ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রাম বন্দরের ২০ লাখ কন্টেনার হ্যান্ডলিংয়ের রেকর্ড

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ৪ জানুয়ারি ২০১৬

চট্টগ্রাম বন্দরের ২০ লাখ কন্টেনার হ্যান্ডলিংয়ের রেকর্ড

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ১৯৭৭ সালে কন্টেনার হ্যান্ডলিং কার্যক্রম শুরুর ৪১ বছর পর নির্ধারিত সময়ের এক বছর আগেই ২ মিলিয়ন কন্টেনার হ্যান্ডলিংয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। গত ২০ বছরে কন্টেনার হ্যান্ডলিংয়ের গড় প্রবৃদ্ধি ছিল ১১ শতাংশ। ২০১২ থেকে ২০১৫ সালের তিন বছরে গড় প্রবৃদ্ধি ছিল ১৬ শতাংশ এবং ৭ লাখ টুয়েন্টি ইক্যুইভেলেন্ট ইউনিটস (টিইইউএস) কন্টেনার হ্যান্ডলিং বৃদ্ধি পেয়েছে। পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৬ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে ১৯ দশমিক ৫৬ লাখ টিইইউএস কন্টেনার এবং ৪২ দশমিক ৪৭ লাখ মেট্রিক টন জেনারেল কার্গো হ্যান্ডলিং করতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের এক বছর আগেই অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে ২০ দশমিক ২৫ লাখ টিইইউএস কন্টেনার এবং ৫১ দশমিক ৩৮ লাখ মেট্রিক টন জেনারেল কার্গো হ্যান্ডেলিং করে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। রবিবার ঢাকায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেনার হ্যান্ডলিং ২০ লাখ টিইইউ’স অতিক্রমের সাফল্য বিষয়ক সনদ হস্তান্তর বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল নিজাম উদ্দীন আহমেদ। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ২০১৫ সালে ২০ লাখ টিইইউস কন্টেনার হ্যান্ডলিংয়ের সাফল্য অর্জন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেনার ধারণক্ষমতা ৩০ হাজার টিইইউএস থেকে প্রায় ৪০ হাজার টিইইউএস এ উন্নতি করা হয়েছে। আগামী ২০৪৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশের কন্টেনার হ্যান্ডেলিং ডিমান্ড হবে ১০ দশমিক ৬ মিলিয়ন টিইইউএস। সংবাদ সম্মেলনে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ বন্দর অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। ১৯৭১-এর ২৪ মার্চ ‘এম ভি সোয়াত জাহাজ বিদ্রোহ’ এবং মুক্তিযুদ্ধকালে ‘অপারেশন জ্যাকপট’ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয় এবং চট্টগ্রাম বন্দরকে বিশ্বের কাছে পরিচিত করে তুলে। মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু নেতৃত্বে দেশ পুনর্গঠনের কাজ শুরু হলে বন্দরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী শ্রমিক নেমে পড়েন আরেক যুদ্ধে। এগিয়ে চলা শুরু হয় দেশের স্বার্থে চট্টগ্রাম বন্দরের। চট্টগ্রাম বন্দর সেই হতে নিজ আয়ে পরিচালিত হতে সক্ষম হয়। শাজাহান খান বলেন, দেশ এখন নি¤œ আয়ের দেশ হতে মধ্যম আয়ের দেশ। চট্টগ্রাম বন্দর যে সফল্য দেখিয়েছে তা দেশের সামনের দিকে এগিয়ে যাবারই সুস্পষ্ট ইতিবাচক দৃষ্টান্ত। দেশের বিরাজমান স্থিতিশীল রাজনৈতিক প্ররিবেশের কারণে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা কোন অবস্থাতাতেই এই স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে পারি না। এ বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। পরে মন্ত্রী সফল কাজের স্বীকৃতি হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যানের কাছে সাফল্য সনদ প্রদান করেন। তিনি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মাসিক মুখপত্র ‘বন্দর বার্তা’-এর মোড়ক উন্মোচন করেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এম এ লতিফ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায় ও চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (প্রশাসন) জাফর আলম বক্তব্য রাখেন।
×