ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সড়ক ও কালভার্ট নির্মাণে অনিয়ম

প্রকাশিত: ০৩:৩৩, ২৮ জানুয়ারি ২০১৬

সড়ক ও কালভার্ট নির্মাণে অনিয়ম

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ কক্সবাজার খুরুশকুল চৌফলদ-ি সড়ক ও কালভার্ট নির্মাণ কাজে ব্যাপক দুর্নীতি, অনিয়ম ও কারচুপি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংখ্যালঘুদের দীর্ঘকালের টিলা ও পাহাড় জবরদখল করে কেটে মাটি ভরাট করা হচ্ছে ওই কাজে। নিম্নমানের ইট বালু আর নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে রাস্তার কাজ করছে বলে রাস্তার প্রশস্তকরণ প্রত্যেক জায়গায় সমান হচ্ছে না। ঠিকাদারের লোকজন ঠিকমতো পানি না দিয়ে যেনতেনভাবে মাটি চাপা দিয়ে দায়সারাভাবে কাজ করছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এতে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে সব উঠে গিয়ে নষ্ট হয়ে যাবে বলে মনে করছেন তারা। কক্সবাজার সওজের আওতায় ১০ কোটি ৪ লাখ টাকার এ কাজে ব্যাপক অনিয়ম হচ্ছে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসককে অভিযোগ দিয়েছে এলাকার সর্বস্তরের মানুষ। খুরুশকুল এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, অনেক দিন পর খুরুশকুলবাসীর আশা পূরণ হতে চলেছে ধারণায় আমরা খুবই আনন্দিত হয়েছিলাম। কিন্তু খুবই নিম্নমানের কাজ হচ্ছে দেখে স্থানীয় লোকজন হতাশ। ১০ কোটি টাকারও বেশি বরাদ্দের কাজে মাটি কেটে সেখানে কিছু ইটের খোয়া দিয়ে সেই একই মাটি দিয়ে আবার ভরাট করা হচ্ছে। রাস্তা প্রশস্তকরণ কাজে রাস্তার উভয় পাশে আড়াই ফুটের মতো মাটি কেটে পাথরে পানি দিয়ে ভালভাবে ভিজিয়ে রোলার দ্বারা শক্ত করে সেখানে নতুন মাটি ফেলে ভরাট করার নিয়ম রয়েছে প্রাক্কলনে। জনসেবায় বরাদ্দ দেয়া ১০ কোটি টাকার সরকারী কাজে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় তারা আমাদের নামে উল্টো মামলা ঠুকে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে। কুলিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দারা জানায়, রাস্তার কাজ চলছে বলে স্থানীয়দের অনেকে সেচ্ছায় রাস্তার কাজের জন্য জমি ছেড়ে দিয়েছে। ঠিকাদারের শ্রমিকরা মাটি কুড়ে কিছু ইটের খোয়া দিয়ে ফের নিজেরাই ভরাট করে দিয়েছে। কোনদির রোলার দিয়ে চাপ দেয়নি। এলাকাবাসীর দাবির মুখে একটি রোলার আনা হলেও সেটি বেশিরভাগ সময় বিকল থাকে। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি হলে এ কাজ সম্পূর্ণ উঠে যাবে। কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রানা প্রিয় বড়ুয়া বলেন, খুরুশকুল চৌফলদ-ি সড়ক ১১ কিলোমিটার প্রশস্তকরণ ছাড়াও ৩টি কালভার্ট নির্মাণ কাজের জন্য ১০ কোটি ৪ লাখ টাকার বেশি বরাদ্দে প্রকল্পের কাজ চলছে। কাজ তদারকি করার জন্য কয়েকজন প্রকৌশলী দায়িত্বে আছেন।
×