ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতিবন্ধী ভাগ্নিকে ১০ বছর আটকে রেখে ধর্ষণ

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

প্রতিবন্ধী ভাগ্নিকে ১০ বছর আটকে রেখে ধর্ষণ

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ মা-বাবা হারা প্রতিবন্ধী ভাগ্নিকে ১০ বছর আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে লম্পট মামা। এ ঘটনায় ওই তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে একাধিকবার তাকে গর্ভপাত করানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুুনরায় গর্ভপাত ঘটাতে গেলে গুরুতর অসুুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। ন্যক্কারজনক এ ঘটনাটি ঘটেছে চিতলমারী উপজেলার সুুরশাইল গ্রামে। জানা গেছে, সুরশাইল গ্রামের অমেশ বিশ্বাসের ছেলে গৌরাঙ্গ বিশ্বাস ওরফে কুন্টি (৪৮) আপন বোনের প্রতিবন্ধী মেয়েকে ১০ বছর ঘরে আটকে বিকৃত লালসা চরিতার্থ করেছে। এ ঘটনায় মেয়েটি একাধিক বার অন্তঃসত্ত্ব¡া হয়ে পড়লে তাকে গর্ভপাত করানো হয়। আবারও ওই মেয়েটির গর্ভপাত ঘটাতে গেলে সে অসুুস্থ হয়ে পড়ে। ঘটনাটি প্রতিবেশীরা টের পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। গত সোমবার রাতে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চিতলমারী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। মেয়েটি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। এ নিয়ে এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে। খবর পেয়ে ভিকটিমকে দেখতে উপজেলা মহিলা সংগঠনসহ বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ হাসপাতালে ছুটে যান। ন্যক্কারজনক এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত লম্পট মামার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন এলাকাবাসী। এ বিষয়ে প্রতিবেশী শেফালি ম-ল জানান, বাল্যকালে মেয়েটির মা মারা যান। এরপর তার বাবা নিখোঁজ হলে সে মামা কুন্টির কাছে আশ্রয় নেয়। ওই বাড়িতে অন্য কোন লোকের বসবাস না থাকায় মেয়েটিকে গত ১০ বছর ধরে আটকে রেখে ধর্ষণ করে আসছে। যার ফলে একাধিকবার তাকে অবৈধ গর্ভপাত ঘটানো হয়েছে। পুনরায় গত সোমবার রাতে তাকে আবার গর্ভপাত করানোর চেষ্টা করা হলে আমরা প্রতিবেশীরা জানতে পেরে এগিয়ে যাই। পুলিশ ও গ্রামবাসী মিলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে চিতলমারী উপজেলা মহিলা পরিষদের সভানেত্রী হেলেনা পারভীন জানান, ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষা করা হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত এবং লম্পট মামার বিচার দাবি করেন তারা। চিতলমারী স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ মুকুল চন্দ্র ম-ল জানান, ভিকটিমের প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। চিতলমারী থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ রবিউল ইসলাম জানান, ভাগ্নির সঙ্গে ন্যক্কারজনক এ ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
×