ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভাইস চেয়ারম্যানের স্বামী আটক

মদ এনে না দেয়ায় মা-মেয়েকে নির্যাতন

প্রকাশিত: ০৩:৫৫, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

মদ এনে না দেয়ায়  মা-মেয়েকে নির্যাতন

নিজস্ব সংবাদদাতা, লক্ষ্মীপুর, ২৬ ফেব্রুয়ারি ॥ সদর উপজেলার চৌপল্লীতে চাঁদার টাকা না পেয়ে মা ও মেয়েকে জোরপূর্বক তুলে এনে ঘরে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন করার ঘটনায় চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে নির্যাতিত গৃহপরিচারিকা জোছনা বেগম বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে নির্যাতন ও চাঁদার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্মআহ্বায়ক কামরুল হাসান রুবেলকে প্রধান করে তার দুই সহযোগী গোলাম মাওলা আকাশ ও রাজুকে আসামি করা হয়। কামরুল হাসান রুবেল সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারিহা আক্তার পারুলের স্বামী। এ ঘটনায় রাতে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার মূল আসামি কামরুল হাসান রুবেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার মহেশখীল গ্রামের হতদরিদ্র মানিক হোসেনের স্ত্রী জোছনা বেগম বিভিন্ন বাসাবাড়িতে কাজ করে সংসার চালান। সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারিহা আক্তার পারুলের বাসাও কাজ করতেন জোছনা বেগম। রুবেলের স্ত্রী বাসায় না থাকার সুবাদে বুধবার রাতে রুবেল তার দুই সহযোগী গোলাম মাওলা আকাশ ও রাজুকে নিয়ে ঘরে মদের আড্ডায় বসে। মদ শেষ হয়ে গেলে গৃহপরিচারিকার ছেলে সিএনজিচালক জসিম উদ্দিনকে মোবাইল ফোনে অন্য স্থান থেকে মদ আনতে বলে রুবেল। কিন্তু জসিম মদ আনতে রাজি না হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে জোর করে বাড়ি থেকে জসিমের মা জোছনা বেগম ও বোন মিনু আক্তারকে তুলে নিয়ে আসে রুবেল ও তার দুই সহযোগী। পরে তাদের দুইজনকে ঘরে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে তারা। এ সময় তাদের কাছে ২৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে বলে মামলায় অভিযোগ করেছেন নির্যাতিত গৃহপরিচারিকা জোছনা বেগম। পুলিশ বেলা আড়াইটার দিকে চৌপল্লীর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মা ও মেয়েকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
×