স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা থেকে ॥ মিলনোৎসব! শনিবার দু’বাংলার বিক্রমপুরবাসীর মিলনোৎসব শুরু হয়েছে। প্রথম দিন আসরটি বসেছিল কলকতার সদানন্দ রোডের তপন থিয়েটারে। নানা কারণেই এতে বিশেষ এক পরিবেশ তৈরি হয়। সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বালিয়ে এই আয়োজনের উদ্বোধন করেন বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. বারিদবরণ ঘোষ, মিশনের হেড চ্যান্সেলর মিয়া মোঃ মইনুল কবির, বালি পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ হাজরা, বিক্রমপুর ফেন্ডশিপ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সভাপতি জাহাঙ্গীর সরকার মন্টু।
উদ্বোধনী সঙ্গীত আয়োজনে বিশেষ মাত্রা যুক্ত করে। স্মৃতিচারণে নষ্টালজিয়ায় ভোগেন দু’বাংলার অংশগ্রহণকারীরা। পরে বাংলাদেশী অতিথিদের সম্মানে থাকছে অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাটক ‘লাগলে বলবেন’। উৎসবটির আয়োজন করেছে ভারত বিক্রমপুরে ফেন্ডসশিপ ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। এই আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জ বিক্রমপুর ফেন্ডশিপ ওয়েলফেয়ার সোসাইটি।
আয়োজনটিতে বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জ তথা বিক্রমপুর থেকে ৫০ বিশিষ্ট ব্যক্তি অংশ নিচ্ছেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সিরাজদিখান উপজেলার চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহম্মেদ, বিক্রমপুর জাদুঘরের কিউরেটর উপাধ্যক্ষ শাজাহান মিয়া, লেখক আজাহারুল ইসলাম, আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জ্ঞান রঞ্জন দাস, বিক্রমপুর ফেন্ডশিপ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সাধারণ স¤পাদক হামিদা খাতুন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি চির রঞ্জন দত্ত। সহকারী সাধারণ সম্পাদক বিক্রমপুরের সন্তান শর্মীলা গাঙ্গুলি জানান, এই আয়োজন দু’বাংলার বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় করবে। আজ রবিবার কালীঘাটের যোগেশ মাইম একাডেমি হলে বসবে দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠান। এতে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন ছাড়াও দু’বাংলার শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। উৎসবে অংশ নেয়া কলকতার বালিগঞ্জের বাসিন্দা চৈতালী ব্যানার্জী জানান, তার পূর্ব পুরুষরা বাংলাদেশের বাসিন্দা। কিন্তু সেখানে অনেক স্মৃতি পরে আছে। এই উৎসবে দু’বাংলার অংশগ্রহণে আত্মার প্রশান্তি পাচ্ছি। পরিবারপরিজন নিয়ে অনেকে এই আয়োজনে অংশ নিয়ে বাংলার বিভক্তির কষ্টের ভাব প্রকাশ করেন নানা ভাবে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: