ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সিনহার বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন এ্যাটর্নি জেনারেল

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ২২ জানুয়ারি ২০১৬

সিনহার বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন এ্যাটর্নি জেনারেল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, ‘বিচারপতিদের অবসরের পর রায় লেখা আইন ও সংবিধান পরিপন্থী’ বলে প্রধান বিচারপতি যে বক্তব্য দিয়েছেন তা প্রধান বিচারপতির নিজস্ব বক্তব্য। এটা আদালতের কোন সিদ্ধান্ত নয়। যদি হতো তা হলে অনেক বিচারপতি অবসরে যাবার আগেই দুই তিন মাস বেঞ্চেই বসতে পারবেন না। প্রধান বিচারপতি হয়তো বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে এমন বক্তব্য রেখেছেন। তিনি আরও বলেন, উনার বক্তব্যের সঙ্গে আমি একমত নই। বৃহস্পতিবার এ্যাটর্নি জেনারেল তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেছেন। উল্লেখ্য প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বলেছেন, অবসর গ্রহণের দীর্ঘদিন পর পর্যন্ত বিচারপতিদের রায় লেখা আইন ও সংবিধান পরিপন্থী। একইসঙ্গে তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এ বেআইনী কাজ থেকে বিরত থাকতে সকল বিচারপতিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বাংলাদেশের ২১তম প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব গ্রহণের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মঙ্গলবার সুপ্রীমকোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। এরপর দেশের সাবেক আইনমন্ত্রী, সাবেক বিচারপতিগণ, আইনজীবীবৃন্দ মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানান। বৃহস্পতিবার এ্যাটর্নি জেনারেল তার অবস্থান পরিষ্কার করলেন। এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, যখন আপীল বিভাগের কোন রায় ঘোষণা করা হয় তখন সব বিচারপতিগণই থাকেন। ঘোষিত রায়টিই মুখ্য বিষয়। পরে পূর্ণাঙ্গ রায় লেখার পর সমস্ত বিচারপতিগণ স্বাক্ষর করেন। রায় ঘোষণার সময় আপীল বিভাগে ৫ বিচারপতি থাকলে সেটা ৫ জনেরই রায় হবে। একজন অবসরে গেলেও সে রায় বাতিল হতে পারে না। এ ধরনের আইন হাইকোর্টের রুলসেও নেই। বিচারপতিগণ অবসরে যাবার পর রায়ে সই করতে পারবেন না এটার সঙ্গে আমি একমত নই। যে দিনের রায় ঘোষণা করা হয় পূর্ণাঙ্গ রায়ে সেই দিনেই স্বাক্ষর করেন। স্বাক্ষরের সময় তারিখ থাকে না। এক প্রশ্নের উত্তরে এ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, প্রধান বিচারপতির বক্তব্য নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা চলছে। একটি দল তার বক্তব্যকে লুফে নিয়ে যা করছে, তা খুবই হাস্যকর। প্রধান বিচারপতি সম্ভবত বর্তমান পরিস্থিতিতেই এমন কথা বলেছেন। বর্তমান অনেক বিচারপ্রার্থী বলেছেন রায় পাচ্ছেন না। প্রধান বিচারপতির বক্তব্যটিকে ত্রয়োদশ সংশোধনীর সঙ্গে যুক্ত করাটা অসৎ উদ্দেশ্য। অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রিভিউয়ে বেঞ্চ পুনর্গঠন করতে হবে। ইতোমধ্যে ওই বেঞ্চে দুই বিচারপতি অবসরে গেছেন। বেঞ্চ শোনার মতো হলে তখন আমরা রিভিউ শুনানির জন্য আবেদন করবো।
×