাজ যজ্ঞেশ্বর রায় হত্যাকা-ের দায় স্বীকার ও নিজেকে সক্রিয় জেএমবি সদস্য হিসেবে দাবি করে স্বেচ্ছায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে হারেছ আলী নামে রিমান্ডে থাকা আরও এক আসামি। হত্যাকা-ের পর স্থানীয় কালিগঞ্জ বাজারে হত্যাকারীরা পুরোহিত হত্যায় ব্যবহৃত রক্তমাখা চাপাতি, পিস্তল ও বিস্ফোরকদ্রব্যের একটি ব্যাগ তিন হত্যাকারী পরবর্তীতে অন্য অপারেশনের জন্য তার হাতে দিয়ে চলে যায়। হারেছ আলী পেশায় রিক্সা-ভ্যান চালক হলেও সে একজন জেএমবির সক্রিয় সদস্য এবং জেএমবির ফান্ডে নিয়মিত চাঁদাও প্রদান করে। পুরোহিত হত্যাকা-ের আগের দিন হত্যাকারীরা অস্ত্র ও বিস্ফোরকদ্রব্য তার বাড়িতে নিয়ে রাখে। ওইদিন রাতে মূল খুনি রমজান আলীসহ দুইজন তার বাড়িতে রাত কাটায়। এরপর হত্যাকা-ের পর আবারও অস্ত্রভর্তি ব্যাগ কালিগঞ্জ বাজারে তাকে রাখতে দেয়। হারেছ আদালতে দেয়া জবানবন্দীতে নিজেকে ধার্মিক হিসেবেও দাবি করে। পুরোহিত হত্যাকা-ের দায় স্বীকার করে এ পর্যন্ত দুই জেএমবি সদস্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করল। পুরোহিত হত্যাকা- ও অস্ত্র-বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়েরকৃত তিন মামলায় রিমান্ডে থাকা জেএমবি সদস্য হারেছ আলী আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিতে রাজি হলে রবিবার দুপুরে কঠোর গোপনীয়তা রেখে পুলিশ তাকে দেবীগঞ্জ আমলী আদালতে হাজির করে। এ সময় আদালত চত্বরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোছাঃ মার্জিয়া খাতুনের খাস কামরায় বিকেল ৩টা থেকে সোয়া দুই ঘণ্টা ধরে ওই জেএমবি সদস্য কিভাবে পুরোহিত হত্যাকা- ঘটানো হয়েছে, মূল পরিকল্পনাকারী ও হত্যাকারী কে এবং এই হত্যাকা- ঘটনায় কতজন জড়িত ছিল পুরো ঘটনা সম্পর্কে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। বিচারক ওই জঙ্গীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী ১৬৪ ধারায় লিপিবদ্ধ করেন। জবানবন্দী শেষে হারেছ আলীর রিমান্ড বাতিল করে বিচারক জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। পরে সন্ধ্যায় কড়া পুলিশ প্রহরায় তাকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
×