ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

অসদুপায়ের জন্য ৭ শিক্ষার্থী এবং দায়িত্বে অবহেলায় ১০ শিক্ষক বহিষ্কার

এসএসসি পরীক্ষা শুরু-সুষ্ঠু পরিবেশ, নেই প্রশ্নপত্র ফাঁস

প্রকাশিত: ০৫:২০, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

এসএসসি পরীক্ষা শুরু-সুষ্ঠু পরিবেশ, নেই প্রশ্নপত্র ফাঁস

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ সব ধরনের বিতর্ক ছাড়াই দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শুরু হয়েছে এসএসসি, দাখিল ও এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষা। আটটি সাধারণ, একটি মাদ্রাসা ও একটি কারিগরি বোর্ডের অধীনে সোমবার প্রথম দিন অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলা (আবশ্যিক) প্রথমপত্র পরীক্ষা। দু’একটি কেন্দ্রে প্রশ্ন বিতরণে ত্রুটি ছাড়া অন্য কোথাও কোন ধরনের অভিযোগের খবর পাওয়া যায়নি। তবে ফরম পূরণ করেও পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল ছয় হাজার ৮২৬ জন পরীক্ষার্থী। পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে বহিষ্কার হয়েছে সাত শিক্ষার্থী। অন্যদিকে দায়িত্বে অবহেলার কারণে বহিষ্কার করা হয়েছে এক কেন্দ্র সচিবসহ ১০ শিক্ষককে। প্রথম দিন সকাল ১০টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়। দেশের তিন হাজার ১৪৩টি কেন্দ্রে এবার ১৬ লাখ ৫১ হাজার ৫২৩ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের এ পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করেছে। সকালে রাজধানীর তেজগাঁও সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন শিক্ষা সচিব সোহরাব হোসাইন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু বক্কর ছিদ্দিকসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তারা। পরিদর্শনে গেলেও পরীক্ষার্থীদের যাতে কোন অসুবিধা না হয় সেজন্য এবার কেবল শিক্ষা সচিবকে নিয়ে কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করেন শিক্ষামন্ত্রী। এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস করা সম্ভব হবে না বলে আশা প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, যে ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি, আমরা আশাবাদী প্রশ্ন ফাঁস করা সম্ভব না। এর আগে এইচএসসিতে ঢাকা বোর্ডের ইংরেজী পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন, সে সময় তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী বেশকিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তবে সব পদক্ষেপের বিষয়ে আমরা বলব না। বিজি প্রেস থেকে আর প্রশ্ন ফাঁস হবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, মন্ত্রী, সচিব, বোর্ড চেয়ারম্যান কেউ- প্রশ্ন দেখার সুযোগ পান না। ছাপানো প্রশ্ন এক মিনিটের বেশি সময় কারও হাতে থাকে না। কেউ প্রশ্ন মুখস্ত করার সুযোগ পাবেন না। কোন প্রশ্ন কোন বোর্ডে যাবে, তা প্রশ্ন ছাপানোর সঙ্গে জড়িতদের বোঝার উপায় নেই বলেও জানান মন্ত্রী। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ফেসবুকে ভুয়া প্রশ্নপত্র ছড়ানো হলে বিটিআরসি ব্যবস্থা নেবে। দয়া করে গুজবে কান দেবেন না, কোন বিভ্রান্তিতে পড়বেন না। একটি স্বার্থান্বেষী মহল প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়িয়ে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করতে চায়, অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীদের দুশ্চিন্তাগ্রস্ত করে তোলে। অভিভাবকদের এ ধরনের গুজবে কান না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যারা এ ধরনের গুজব ছড়ায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। শিক্ষকদের পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার তাগিদ দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা কম পাস করার প্রেসারে নেই। যে যা নম্বর পাবে তাকে সেই নম্বরই দেবেন। কাউকে কম বা বেশি দেবেন না। শিক্ষকদের অতি উৎসাহী হতে নিষেধ করে মন্ত্রী বলেন, কোন শিক্ষক অতি উৎসাহী হয়ে বলবেন না যে শিক্ষার্থীদের বেশি নম্বর দিতে বলা হয়েছে। এ ধরনের কথা বললে আমরা ব্যবস্থা নেব। আগামী বছর অর্থাৎ ২০১৭ সাল থেকে এমসিকিউতে ১০ নম্বর কমিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা মনে করিয়ে দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ভুলক্রটি যা আছে, তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চলছে। জানা গেছে, এ পরীক্ষায় এবারই প্রথম বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) অংশের