ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পাবনায় নদীপারে বিরাজ করছে আতঙ্ক

যমুনায় বিলীন ঘরবাড়ি ফসলের জমি

প্রকাশিত: ০৬:১৬, ২১ অক্টোবর ২০১৫

যমুনায় বিলীন ঘরবাড়ি ফসলের জমি

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ২০ অক্টোবর ॥ বেড়া উপজেলায় যমুনা নদীতে চলছে ভাঙনের তা-ব। ভাঙনের কবলে একে একে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বসতভিটা, ফসলী জমি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। নদীপাড়ের মানুষের মাঝে বিরাজ করছে ভাঙন আতঙ্ক। এলাকাবাসি জানিয়েছে, যমুনা নদী পশ্চিম প্রান্ত দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনার প্রচ- স্র্রোতে উপজেলার হাটুরিয়া-নাকালিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ চর পেঁচাকোলা গ্রাম ও আশপাশের এলাকায় তীব্র ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। গত তিন চার মাসে অব্যাহত ভাঙনে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনে প্রায় দেড় হাজার বিঘা ফসলী জমি নদীগর্ভে হারিয়ে গেছে। এসব জমিতে আমন ধান, বাদাম ও মাসকালাইের চাষ করা হতো। ইতোমধ্যেই নদীপাড়ের ৫০টির বেশি বাড়িঘর সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ভাঙনের হুমকির মুখে আরও প্রায় অর্ধশত বাড়িঘর সরিয়ে নেয়ার প্রস্তুতি চলছে। দ্বীপচরের একমাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। পাশের একটি মক্তবের খোলা মাঠে ছাত্রছাত্রীরা ক্লাস করছে। ওই মক্তবটি ভাঙনের মুখে রয়েছে। ফলে মক্তবের ৪৭৫ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এদিকে যমুনা নদীর গতিপথ পশ্চিম প্রান্তে সরে আসায় প্রচ- স্্েরাত ঘুরপাক খাচ্ছে। তীব্র স্রোতের টানে ভেঙ্গে পড়ছে নদীর পাড়। এলাকার মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। দক্ষিণ চর পেঁচাকোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি, শাহাদত হোসেন জানিয়েছেন, তিনি জীবনে যমুনা নদীর এমন ভাঙন এর আগে আর কখনও দেখেননি। এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে অচিরেই দ্বীপচরের বড় অংশই নদীগর্ভে হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ভাঙন রোধে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বেড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এতে ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বিভাগের বেলকুচি উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম বলেন, ভাঙন রোধের দায়িত্ব পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়া কৈটোলা নির্মাণ বিভাগের। এ ব্যাপারে তাদের করার কিছু নেই। কৈটোলা নির্মাণ বিভাগের নির্বাহী প্রকেীশলীর অতিরিক্ত দায়িত্বে নিয়োজিত বেড়া পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কবিবুর রহমান জানিয়েছেন, ভাঙন রোধের জন্য স্থায়ী প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। দ্রুত ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
×