ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বেনাপোল বন্দরে আমদানি রফতানি এখনও বন্ধ

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

বেনাপোল বন্দরে আমদানি রফতানি এখনও বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার, বেনাপোল ॥ একদিন বিরতির পর আবারও সোমবার সকাল থেকে বেনাপোল বন্দরের সঙ্গে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের ‘ইনট্রিগেটেড চেকপোস্টের’ ট্রাক পার্কিং চার্জ বৃদ্ধির প্রতিবাদে ডাকা ধর্মঘটের কারণে দু’দেশের বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো এ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। এদিকে ধর্মঘটের কারণে বন্দরের দু’পাশে আমদানি-রফতানি পণ্য নিয়ে প্রায় এক হাজার ট্রাক আটকা পড়ে আছে। এসব পণ্যের মধ্যে মাছ, পেঁয়াজ, ফুলসহ বিভিন্ন প্রকারের কাঁচামাল রয়েছে। দ্রুত ধর্মঘট প্রত্যাহার করা না হলে ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। পেট্রাপোল বন্দরের সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, ভারতের পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় ‘ইনট্রিগেটেড চেকপোস্টে আমদানি-রফতানি পণ্যের ট্রাক পার্কিং চার্জসহ বিভিন্ন সার্ভিস চার্জ হঠাৎ করে কয়েকগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া বাণিজ্যিক কাজে সেখানে ব্যবসায়ীদের প্রবেশের ওপর নানা বিধি-নিষেধ ও নিয়ম-কানুন বেঁধে দেয়া হয়েছে। এতে একদিকে দ্রুত বাণিজ্যে বাধা সৃষ্টি হবে, অন্যদিকে অতিরিক্ত খরচ পড়ে যাবে। এসব অনিয়মের প্রতিবাদে সভা ডেকে গত শনিবার আমদানি-রফতানি বন্ধ রাখা হয়েছিল। বন্দর কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবি-দাওয়া মেনে নেয়া হবে বলে আশ্বস্ত করলে শনিবার সন্ধ্যায় আমরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয়। কিন্তু রবিবার পেরিয়ে গেলেও আমাদের দাবি মানা হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা সোমবার সকাল থেকে দু’দেশের মধ্যে সকল প্রকার আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ রেখেছি। আমাদের দাবি মানা হলে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হবে না। বসন্তবরণে যশোরের গদখালীতে ১২ কোটি টাকার ফুল বিক্রি অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ যশোরের গদখালীর ফুলচাষিরা বসন্তবরণ ও ভালবাসা দিবসে প্রায় ১২ কোটি টাকার ফুল বিক্রি করেছেন বলে বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আবদুর রহিম দাবি করেছেন। গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে গদখালীতে ফুল বিক্রি শুরু হয়। এর আগেই ব্যবসায়ীরা ফুল মজুত করে রাখেন। যশোর শহর থেকে ২০ কিলোমিটার পশ্চিমে যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক ধরে এগিয়ে গেলে ঝিকরগাছার গদখালী বাজার ফুলের সাম্রাজ্য হিসেবেই এলাকাটির রয়েছে সারাদেশে পরিচিতি। দেশের ফুলের চাহিদার ৬০-৭০ ভাগ জোগান দেন এখানকার চাষিরা। বিভিন্ন দিবসে সারাদেশে যে পরিমাণ ফুল বেচাকেনা হয় তার বেশিরভাগই যশোর থেকে সরববাহ করা হয়। প্রতিদিন ভোর থেকে গদখালী বাজারে বসে ফুলের পাইকারি বাজার। এইবাজার থেকে গড়ে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার বিভিন্ন জাতের ফুল রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছে যায়। তাই বিশেষ বিশেষ দিবস উপলক্ষে এখানে বেচাকেনা হয় কয়েক কোটি টাকার ফুল। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর যশোরের উপ-পরিচালক শেখ হেমায়েত হোসেন জানান, এ বছর গদখালীতে ৫৬০ হেক্টর জমিতে ফুলের আবাদ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফুলের ফলন ভাল হয়েছে। এছাড়া এই অঞ্চলের অনেক কৃষক বাইরে থেকে ফুল চাষের প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন। সব মিলিয়ে সচেতন হওয়ায় ফুলের আবাদে কৃষকরা অধিক লাভবান হচ্ছেন।
×