ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকারী থেকে বেসরকারী মেডিক্যালে ব্যয় চার গুণ

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫

সরকারী থেকে বেসরকারী মেডিক্যালে ব্যয় চার গুণ

নিখিল মানখিন ॥ একই কোর্স সম্পন্ন করতে সরকারী মেডিক্যাল কলেজের তুলনায় চারগুণ বেশি ব্যয় হয় বেসরকারী কলেজে। কোর্সের নাম ‘এমবিবিএস’। ‘ডাক্তার’ হতে হলে এই কোর্স সম্পন্ন করতে হয়। সরকারী মেডিক্যাল কলেজে ৫ বছরের এমবিবিএস কোর্স সম্পন্ন করতে একজন শিক্ষার্থীর মোট ব্যয় হয় প্রায় ৬ লাখ টাকা। আর বেসরকারী কলেজে তা অর্জন করতে লাগে প্রায় ২৭ লাখ টাকা। সরকারী ও বেসরকারী উভয় ক্ষেত্রেই শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত ব্যয় ধরা হয়নি। বেসরকারী কলেজে শুধু ভর্তি ফি-ই ধরা হয়েছে ১৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। সরকারী কলেজে এই পরিমাণ মাত্র ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। একই কোর্স অর্জন করতে সরকারী ও বেসরকারী কলেজের শিক্ষাব্যয়ের এই বিশাল পার্থক্য মেডিক্যাল শিক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকদের ভাবিয়ে তুলেছে। বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজসমূহের আকাশচুম্বী ব্যয় বহন করতে না পেরে শিক্ষা লাভের মাঝপথে ঝরে পড়ে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী। মুক্তিযোদ্ধা ও দরিদ্র কোটায় সুযোগপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই সুযোগ পেয়েও আর্থিক কারণে বেসরকারী কলেজে ভর্তি হতে পারেন না। এ সুযোগে তাঁদের কোটা নিয়ে অনেক কলেজে চলে সিট বিক্রির অবৈধ ব্যবসা। বিপুল অঙ্কের টাকায় ভর্তি হয়েও বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজে মানসম্মত শিক্ষা প্রদান করা হয় না বলে অভিযোগ করেছেন অনেক শিক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবক। স্বাস্থ্য অধিদফতর, বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ, শিক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকদের সঙ্গে আলাপ করে এ তথ্য জানা গেছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, দেশে বর্তমানে ২৯টি সরকারী মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ৩১৬২টি এবং ৯টি সরকারী ডেন্টাল কলেজ ও মেডিক্যাল কলেজগুলোর ডেন্টাল ইউনিট মিলিয়ে বিডিএস কোর্সে মোট ৫৩২টি। দেশে ৬৪টি বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজে ৫৩২৫টি আসন রয়েছে। ২৪টি বেসরকারী ডেন্টাল কলেজ ও মেডিক্যাল কলেজগুলোর ডেন্টাল ইউনিট মিলিয়ে বিডিএস কোর্সে ১২৮০টি আসন রয়েছে বলে জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর। সরকারী ও বেসরকারী কলেজে এমবিবিএস কোর্স ॥ সরকারী ও বেসরকারী উভয় ক্ষেত্রেই এমবিবিএস কোর্স ৫ বছরে এবং বিডিএস কোর্স ৪ বছর সম্পন্ন হয়। এমবিবিএস কোর্স সম্পন্ন করতে একজন শিক্ষার্থীর সরকারী কলেজে প্রায় ৬ লাখ টাকা এবং বেসরকারী কলেজে প্রায় ২৭ লাখ টাকা লাগে। সরকারী মেডিক্যাল কলেজে লেখাপড়া ॥ সরকারী মেডিক্যাল কলেজে প্রতিষ্ঠান ভেদে ভর্তি ফি ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে বাৎসরিক বেতন, ইউনিভার্সিটি রেজিস্ট্রেশন ফি, লাইব্রেরি ফি, কমন রুম ফি, আইডি কার্ড ফি, ছাত্র কল্যাণ ফিসহ অন্যান্য ফি অন্তর্ভুক্ত। পরবর্তী বছরগুলোতে কলেজের নির্ধারিত ব্যয় বছরে ১০ হাজার টাকার বেশি লাগে না। এভাবে একজন আবাসিক শিক্ষার্থীর (থাকা, খাওয়া-দাওয়া) ন্যূনতম ব্যয় ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা (এর চেয়ে বেশি ব্যয় শিক্ষার্থীর ওপর নির্ভর করে)। ৫ বছরে বইপুস্তক ও সামগ্রিক মেডিক্যাল উপকরণ খাতে ব্যয় লাগে প্রায় দেড় লাখ থেকে ২ লাখ টাকা। এভাবে ব্যক্তিগত ব্যয় বাদ দিয়ে সাড়ে ৫ লাখ থেকে ৬ লাখ টাকা দিয়ে একজন শিক্ষার্থী সরকারী মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস কোর্স (৫ বছর) সম্পন্ন করতে পারেন। বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজে লেখাপড়া ॥ বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজগুলোতে ভর্তি ফি নির্ধারণ করেছে সরকার। এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজগুলো ভর্তি ফি বাবদ ১৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা নিতে পারবে। ইন্টার্ন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। এছাড়া ৫ বছরে মোট টিউশন ফি বাবদ ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার বেশি গ্রহণ করতে পারবে না। সরকারের পক্ষ থেকে ফি নির্ধারণ করে দেয়ার ফলে বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজ থেকে একজন শিক্ষার্থীর এমবিবিএস ডিগ্রী সম্পন্ন করতে মোট খরচ হবে ১৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা। একজন শিক্ষার্থীর আবাসিক ফি ও খাওয়া-দাওয়া খাতে প্রতি মাসে গড়ে ১০ হাজার টাকা হিসেবে বছরে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা, যা ৫ বছরে গিয়ে দাঁড়ায় ৬ লাখ টাকায়। ৫ বছরে বইপুস্তক ও সামগ্রিক মেডিক্যাল উপকরণ খাতে ব্যয় লাগে প্রায় দেড় লাখ থেকে ২ লাখ টাকা। এভাবে সরকারী মেডিক্যাল কলেজ থেকে একজন শিক্ষার্থীর এমবিবিএস কোর্স (৫ বছর) সম্পন্ন করতে ব্যক্তিগত ব্যয় বাদ দিয়ে প্রায় ২৭ লাখ টাকা দরকার হয়। তবে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর কলেজে সুযোগ পেতে কলেজ কর্তৃপক্ষ গোপনে আরও বাড়তি টাকা গ্রহণ করে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে ইন্টার্ন ফি বাবদ কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে যে টাকা গ্রহণ করবে পরবর্তীতে ইন্টার্নশিপ করার সময় তার লভ্যাংশসহ ফেরত দেবে। এদিকে, বেসরকারী মেডিক্যাল শিক্ষার ব্যয়ের পাশাপাশি শিক্ষার মান নিয়েও সমালোচনা করেছেন অনেক মেডিক্যাল শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক এবং বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, দীর্ঘ বছর ধরেই বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজসমূহ অস্বাভাবিক হারে ভর্তি ফি আদায় করে গত বছর প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে শুধু ভর্তি ফি ১৪ লাখ ২০ লাখ টাকা নেয়া হয়েছে। আর প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর অনেক কলেজে ভর্তির সুযোগ পেতে অনানুষ্ঠানিকভাবে অনেক শিক্ষার্থীকে দিতে হয়েছে বাড়তি টাকা। যা কাগজে-কলমে লিখিত থাকে না। প্রথম শ্রেণীর মেডিক্যাল কলেজগুলোতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেতে অনেক শিক্ষার্থী গোপনে মোটা অঙ্কের টাকা দেয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে। ভর্তি