পরীক্ষা আগে হয়েছে। পরে হয়েছে সৃজনশীলের পরীক্ষা। দুই অংশের পরীক্ষার মাঝে ১০ মিনিট সময়ের ব্যবধান ছিল। এতদিন সৃজনশীল অংশ আগে হতো। পরে এমসিকিউ অংশ হতো। কিন্তু অভিযোগ ছিল, এমসিকিউ অংশের প্রশ্ন অসাধু কিছু শিক্ষক মোবাইলে ছবি তুলে বাইরে পাঠিয়ে উত্তরপত্র এনে শিক্ষার্থীদের কাছে সরবরাহ করতেন। আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীনে এসএসসিতে ১৩ লাখ চার হাজার ২৭৪ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলে দুই লাখ ৪৮ হাজার ৮৬৫ জন এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে এসএসসি ভোকেশনালে ৯৮ হাজার ৩৮৪ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে শুধু এসএসসিতে ছয় লাখ ৪২ হাজার ৫০৭ জন ছাত্রের বিপরীতে ছাত্রী ছয় লাখ ৬১ হাজার ৭৬৭ জন। অর্থাৎ ছাত্রী ১৯ হাজার ২৬০ জন বেশি। মোট পরীক্ষার্থীর হিসাবেও গতবারের তুলনায় এবার ছাত্রী সংখ্যা বেড়েছে। আজ কোন পরীক্ষা নেই। আগামীকাল অনুষ্ঠিত হবে বাংলা দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষা। ৮ মার্চ পর্যন্ত হবে তত্ত্বীয় পরীক্ষা। ব্যবহারিক পরীক্ষা হবে ৯ থেকে ১৪ মার্চ। বাংলা দ্বিতীয়পত্র এবং ইংরেজী প্রথম ও দ্বিতীয়পত্র ছাড়া সব বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা হবে। অনুপস্থিত ছয় হাজার ৮২৬ জন ॥ পরীক্ষা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে গ্রহণের লক্ষ্যে অন্যান্য উদ্যোগের সঙ্গে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কন্ট্রোল রুমের ফোন নং-৯৫৪০৩০২, ০১৭৭৭-৭০৭৭০৫, ০১৭৭৭-৭০৭৭০৬। কন্ট্রোল রুমের ইমেইল : পরীক্ষা চলাকালে যে কেউ এ সংক্রান্ত অভিযোগ জানাতে পারবেন। পরীক্ষা শেষে কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষার প্রথম দিন সারাদেশে ছয় হাজার ৮২৬ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। পরীক্ষায় নকলের দায়ে সাত শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া দুইজন শিক্ষকও বহিষ্কার হয়েছেন। অনুপস্থিতি সম্পর্কে জানা গেছে, ঢাকা বোর্ডে ৮৪৭ জন, রাজশাহীতে ৪২১ জন, কুমিল্লায় ৫১০ জন, যশোরে ৪২৩ জন, চট্টগ্রামে ২৭৯ জন, সিলেটে ২৫২, বরিশালে ২৫০ এবং দিনাজপুর বোর্ডে ৩০৬ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে দুই হাজার ৫৯৭ জন এবং কারিগরি বোর্ডে ৯৪১ পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। যশোর ও মাদ্রাসা বোর্ডে একজন করে এবং কারিগরি বোর্ডে পাঁচ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া যশোর ও মাদ্রাসা বোর্ডের একজন করে শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে। গোপালগঞ্জে দুটি কেন্দ্রে ১৫০ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছে ২০১৪ সালের প্রশ্নে ॥ গোপালগঞ্জ থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা জানিয়েছেন, জেলার দুটি কেন্দ্রে ১৫০ জন এসএসসি পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছে ২০১৪ সালের বাংলা প্রশ্নে। এর মধ্যে কাশিয়ানী উপজেলার রামদিয়া কেন্দ্রের শ্রীকৃষ্ণ শশীকমল মহাবিদ্যালয় ভেন্যুতে ৭৯ পরীক্ষার্থী এবং সদর উপজেলার সাতপাড় কেন্দ্রের বৌলতলী-সাহাপুর সম্মিলিত উচ্চ বিদ্যালয় ভেন্যুতে ৭১ জন পরীক্ষার্থীর ক্ষেত্রে এ ঘটনা ঘটেছে। রামদিয়া কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব ও ফুকরা হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ জইনউদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন, পরীক্ষা শুরুর পরপরই ওই ভেন্যুর ১৪২ ও ২৪১নং কক্ষের পরীক্ষার্থীরা দায়িত্বরত পরিদর্শকদের অবহিত করলেও তারা বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে পড়লে বিষয়টি তখন তিনি জানতে পারেন। এছাড়া সাতপাড় কেন্দ্রের হলসুপার ও বৌলতলী-সাহাপুর সম্মিলিত উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুলাল চন্দ্র মজুমদার জানিয়েছেন, তাদের কেন্দ্রেও দুটি কক্ষে ৭১ জন পরীক্ষার্থী ২০১৪ সালের প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়েছে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর বিষয়টি তিনি জানতে পারেন। প্রশাসনের একটি সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার খবর পেয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ সাঈদ-উর-রহমান ওই কেন্দ্রগুলোতে পরিদর্শন করেছেন। রামদিয়া কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিবসহ ৬ শিক্ষককে এবং সাতপাড় কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব