ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কুড়িগ্রামে দালালদের খপ্পরে তিন শ’ বিদ্যুত গ্রাহক

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ৪ জানুয়ারি ২০১৬

কুড়িগ্রামে দালালদের খপ্পরে তিন শ’ বিদ্যুত গ্রাহক

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ স্থানীয় দালালদের খপ্পরে পড়ে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা খরচ করেও বিদ্যুত না পেয়ে কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লীবিদ্যুত অফিসে অভিযোগ করেছেন কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার পাত্রখাতা গ্রামের ভুক্তভোগী ২৯০ জন । বিদ্যুত না পেয়ে ভুক্তভোগীরা টাকা ফেরত চাইলে হুমকি দিচ্ছে দালালরা। জানা যায়, ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে চিলমারী উপজেলার রমনা ইউনিয়নের পাত্রখাতা গ্রামে পাঁচ কিলোমিটার পল্লীবিদ্যুতের নির্মাণ কাজ শুরু করে কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লীবিদ্যুত সমিতি। এতে প্রায় ৩৮২টি বাড়িকে বিদ্যুতের লাইনের আওতায় আনা হয়। কাজ শুরু হওয়ার আগেই লাইন নির্মাণে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-ঠিকাদার সাইফুল ইসলামের যোগসাজশে স্থানীয় দালাল মুনসুর মেম্বার (সাবেক), মুদাফৎ থানা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক হারুনর রশিদ হারুন, পাত্রখাতা রিয়াজুল জান্নাহ দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক নজরুল ইসলাম, ইব্রাহিমের ছেলে রেজাউলসহ ৮-১০ জন সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেয়। কিন্তু দুই বছর পেরিয়ে গেলেও বিদ্যুতের আলো পায়নি তারা। কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লীবিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার মোজাম্মেল হক লাইনে বিদ্যুত সরবরাহে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে উলিপুর জোনাল অফিসকে নির্দেশ দেন। ঘরওয়ারিং ও বিদ্যুতায়নের যাবতীয় কাগজপত্র দালালদের হাতে জিম্মি থাকায় সাধারণ মানুষ তা জমা দিতে পারেনি। জমা কাগজ উদ্ধার করতে গেলে প্রতি মিটারে কাগজবাবদ আড়াই হাজার করে টাকা দাবি মুনসুর মেম্বার, হারুন, নজরুল ও রেজাউল। ইতোপূর্বে পাঁচ হাজার করে টাকা দেয়ার পরও কাজ না হওয়ায় তারা দালালচক্রের দাবি করা আড়াই হাজার করে টাকা দিতে অপারগতা জানায়। কাগজপত্র স্থানীয় দালালদের হাতে জিম্মি থাকার বিষয়টি জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সুরাহা না করে দালালদের সঙ্গে মিটমাট করে নিতে বলেন। কাগজ না পেয়ে বাধ্য হয়ে গত নবেম্বরের ৭ তারিখে ৩৮২ জনের মধ্যে মাত্র ১৮ জনকে বিদ্যুত সরবরাহ করে বিদ্যুতায়নের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লীবিদ্যুত সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোজাম্মেল হক জানান, জেলার কোথাও লাইন নির্মাণ হওয়ার আগে থেকেই আমরা গ্রাহকদের অফিশিয়াল ডকুমেন্ট ছাড়া টাকা দিতে নিষেধ করি। কিন্তু তারপরও তারা দালালদের হাতে টাকা দেয়।
×