ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পদ্মা সেতুর ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাবসহ একনেকে দশ প্রকল্প অনুমোদন

প্রকাশিত: ০৫:২৩, ৬ জানুয়ারি ২০১৬

পদ্মা সেতুর ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাবসহ একনেকে দশ প্রকল্প অনুমোদন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পদ্মা বহুমুখী সেতুর ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি(একনেক)। ফলে বর্তমান ব্যয় থেকে ৮ হাজার ২৮৬ কোটি টাকা বেড়ে সংশোধিত ব্যয় দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা। মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা। মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। এছাড়া আরও নয়টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতু প্রকল্পসহ মোট ১০টি প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩ হাজার ১৮৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারী তহবিল থেকে ৩০ হাজার ২৯২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ২২ কোটি ৩২ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ২ হাজার ৮৭০ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, পরিকল্পনা সচিব মোহাম্মদ সফিকুল আজম, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব কানিজ ফাতেমা এবং সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম। একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, নদী ড্রেজিং-এর ফলে যে পরিমাণ মাটি পাওয়া যাবে সেগুলো বিদেশে রফতানি করা যায় কিনা ভেবে দেখতে হবে। তানা হলে ওই মাটি ইটভাঁটিতে ব্যবহার কিংবা অন্য কোন কাজে লাগানো যায় কিনা সে পথ বের করতে হবে। তানা হলে ড্রেজিং-এর মাটি খুঁড়ে যদি আবার নদীতেই ফেলা হয় তাহলে কোন লাভ হবে না। তিনি বলেন, যেসব নদী ড্রেজিং করা হবে সেগুলো সবসময়ই ড্রেজিং করতে হবে। এছাড়া ছিটমহল বিলুপ্ত হওয়ায় এখন থেকে ছিটমহল কথাটি ব্যবহার না করার নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, ওইসব ছিটমহলকে পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। একনেক বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব তথ্য জানিয়েছেন। একনেকে অনুমোদিত অন্যান্য প্রকল্প হচ্ছে, স্কিলস এন্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট, এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে এক হাজার ৭৮২ কোটি ১৩ লাখ টাকা। গোপালগঞ্জ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন প্রকল্প, এর ব্যয় ১২৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। বিলুপ্ত ছিটমহল সমূহের গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, এর ব্যয় ১৮০ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ একাডেমির প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন ও জোরদারকরণ, এর ব্যয় ৫২ কোটি ২৫ লাখ টাকা। জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ একাডেমি শক্তিশালীকরণ প্রকল্প, এর ব্যয় ৪৮ কোটি ২৭ লাখ টাকা। বাগেরহাট জেলার পোল্ডার নং-৩৬/১ এর পুনর্বাসন প্রকল্প, এর ব্যয় ২৮২ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। নিউ হরিপুর পাওয়ার প্লান্ট ডেভেলপমেন্ট প্রোজেক্ট (লংটার্ম সার্ভিস এগ্রিমেন্ট এন্ড আদার সাপোর্ট সার্ভিসেস ফর হরিপুর ৪১২ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট) প্রকল্প, এর ব্যয় ৮০৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। বিটাকের কার্যক্রম শক্তিশালী করার লক্ষ্যে টেস্টিং সুবিধাসহ টুল ইনস্টিটিউট স্থাপন প্রকল্প, এর ব্যয় ৭২ কোটি ২৬ লাখ টাকা। ভা-ার জুড়ি পানি সরবরাহ প্রকল্প, এর ব্যয় এক হাজার ৩৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
×