স্টাফ রিপোর্টার, পঞ্চগড় ॥ পঞ্চগড়ের বিলুপ্ত ৩৬টি ছিটমহলে রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ, বিদ্যুতায়ন স্বাস্থ্য-শিক্ষাসহ একগুচ্ছ উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এসব উন্নয়ন প্রকল্প অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিলুপ্ত ছিটমহলে খুব দ্রুত তাদের নাগরিক সুবিধা পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ছিটবাসী মহাখুশি। ৩১ জুলাই মধ্যরাতে ছিটমহল বিনিময় চুক্তি বাস্তবায়নের পর এত দ্রুত বিলুপ্ত ছিটমহলগুলোতে বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু হবে তা কল্পনাও করতে পারেনি নবাগত বাংলাদেশী নাগরিকগণ।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, বিলুপ্ত ছিটমহলে ৮শ’ ৯ জন বয়স্কভাতা, ৫শ’ ২১ জন বিধবা ভাতা, ১৫ জন মুক্তিযোদ্ধা এবং প্রতিবন্ধীকে ভাতা দেয়া শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। ইতোমধ্যে ডিজিটাল সাব সেন্টার, ৩টি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প, ৩টি অস্থায়ী কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) অধীনে ২শ’ ৭৪ কিলোমিটার সড়ক নেটওয়ার্ক সার্ভে করা হয়েছে। এর মধ্যে মূল ভূখ-ের সঙ্গে বিলুপ্ত ছিটমহলের ১শ’ ১৪ কিলোমিটার সড়ক সংযুক্ত করা হবে। সড়ক নির্মাণের পাশাপাশি ১শ’ ৯৪ মিটার ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। সড়ক ও ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণে ৭৫ কোটি ৯ লাখ টাকার বরাদ্দপত্র জরুরীভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন জানান, বিলুপ্ত ছিটমহলগুলোর ১০টি স্থানে হাটবাজার, ২টিতে ইউনিয়ন পরিষদ, ৮টি স্থানে প্রাইমারি স্কুল এবং বিশুদ্ধ জলের জন্য ১শ’ ৭৫টি টিউবওয়েল স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিলুপ্ত ছিটমহলের ৪ হাজার ৮শ’ ৬২ জন শিক্ষার্থীকে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উপবৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।