ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা

প্রকাশিত: ০৪:২৬, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা

নিজস্ব সংবাদদাতা, নারায়ণগঞ্জ, ২৪ ফেব্রুয়ারি ॥ বন্দর উপজেলার রূপালী গেট এলাকায় সাদিয়া আক্তার (১৮) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত গৃহবধূর লাশ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ফেলে গেছে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ বুধবার সকালে হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের শাশুড়ি শাহনাজ বেগমকে (৬৫) গ্রেফতার করেছে। নিহতের মা রুমা আক্তার সাংবাদিকদের জানায়, শফিক একজন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। শফিক গত এক মাস আগে তার মেয়েকে জোর করে বিয়ে করে। বিয়ের পর তাকে নগদ ৭০ হাজার টাকা ও একটি দামী মোবাইল ফোন দেয়াও হয়। এরপর সে আরও যৌতুকের জন্য সাদিয়াকে নির্যাতন করতে থাকে। তিনি জানান, মঙ্গলবার রাতে সাদিয়াকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। রাত ৩টায় ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে মৃত অবস্থায় তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে নিয়ে আসে। পরে তারা তার লাশ ফেলে পালিয়ে যায়। শফিক নিহতের খালা মনিকে ফোন দিয়ে জানায় সাদিয়া খুব অসুস্থ। পরে আমরা হাসপাতালে গিয়ে মেয়ের লাশ দেখতে পাই। বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিপুল চন্দ্র দাস জানান, যৌতুকের জন্য প্রায় সাদিয়া আক্তারকে নির্যাতন করত। ধারণা করা হচ্ছে মঙ্গলবার রাতে যৌতুকের জন্য সাদিয়াকে মারধর করলে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় এবং সেখানে তার মৃত্যু হয়। মাদারীপুরে পুড়িয়ে নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর, থেকে জানান, শহরের উপকণ্ঠে লাকায় বন্যা আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূকে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় নেয়ার পথে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূ বন্যা মারা যায়। এ ঘটনার পর থেকে তার স্বামী ইব্রাহিম পলাতক রয়েছে। স্থানীয়, পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর শহরের উপকণ্ঠ পূর্বরাস্তি এলাকার গৃহবধূ বন্যা আক্তারকে তার বাসায় অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ছটফট করতে দেখে স্থানীয়রা মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ঢাকায় নেয়ার পথে রাত সাড়ে ৮টার দিকে সে মারা যায়। ঘটনার পর থেকে গৃহবধূর স্বামী ইব্রাহিম মিয়া পলাতক রয়েছে। গৃহবধূ বন্যার পিতা কাবুল চোকদার বলেন, ‘৫ মাস আগে রাস্তি এলাকার ইব্রাহিম মিয়ার সঙ্গে বন্যার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের জন্য চাপ দেয়। যৌতুকের টাকা দিতে না পারার কারণেই আমার মেয়ের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়েছে ইব্রাহিম। আমি গরিব রিকশা চালক কি করে এত টাকা দেব।’ বগুড়ায় স্ত্রীকে পিটিয়ে স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া থেকে জানান, শহরের কানগাড়ি এলাকায় বুধবার দুপুরে সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্ত স্বামী আল আমিন তার অনার্স পরীক্ষার্থী স্ত্রী হালিমাতুস সাহিদা ডিনাকে (২৪) বেধড়ক পিটিয়ে হত্যা করেছে। তাদের এক ছেলে এক মেয়ে আছে। সূত্র জানায়, বছর ছয়েক আগে তাদের বিয়ের সময় কনে পক্ষ জানতেও পারেনি তাদের জামাই সন্ত্রাসী। বিধির লিখনকে মেনে নিয়ে মেয়েকে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। অনেক সময় পড়ার খরচও মেয়ের বাবা মা দিত। জামাই চাইত না স্ত্রী লেখাপড়া করুক। এ নিয়ে প্রায়শই বাগবিত-া হতো। স্ত্রীকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন মারধর করত। বুধবার দুপুরে ডিনা মেয়েকে স্কুল থেকে আনে। স্বামীকে কলেজে রেখে আসতে বললে ক্ষিপ্ত হয়ে বেধড়ক পেটানো শুরু করে। কুড়িগ্রামে পিটিয়ে স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম থেকে জানান, রৌমারী উপজেলার ৩ নং বন্দোবেড় ইউনিয়নের বাইটকামারী গ্রামে মৃত মনির উদ্দিনের ছেলে হযরত আলী (৪২) পারিবারিক কলহের জের ধরে বুধবার সকালে তার স্ত্রী মরিয়মকে (৩৫) দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। পুলিশ ঘাতক স্বামীকে আটক করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়। রূপগঞ্জে গৃহবধূকে লাঠিপেটা নিজস্ব সংবাদদাতা, রূপগঞ্জ থেকে জানান, স্বামী শিখা রানী (২৮) নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতন চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার সকালে উপজেলার আতলাশপুর এলাকায় ঘটে এ ঘটনা। নির্যাতনের শিকার শিখা রানী আতলাশপুর এলাকার নারায়ণচন্দ্র বর্মনের মেয়ে। শিখা রানী জানান, বেশ কয়েক দিন ধরে স্বামী সুবল বর্মন মাছ ধরার জাল কেনার জন্য শিখা রানীর কাছে এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছেন। বুধবার সকালে দাবিকৃত যৌতুকের টাকা না দেয়ায় সুবল বর্মন শিখা রানীকে লাঠিপেটা করে নির্যাতন চালায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়।
×