ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পাঁচ জানুয়ারি ছিল বেগম জিয়ার গণতন্ত্র হত্যা দিবস ॥ ইনু

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ৫ জানুয়ারি ২০১৬

পাঁচ জানুয়ারি ছিল বেগম জিয়ার গণতন্ত্র হত্যা দিবস ॥ ইনু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, পাঁচ জানুয়ারি ছিল খালেদা জিয়ার গণতন্ত্র হত্যা দিবস। এ দিনের নির্বাচন ছিল সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। কোন অবস্থাতেই সেদিন নির্বাচন এড়ানো সম্ভব ছিল না। বিএনপি প্রধান সব কিছু জেনেও অযৌক্তিক দাবি তোলেন কিন্তু সংলাপ এড়িয়ে যান, সংলাপ প্রত্যাখ্যান করেন। সোমবার নগরীর শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর জাসদ সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে ‘অসাংবিধানিক অস্বাভাবিক সরকার আনার ষড়যন্ত্রের রাজনীতি: গণতান্ত্রিক শক্তির করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী ইনু বলেন, খালেদা জিয়া আসলে নির্বাচন বানচাল করতে চেয়েছিলেন, নির্বাচন তার এজেন্ডা ছিল না। তার উদ্দেশ্য ছিল দেশকে সাংবিধানিক ধারার বাইরে ঠেলে দেয়া এবং অস্বাভাবিক সরকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালানো। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া নির্বাচন বানচাল করে সংবিধান হত্যা করে গণতন্ত্রের কবর রচনা করতে চেয়েছিলেন। সুতরাং তার গণতন্ত্র হত্যা দিবস আসলে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস নয়: ৫ জানুয়ারি আসলে ছিল সংবিধান রক্ষা দিবস’। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া গণতন্ত্র-সংবিধান হত্যা করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু জনগণ সংবিধান রক্ষা করে। গণতন্ত্র-সংবিধান হত্যার অপচেষ্টার মধ্য দিয়ে তিনি গণতন্ত্রের রাজনীতি থেকে নিজেকে নিজেই ‘মাইনাস’ করেন। খালেদা-তারেক বিএনপিকে একটি সন্ত্রাসী-জঙ্গীবাদী দলে পরিণত করে এমন মন্তব্য করে ইনু বলেন, বিএনপি-জামায়াত এখন জঙ্গী উৎপাদনে ও পুনরুৎপাদনের কারখানায় পরিণত হয়েছে। খালেদার পক্ষে জামায়াত-যুদ্ধাপরাধী-জঙ্গী ত্যাগ করা সম্ভব হবে না বলে মনে হচ্ছে। ঢাকা মহানগর জাসদ সমন্বয় কমিটির সমন্বয়ক মীর হোসাইন আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জাসদ সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়া, স্থায়ী কমিটির সদস্য শিরীন আখতার, নাজমুল হক প্রধান এমপি, করিম সিকদার, শফি উদ্দিন মোল্লা, শহীদুল ইসলাম, একেএম শাহ আলম এবং রোকনুজ্জামান রোকন।
×