ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দ্বিতীয় প্রান্তিকেই মুনাফায় ফিরেছে আইটিসি

প্রকাশিত: ০৬:৪৫, ৩১ জানুয়ারি ২০১৬

দ্বিতীয় প্রান্তিকেই মুনাফায় ফিরেছে আইটিসি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির আগে চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন মাসে শেয়ার প্রতি ৫ পয়সা লোকসান দেখানোর পর দ্বিতীয় প্রান্তিকেই মুনাফায় ফিরেছে ইনফরমেশন টেকনোলজি কনসালট্যান্টস (আইটিসি) লিমিটেড। আগের বছর একই সময়ে লোকসান দেখালেও প্রথমার্ধে মুনাফায় ফিরেছে সম্প্রতি তালিকভুক্ত তথ্য প্রযুক্তি খাতের কোম্পানি। তবে ইতোমধ্যেই শেয়ারটির দর আকাশচুম্বী হয়ে গেছে। স্বল্প মূলধনী কোম্পানি বলে বিনিয়োগকারীদের উৎসাহী একটি অংশও শেয়ারটি নিয়ে অপ্রত্যাশিতভারে দর বাড়িয়েই চলেছেন। সর্বশেষ প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৫ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর (দ্বিতীয়) প্রান্তিকে আইটিসির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ২০ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ২১ পয়সা। এর আগে প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি এ কোম্পানির লোকসান হয় ৫ পয়সা। অবশ্য আগের বছর একই সময়ে লোকসান আরও বেশি ছিল। ২০১৫ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর সময়ে ৪১ লাখ ৪০ হাজার টাকা লোকসান করে, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৩ কোটি ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এদিকে দ্বিতীয় প্রান্তিকের মুনাফার সুবাদে চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) আইটিসির ইপিএস দাঁড়িয়েছে ১৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ১৪ পয়সা লোকসান করেছিল এ কোম্পানি। ৩১ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানের শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ১৭ টাকা ৫৬ পয়সা। ২০১৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, আইপিও-পূর্ববর্তী ইপিএস ছিল ১ টাকা ৪ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১৮ টাকা ২৮ পয়সা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) উপস্থাপিত উপাত্ত অনুসারে, ২০১৫ হিসাব বছরে আইটিসির ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৪২ পয়সা। ২০১৫ সালের শেষ দিকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১২ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহ করেছে তথ্য প্রযুক্তি খাতের কোম্পানি। এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৫৫৪তম সভায় কোম্পানির আইপিও অনুমোদন হয়। এর পর অভিহিত মূল্যে ১ কোটি ২০ লাখ শেয়ার ইস্যু করে তারা। এতে কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৮৭ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। প্রসপেক্টাস অনুসারে, কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে সংগ্রহ করা অর্থে ব্যবসা সম্প্রসারণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ ও আইপিও প্রক্রিয়ার ব্যয় নির্বাহ করবে। কোম্পানির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিল বেটাওয়ান ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড, নিরীক্ষক হুদাভাসি চৌধুরী এ্যান্ড কোং। ডিএসইতে বৃহস্পতিবার সর্বশেষ ৭৭ টাকা ৮০ পয়সায় আইটিসির শেয়ার হাতবদল হয়। ১০ জানুয়ারি স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন চালুর পর এ কোম্পানির শেয়ারের সর্বনিম্ন দর ছিল ৩৫ টাকা ১০ পয়সা ও সর্বোচ্চ ৮৩ টাকা ৪০ পয়সা। কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, আইটিসি লিমিটেডের মূল ব্যবসা, এটিএম ও ইলেকট্রনিক পেমেন্ট-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার বিক্রি এবং সংশ্লিষ্ট রক্ষণাবেক্ষণ সেবা। বর্তমানে কোম্পানির ৬৪ দশমিক ২৩ শতাংশ শেয়ার এর উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ২৩ দশমিক ৩৬ এবং বাকি ১২ দশমিক ৪১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।
×