ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রাথমিক দলে নেই অভিযুক্ত সাত ফুটবলার

প্রকাশিত: ০৪:৩২, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

প্রাথমিক দলে নেই অভিযুক্ত সাত ফুটবলার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ক্রমাগত ব্যর্থতা যখন চারপাশ থেকে ছেঁকে ধরে, তখন সাফল্যের জন্য প্রয়োজন হয় পরিবর্তনের। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ক্ষেত্রেও সেটা প্রযোজ্য। তবে জাতীয় দলের ফুটবলারদের ব্যাকআপ এখনই এতটা সমৃদ্ধ হয়নি যে, পুরো দলকেই ঢেলে সাজানো যায়। এজন্য বড় ধরনের পরিবর্তন নয়, অল্প কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে আপাতত। সেটা নতুন তিন ফুটবলার এবং কোচের বেলায়। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নিজেদের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল মুখোমুখি হবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ জর্দানের। আগামী ২৪ মার্চ জর্দানের আম্মানে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি। এর আগে ১৮ মার্চ আবুধাবিতে সংযুক্ত আরব আমিরাত জাতীয় ফুটবল দলের সঙ্গে একটি ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। এ লক্ষ্যে মঙ্গলবার ২২ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। দলের টিম লিডার হিসেবে বাফুফের সহ-সভাপতি বাদল রায়, টিম ম্যানেজার হিসেবে বাফুফে সদস্য, সত্যজিৎ দাশ রূপু, প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে গঞ্জালো সানচেজ মরেনো, সহকারী প্রশিক্ষক হিসেবে সৈয়দ গোলাম জিলানী ও গোলরক্ষক প্রশিক্ষক হিসেবে আতিকুর রহমান আতিক দায়িত্ব পালন করবেন। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত খেলোয়াড়দের আগামী শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় আনুষঙ্গিক ক্রীড়া সামগ্রীসহ বাফুফে ভবনে দলের ম্যানেজার সত্যজিৎ দাশ রূপুর কাছে রিপোর্ট করতে হবে। বাফুফে ভবনেই হবে জাতীয় দলের ক্যাম্প। শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে জাতীয় দলের নির্ভরযোগ্য ৭ ফুটবলার আছেন শাস্তির প্রক্রিয়াধীন। আগামী বৃহস্পতিবার বাফুফে ভবনে নিজে এসে তাদের শো-কজের জবাব দেয়ার কথা। এদের বাদ দিয়ে জাতীয় দল গঠনে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়েছে বাফুফেকে। তবে দলের টিম লিডার হিসেবে বাফুফের সহ-সভাপতি বাদল রায় জানান, তারা বিশ্বকাপ বাছাইয়ের এই ম্যাচটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছেন। দলের প্রধান স্প্যানিশ কোচ গঞ্জালো সানচেজ মরেনোর জন্যও এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ বটে! জাতীয় দলের কোচ হিসেবে গঞ্জালো কতটা উপযুক্ত তা নিয়েও অনেক ফুটবলবোদ্ধাদের মনে সংশয় রয়েছে। ওই সাত ফুটবলারকে বাদ দিয়ে দল গঠনে কি ফুটবল ফেডারেশনকে একটু জটিল অবস্থায় পড়তে হয়েছে কি না? ফেডারেশনের একজন কর্মকর্তা হিসেবে আপনি কি বলবেন এই বিষয়ে? উত্তরে বাদল রায় বলেন, ‘জটিলতা বলতে পারেন। এ কারণে যে এর আগেও অনেক কিছুতে অনেক ছাড় দিয়েছি তাদের শোধরানোর জন্য। কিন্তু সেই শোধরানোটা ফল আমরা পাইনি। অনেক উশৃঙ্খলতাকে আমরা আগে শাস্তির আওতায় আনিনি। সেটি দেখে যদি কেউ এমনটা করে থাকে তবে আমি বলব এবার বোধ হয় ছাড় পাওয়ার সুযোগ অনেক কম।’ বাদল রায় মনে করেন এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক হয়েছে। যে ফুটবলাররা সেমিফাইনাল ম্যাচের আগের দিন উশৃঙ্খল কাজ করে। সেমিফাইনাল নিয়ে যাদের মধ্যে চিন্তা থাকবে না। তাদের বাংলাদেশের কোন মানুষ ঘৃণা ছাড়া আর কিছুই করবে না। তাই এরা দলে থাকার চেয়ে না থাকাটাই ভাল। তারপরও ওই সাত ফুটবলারকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়েছে বাফুফে। তারা সঠিক জবাব দিতে পারলে তাদের মধ্য থেকেও বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দলে ডাকা হতে পারে। জাতীয় দলের ডাক পাওয়া ২২ ফুটবলারের মধ্যে প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন তিন ফুটবলার। এরা হলেন, মিডফিল্ডার ফজলে রাব্বি, আতিকুর রহমান ফাহাদ ও ফরোয়ার্ড রুবেল মিয়া। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল (প্রাথমিক স্কোয়াড) ॥ গোলরক্ষক : রাসেল মাহমুদ, মাজহারুল ইসলাম, আশরাফুল ইসলাম রানা; রক্ষণভাগ : রায়হান হাসান, তপু বর্মণ, নাসিরুল ইসলাম, রেজাউল করিম, কেষ্ট কুমার বোস, ওয়ালী ফয়সাল, শাকিল আহমেদ; মধ্যমাঠ : ইমন মাহমুদ, মোনায়েম খান রাজু, জামাল ভূঁইয়া, শাহেদুর আলম, ফজলে রাব্বি, আতিকুর রহমান ফাহাদ, মাসুক মিয়া জনি; আক্রমণভাগ : রুবেল মিয়া, নাবিব নেওয়াজ জীবন, সাখাওয়াত হোসেন রনি, জুয়েল রানা ও আমিনুর রহমান সজীব।
×