পরীক্ষার পাশাপাশি ভর্তি ফি নিয়ে এবারও আতঙ্ক প্রকাশ করেছেন অনেক মেডিক্যাল ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক। গত সেশনের অভিজ্ঞতা তাদের বেশ ভাবিয়ে তুলেছে। বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজগুলোর নিজেদের মতো করে বাড়তি ভর্তি ও কোর্স ফি আদায় করে আসছে। দীর্ঘদিন ধরে বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজগুলোর বিরুদ্ধে শিক্ষার নামে বাণিজ্য বসানোর অভিযোগ উঠে আসছে। বিগত শিক্ষাবর্ষে ভর্তি ফি, উন্নয়ন ব্যয়, বিধিসহ নামি-বেনামি অনেক খাতের অজুহাত দেখিয়ে চড়া ফি আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। ওইসব প্রতিষ্ঠানের ভর্তি বাণিজ্যসহ নানা নিয়মের বিষয়টি দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মেধাবী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বেশ ভাবিয়ে তুলেছে। এ বিষয়ে বিএমএর সাবেক সভাপতি এবং ডক্টরস ফর হেলথ এ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের সভাপতি রশিদী-ই মাহবুব। তিনি জনকণ্ঠকে জানান, সদিচ্ছা থাকলেই সহনশীল ভর্তি ফি নির্ধারণ করতে পারে সরকার। যত তাড়াতাড়ি বৈষম্য দূরীকরণে সরকারী হস্তক্ষেপ দরকার। আলোচনার মাধ্যমে এ বিষয়টি সুরাহা হতে পারে বলে মনে করেন তিনি। বাংলাদেশে এখনও ভর্তি ফি কম নেয়া হয় বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল প্র্যাকটিশনারস এ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ডাঃ জামাল উদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, মেডিক্যাল কলেজ পরিচালনা করা কোনভাবেই লাভজনক নয় বলে এ সেক্টরে বড় বড় ব্যবসায়ীর মুখ দেখা যায় না। জনকল্যাণমূলক উদ্দেশ্যেই মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়ে থাকে। তাই ব্যবসায়িক কারণে নয়, প্রতিষ্ঠানগুলোকে টিকিয়ে রাখার জন্যই তা করতে হয়। প্রতিষ্ঠান চালানোর চাহিদা ছাড়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোন বাড়তি টাকা নেয়া হয় না বলে জানিয়েছেন বেসরকারী কলেজের কর্তৃপক্ষরা। পার্শবর্তী দেশ ভারতে ভর্তি ফি হিসেবে ৩০ থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত নেয়া হয়ে থাকে বলে জানান মহাসচিব ডাঃ জামাল উদ্দিন চৌধুরী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত জানান, একটি মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করা খুবই ব্যয়বহুল। ভারতে প্রথম শ্রেণীর কয়েকটি কলেজে ভর্তি ফি হিসেবে শিক্ষার্থী প্রতি এক কোটি টাকাও নেয়া হয়ে থাকে বলে তিনি দাবি করেন। অনেক মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষাদানের স্থায়ী ও পর্যাপ্ত অবকাঠামো নেই ॥ এদিকে অভিযোগ উঠেছে, বেসরকারী মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজগুলো সরকারী নিয়ন্ত্রণে নেই। অধিকাংশ কলেজ নিজেদের তৈরি নিয়মে চলছে। বেসরকারী মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজ স্থাপন ও পরিচালনা আইন ২০১৩ নামের একটি আইনের খসড়া প্রস্তুত করে রেখেছে সরকার। খসড়া আইনটি চূড়ান্ত লাভ ও কার্যকর শুরু হলে বিদ্যমান বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজগুলোর অধিকাংশই প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। মেডিক্যাল শিক্ষার বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মত ॥ এদিকে কিছু সংখ্যক বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজের কারণে পুরো চিকিৎসা সেক্টর প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)-এর সভাপতি অধ্যাপক মাহমুদ হাসান। তিনি জনকণ্ঠকে জানান, বিভিন্ন কারণে পর্যাপ্ত দক্ষ চিকিৎসক তৈরি হচ্ছে না। অনেক বেসরকারী কলেজে শিক্ষক, মেডিক্যাল উপকরণ ও রোগীর সঙ্কট রয়েছে। কিছু সংখ্যক মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতাল পর্যন্ত নেই। হাসপাতাল, রোগী ও পর্যাপ্ত মেডিক্যাল উপকরণ না থাকায় শিক্ষার্থীরা প্র্যাকটিক্যাল দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়ে। নতুন মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আর শিক্ষকদের যোগ্যতা ভালভাবে মনিটরিং করা হয় না। একজন শিক্ষককে শিক্ষাদান ও চিকিৎসাসেবা প্রদান করতে হয়। অনেক সময় শিক্ষাদানের তুলনায় চিকিৎসাদানে বেশি সময় দিতে হয় শিক্ষকদের। অনেক শিক্ষক একাধিক মেডিক্যাল কলেজে সম্পৃক্ত থাকেন। তিনি আরও বলেন, বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজগুলোর মান বজায় রাখতে হবে। নিম্নমানের কলেজ থেকে বের হয়ে একজন দক্ষ চিকিৎসক এবং মানসম্মত চিকিৎসাসেবা দেয়া সম্ভব নয়। এ ধরনের চিকিৎসকরা অনেক সময় জাতির জন্য হুমকি হয়ে ওঠেন। ভাড়াটে ক্যাম্পাসে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ থাকে না। নতুন কলেজ অনুমোদন দেয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরও সতর্ক থাকা উচিত। মেডিক্যাল শিক্ষার মানের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, এ বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজগুলোর মান বজায় রাখতে হবে। নিম্নমানের কলেজ থেকে বের হয়ে একজন দক্ষ চিকিৎসক এবং মানসম্মত চিকিৎসাসেবা দেয়া সম্ভব নয়। এ ধরনের চিকিৎসকরা অনেক সময় জাতির জন্য হুমকি হয়ে ওঠেন। দেশের শতকরা ৬০ ভাগ চিকিৎসক বের হয় বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজ থেকে। আর তাদের সকলেই ধনাঢ্য পরিবার থেকে আসে। ফলে তারা গরিব মানুষের কষ্ট অনুভব করতে পারেন না বলে মনে করেন বিএমএ সভাপতি। ন্যূনতম নিয়ম নীতি মেনে চলে না এমন বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজও দেশে রয়েছে বলে স্বীকার করেছেন রজাধানীর বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজের পরিচালক অধ্যাপক আব্দুর রউফ সরদার। তবে প্রশ্নবিদ্ধ কলেজগুলো বন্ধ না করে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে সেগুলোর মানোন্নয়নে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, একটি বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজ গড়তে বিপুল বাজেটের অর্থ ও কর্মসংস্থানসহ বিভিন্ন বিষয় জড়িত থাকে। তাই অভিযুক্ত কলেজগুলোকে বন্ধ না ঠিক হবে না। তিনি জানান, মেডিক্যাল কলেজ থাকলেও, হাসপাতাল নেই- এমন কলেজের সংখ্যা খুবই কম। তবে এ ধরনের কলেজও দেশে রয়েছে। আর ভাড়াটে শিক্ষক দিয়েই চলে অনেক কলেজ। এসব অনিয়ম দূর করতে শক্তিশালী মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা উচিত। আর কিছু সংখ্যক কলেজের দুর্বলতার জন্য সকল বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজকে একই শ্রেণীর ভাবা ঠিক হবে না বলে মনে করেন অধ্যাপক আব্দুর রউফ সরদার।
×