মামুন বিশ্বাসসহ ২ শিক্ষককে পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষা বোর্ডের সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি জানানো হয়েছে। বোর্ডের পক্ষ থেকে ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীদের বিষয়টি সুবিবেচনা করা হবে। নওগাঁ থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা জানিয়েছেন, জেলার মান্দায় বাংলা প্রথমপত্রে শুধু ‘খ’ সেট দিয়ে বহুনির্বাচনী (অভীক্ষা) পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। সোমবার উপজেলার চকউলী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। একই কেন্দ্রে রচনামূলক প্রশ্নপত্র পরীক্ষার্থীদের সংখ্যার চেয়ে কম ছিল বলে জানা গেছে। এতে ওই কেন্দ্রের মেধাবী শিক্ষার্থীরা মেধার মূল্যায়ন থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন অভিভাবকরা। জানা গেছে, বাংলা প্রথমপত্রে চকউলী কেন্দ্রে ৫০৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪৮৭ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। প্রথমধাপে বহুনির্বাচনী পরীক্ষায় ক, খ, গ ও ঘ এই চার সেটে পরীক্ষা নেয়ার নিয়ম থাকলেও ওই কেন্দ্রে সকল পরীক্ষার্থীর শুধু ‘খ’ সেট দিয়ে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রটিতে রচনামূলক প্রশ্নপত্র পরীক্ষার্থীদের তুলনায় কম পাওয়া গেছে। পরে ফটোকপি করে পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়। তবে কতসেট প্রশ্নপত্র কম ছিল এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুর রহমান খান ও কেন্দ্র সচিব অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম সঠিক তথ্য জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। কেন্দ্র সচিব নজরুল ইসলাম শুধু ‘খ’ সেটে বহু নির্বাচনী পরীক্ষা নেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, অন্যান্য সেটের প্রশ্নপত্র (ক, গ ও ঘ) বোর্ড সরবরাহ না করায় শুধু ’খ’ সেট দিয়েই পরীক্ষা নিতে হয়েছে। বিষয়টি রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও ইউএনওকে অবহিত করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুর রহমান খানও বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শামসুল কালাম আজাদ বলেন, প্রশ্নপত্র ঘাটতির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র সচিব অবহিত করেননি। কোন কারণে এ ধরনের ঘটনা হলে বিষয়টি আগেই তার দফতরকে জানানো উচিত ছিল। একসেট দিয়ে বহুনির্বাচনী পরীক্ষা নেয়া সঠিক হয়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ২৬ মিনিট পর প্রশ্নপত্র দেয়ায় তিন শিক্ষককে অব্যাহতি স্টাফ রিপোর্টার সিলেট অফিস থেকে জানান, এসএসসি পরীক্ষার হলে প্রশ্নপত্র দেরিতে দেয়ার অভিযোগে তিন শিক্ষককে পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সোমবার বিয়ানী-১ কেন্দ্রে বাংলা প্রথমপত্রের প্রশ্নপত্র প্রায় ২৬ মিনিট দেরিতে পরীক্ষার্থীদের হাতে দেয়ার অভিযোগে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। জানা যায়, বিয়ানী-১ কেন্দ্র বিয়ানীবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৩ নম্বর হলে তিনটি বিদ্যালয়ের মোট ৫৬ জন পরীক্ষার্থী প্রায় ২৬ মিনিট দেরিতে প্রশ্ন পেয়েছে। তাৎক্ষণিক পরীক্ষার্থীরা হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বিষয়টি অবহিত করলে তারা সময় বাড়িয়ে দেয়ার আশ্বাস দেন। নির্ধারিত সময় শেষ হলে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে উত্তরপত্র নিয়ে নেয়া হয়। এ সময় পরীক্ষার্থীরা সময় চাইলে দায়িত্বরত শিক্ষক আশরাফুর রহমান, পারভীন আক্তার ও মুহিবুর রহমান এড়িয়ে যান। হল থেকে বেরিয়ে অভিভাবকদের বিষয়টি জানিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন পরীক্ষার্থীরা। এ ঘটনার খবর পেয়ে কেন্দ্রে আসেন বিয়ানীবাজার উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) অসীম চন্দ্র বণিক ও বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবের আহমদ। ১৩ নম্বর হলের পরীক্ষার্থী এক শিক্ষার্থী শুভা জানায়, স্যাররা আমাদের ১১টা ১৪ মিনিটে প্রশ্ন দেন। আমরা দেরিতে প্রশ্ন পাওযার বিষয়টি বললে তারা সময় বাড়িয়ে দেয়ার আশ^াস দেন। কিন্তু ১টার সময় পরীক্ষার শেষ বেল বাজতেই তারা আমাদের উত্তরপত্র নিয়ে নেন। কেন্দ্র সচিব আব্দুল হাসিব জীবন জানান, শিক্ষার্থীদের লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাৎক্ষণিক ওই তিন শিক্ষককে পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
×