ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রংপুরে গৃহকর্মীকে পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টা ॥ দম্পতি গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০৪:৪০, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

রংপুরে গৃহকর্মীকে পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টা ॥ দম্পতি গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর ॥ রংপুরে পূর্ণিমা রায় নামের বারো বছরের এক গৃহকর্মীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টা চালিয়েছে গৃহকর্তার স্ত্রী। শুক্রবার সকালে নগরীর প্রাণকেন্দ্র মুলাটোলে কোতোয়ালি থানার সামনের এক বাসায় এ ঘটনার পর বিষয়টি ধামাচাপা দিতে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ওই কিশোরীকে প্রত্যন্ত এক গ্রামের বাসায় নিয়ে লুকিয়ে রাখে। পরে খবর পেয়ে রাত অনুমান ১২টায় পুলিশ সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় রাতেই পুলিশ ওই গৃহকর্তা খোকন রায় ও তার স্ত্রী পপি রায়কে গ্রেফতার করেছে। জানা গেছে, গঙ্গাচড়া উপজেলার নোহালী ইউনিয়নের কচুয়া এলাকার প্রভাত রায়ের মেয়ে পূর্ণিমাকে গৃহকর্মী হিসেবে নিয়ে আসে খোকন রায়। এখানে আনার পর থেকেই পূর্ণিমার ওপর লোলুপদৃষ্টি পড়ে খোকনের। এ ছাড়া তার স্ত্রী নানা কারণেই তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করত। শুক্রবার সকাল ৭টায় খোকন খারাপ কোন প্রস্তাব দেয়ায় বিষয়টি জেনে ফেলে তার স্ত্রী পপি। কিন্তু তিনি তার স্বামীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে রাগ করে উল্টো গৃহকর্মীর শরীরে থাকা জামাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে নিমিশেই তার সমস্ত বুক ও বাঁ হাতের বড় অংশ পুড়ে যায়। এই অবস্থাতেই তাকে গোপনে নিয়ে যাওয়া হয় সদর থানার পাগলাপীর এলাকার একটি বাড়িতে। পরে রাতে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করে পুলিশ। জনকণ্ঠকে সে জানাল প্রায়ই খারাপ প্রস্তাব দিত খোকন। আর এ কারণে তার স্ত্রী তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করত। শুক্রবার ঘটনার পর পাগলাপীরে নিয়ে যাবার সময় সেখানে তাকে ভয় দেখিয়ে বলা হয়, কেউ যদি তার কাছে জানতে চায় কি করে এ ঘটনা ঘটেছে তবে যেন সে বলে যে, রান্না করার সময় গ্যাসের আগুনে পুড়েছে তার শরীর। শুধু পাগলাপীরেই নয়, শনিবার সকালে হাসপাতালে এসেও তিন যুবক একইভাবে হুমকি দিয়ে গেছে তাকে। একই কথা জানালেন হাসপাতালের এক আয়াও। হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের রেজিস্ট্রার ডা. এসএইচ আজমল হোসেন জানালেন, শিশুটির শরীরের প্রায় ১৬ শতাংশ পুড়ে গেছে। সাগরে দস্যুদের গুলিতে ট্রলার যাত্রী নিহত ৫ জেলেকে অপহরণ সংবাদদাতা, পাথরঘাটা, বরগুনা, ২০ ফেব্রুয়ারি ॥ পাথরঘাটা থেকে ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে সুন্দরবন সংলগ্ন সাগরের গাঙ্গের আইনের কাছে জলদস্যুরা জেলেদের ট্রলার বহরে সশস্ত্র হামলা করলে এক মৎস্যজীবী নিহত হয়েছেন। নিহত এসমাইল হাওলাদার উপজেলার রুপদোন গ্রামের আলী আজগর কাজির ছেলে। এছাড়া ওই ট্রলারের আরও ৪ জেলেকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে জলদস্যুরা। মুক্তিপণের দাবিতে নিহত জেলের ট্রলারের মাঝি রিয়াজসহ আরও ৫টি ট্রলারের ৮ জেলেকে অপহরণ করেছে বলে আহত জেলেরা জানিয়েছেন। খবরটি পাথরঘাটা কোস্টগার্ড স্টেশন কমান্ডার এসএ রউফ নিশ্চিত করেছেন। কোস্টগার্ডের তত্ত্বাবধানে আহত জেলেদের পাথরঘাটা হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। আহত জেলেরা হচ্ছে- রিয়াজ, এসমাইল খান, নাসির ও নজরুল এদের সকলের বাড়ি পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের রুপদোন গ্রামে। আহত জেলেরা জানান, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে তারাসহ ১০-১২টি ট্রলার গাঙ্গের আইনের কাছে জাল ফেলে অপেক্ষা করছিল। এ সময় সুন্দরবনের জলদস্যুরা এসে গণডাকাতি শুরু করে। এ সময় তারা ট্রলার চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের ওপরে জলদস্যুরা গুলি চালায়। এ সময় এসমাইলের বুকে গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
×