ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নতুন স্বপ্ন নিয়ে বোরো চাষে ব্যস্ত বরেন্দ্রর কৃষক

প্রকাশিত: ০৬:২১, ৮ জানুয়ারি ২০১৬

নতুন স্বপ্ন নিয়ে বোরো চাষে ব্যস্ত বরেন্দ্রর কৃষক

মামুন-অর-রশিদ, রাজশাহী ॥ আমন ঘরে তোলার পর এবার বোরোচাষে নতুন স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নেমেছেন রাজশাহীসহ বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষক। আমন ধান কাটা-মাড়াই শেষে বোরোর আবাদ নিয়ে ব্যস্ত চাষীরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার বীজতলার ক্ষতি হয়নি। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহী জেলায় এবার বোরোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭০ হাজার ১৩৫ হেক্টর জমিতে। আর রাজশাহী অঞ্চলের নাটোর, রাজশাহী, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ১৭ হাজার ৫১৫ হেক্টর। তবে কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছেন এবারো বোরোর চাষাবাদ লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে। এখন জেলার যে কোন মাঠে দৃষ্টি দিলেই চোখে পড়বে বোরো রোপণের দৃশ্য। কৃষক লাইন হয়ে বোরো রোপণ করছেন জমিতে। কোথাও কোথাও বীজতলা থেকে চারা তোলা হচ্ছে। গোদাগাড়ী উপজেলার কাঁকনহাট পৌর এলাকার পাঁচগাছিয়া গ্রামের কৃষক হাসিবুর রহামন জানান, তিনি ১১ বিঘা জমিতে বোরো চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করছেন। গোদাগাড়ী, মোহনপুর, পবা ও তানোর উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে কৃষকরা বোরো রোপণ শুরু করেছেন। অনেক কৃষক গভীর নলকূপ থেকে সেচ নিয়ে জমি তৈরি করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কৃষকরা জানান আর এক সপ্তাহের মধ্যে পুরোদমে বোরো চাষ শুরু হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের রাজশাহী বিভাগীয় সহকারী উপ-পরিচালক হযরত আলী জানান, কৃষি উপকরণ কৃষকের নাগালের মধ্যে থাকায় বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। অনেক এলাকার কৃষক এরই মধ্যে রোপণের কাজ সেরে ফেলেছেন। অনেকে জমি প্রস্তুত করছেন। আর এক সপ্তাহের মধ্যে বোরো রোপণের কাজ অনেকাংশে শেষ হয়ে যাবে। মাদারীপুরে সেশন চার্জ পরিশোধ সাপেক্ষে নতুন বই নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর, ৭ জানুয়ারি ॥ সরকার শত শত কোটি টাকা ব্যয় করে বছরের শুরুতেই বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন বই বিতরণ করে আসছে। কিন্তু বই বিতরণে কতিপয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেশন ফি পরিশোধ করার পর শিক্ষার্থীদের নতুন বই বিতরণ করা হচ্ছে। ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, মাদারীপুর জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তি ফি, বেতনসহ সেশন ফি আদায় করে নতুন বই দেয়া হচ্ছে। জনপ্রতি ৮শ’ থেকে ১২শ’ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে এমন অভিযোগ ছাত্র-ছাত্রীদের। যারা বিদ্যালয়ের পাওনা পরিশোধ করতে পারছে না তারা নতুন বই থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ পরিস্থিতি শুধু শহরেই নয়, গ্রাম-গঞ্জের স্কুলগুলোর অবস্থাও একই রকম। সাধারণত গ্রামের স্কুলগুলোতে অধিকাংশ দরিদ্র পরিবারের ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া করে। এমন কিছু পরিবার আছে যাদের সেশন ফি দেয়ার সামর্থ্য নেই। এ অবস্থায় শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান বলেন, শিক্ষার্থীরা এলে তাদের বই দিয়ে দেয়া হচ্ছে। কারও কাছ থেকে জোর করে বিদ্যালয়ের পাওনা আদায় করা হচ্ছে না। কেউ তা করে থাকলে সেটা হবে দুঃখজনক।
×