ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

কূটনীতিকদের বিশ্লেষণ

মোদির সফরের মধ্য দিয়ে লাভ হয়েছে দুই দেশের

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ৯ জুন ২০১৫

মোদির সফরের মধ্য দিয়ে লাভ হয়েছে দুই দেশের

তৌহিদুর রহমান ॥ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফর শেষে দুই দেশের মধ্যে চলছে এখন হিসাব-নিকাশ। এই সফরে চুক্তি, প্রটোকল, সমঝোতা স্মারক ও যৌথ ঘোষণা নিয়ে দুই দেশের নির্ধারকরদের মধ্যে এখন চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে। এই সফরের মধ্য দিয়ে উভয় দেশই লাভবান হয়েছে বলে মনে করছেন কূটনীতি বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, দুই দেশের মধ্যে একটি ‘উইন উইন’ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মোদির ঢাকা সফরের মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিনের ঝুলে থাকা সীমান্ত চুক্তির দলিল বিনিময়ের মাধ্যমে উভয় দেশই সমান লাভবান হবে। এছাড়া দুই দেশের মধ্যে আরও গভীর সম্পর্ক তৈরি হবে। বিশেষ করে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে আস্থা যে কোন সময়ের চেয়ে তুঙ্গে অবস্থান করবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। সূত্র জানায়, মোদির এই সফরের মধ্যে বাংলাদেশ তিস্তা ও ফেনী নদীর পানির ন্যায্য বণ্টনে আশ্বাস পেয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশকে ক্ষতি করে টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প না করা, আন্তঃযোগাযোগ বৃদ্ধি, ২০০ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা, নেপাল-ভুটান থেকে বিদ্যুত আনতে ভারতের সম্মতি, গঙ্গা ব্যারেজ প্রকল্পে সহায়তা, নৌ প্রটোকলের মাধ্যমে তৃতীয় দেশে পণ্য আনা নেয়ার সুবিধা, ব্যান্ড উইথ রফতানি, বাণিজ্য বাড়ানোর লক্ষ্যে বিএসটিআই’র পরীক্ষা ইত্যাদিতে বাংলাদেশ লাভবান হবে। অপরদিকে চট্টগ্রাম ও মংলাবন্দর ব্যবহার, কোলকাতা-ঢাকা-আগরতলা বাস সেবা, ভারতীয় ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, উপকূলীয় জাহাজ চলাচল ইত্যাদিতে চুক্তি ও সমঝোতা করতে ভারতের আগ্রহই ছিল বেশি। মোদির সফরে সম্পাদিত চুক্তি, সমঝোতা স্মারক ও প্রটোকল নিয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ওয়ালিউর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি সফরে যেসব চুক্তি হয়েছে, তার মধ্য দিয়ে উভয় দেশই লাভবান হয়েছে। এসব চুক্তি উভয় দেশের জন্য ‘উইন উইন’ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এছাড়া এই সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ আরও বাড়াবে। এই সফরে কোন দেশ বেশি, আর কোন দেশ কম লাভবান হয়েছে-এমন মনে করাটাও ঠিক নয় বলেও তিনি মন্তব্য করেন। কূটনীতি বিশেষজ্ঞ ওয়ালিউর রহমান বলেন, মোদির সফরের মধ্য দিয়ে একটি বিষয় খুব স্পষ্ট হয়েছে যে তিনি তিস্তা চুক্তি করতে আগ্রহী। তিনি নিজেই বলেছেন, পাখি, বাতাস ও নদীর চলাচল স্বাভাবিক। এদের চলাচলে ভিসা লাগে না। এই বক্তব্যের মধ্য দিয়েই তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিস্তা নদীর স্বাভাবিক গতি প্রবাহ ঠিক রাখা প্রয়োজন। এছাড়া তিনি বিদ্যুত সহযোগিতার যে আশ্বাস দিয়েছেন সেটাও আমাদের জন্য বড় পাওনা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফর সামনে রেখে দুই দেশ বিভিন্ন বিষয়ে চুক্তি, প্রটোকল ও সমঝোতা স্মারকে সইয়ের প্রস্তুতি নেয়। উভয়পক্ষই সিদ্ধান্ত নেয় উইন উইন পরিস্থিতির মধ্যে এসব চুক্তি সই হবে। এর মধ্যে কয়েকটি চুক্তির প্রস্তাব করে বাংলাদেশ। আবার কয়েকটি চুক্তির প্রস্তাব করে ভারত। সে অনুযায়ী উভয় পক্ষ দর কষাকষির মাধ্যমে এসব চুক্তি, সমঝোতা স্মারক চূড়ান্ত করা হয়। দুই দেশের মধ্যে যৌথ ঘোষণায় ২২টি চুক্তি, সমঝোতা স্মারক, প্রটোকল স্বাক্ষর এবং স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নে দলিল বিনিময় এবং শিক্ষা ও প্রযুক্তিগত জ্ঞান বিনিময়ের কর্মসূচীর বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। দুই প্রধানমন্ত্রীর একান্ত বৈঠক এবং দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের আলোচনায় উঠে আসা নানা বিষয় এবং প্রতিশ্রুতির বিবরণও দেয়া হয় এতে। ঢাকা সফরের সময় মোদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ২০১১ সালের সমঝোতার আলোকে দ্রুত তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সম্পন্ন করার জন্য অনুরোধ করেন। আলোচনায় ভারতের মনিপুর রাজ্যের বরাক নদীতে টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ প্রসঙ্গটিও উঠে আসে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে জানিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব আলোচনার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সমর্থন নিয়ে তিস্তা ও ফেনী নদীর পানি বণ্টন চুক্তি করা হবে। ২০১১ সালের ‘ফ্রেমওয়ার্ক এ্যাগ্রিমেন্ট অব ডেভলপমেন্ট কো-অপারেশন’ অনুযায়ী দু’দেশে প্রবাহিত অভিন্ন নদীর পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে আবারও প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন দুই প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, টিপাইমুখ বাঁধ প্রকল্প আপাতত আর এগোচ্ছে না। একইসঙ্গে এটা স্পষ্ট, বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এমন কোন কার্যক্রম ভারত নেবে না এবং বাংলাদেশকে বাদ দিয়ে এককভাবে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হবে না। সূত্র জানায়, দুই দেশের মধ্যে চট্টগ্রাম ও মংলাবন্দর ব্যবহার সংক্রান্ত যে সমঝোতা হয়েছে, তার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশই সমান লাভবান হবে। কেননা, এর মাধ্যমে বাংলাদেশ মাশুল আদায় করতে পারবে। এতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে। এছাড়া বাংলাদেশ অনেকদিন ধরেই নেপাল ও ভুটান আমদানি করতে চাইছে। ভারতের পক্ষ থেকে এবার জানিয়ে দেয়া হয়েছে, এতে তাদের আপত্তি নেই। উভয় দেশ বিদ্যুত খাতে সহযোগিতা ও অর্জনের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং এই সহযোগিতা আরও সম্প্রসারণের বিষয়ে একমত হয়েছে। বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান, নেপালের মধ্যে আন্তঃদেশীয় বিদ্যুত গ্রিডের মাধ্যমে বিদ্যুত আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করে বাংলাদেশ। দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি সহযোগিতা গড়ে তোলার জন্য প্রতি বছর বাংলাদেশ-ভারত এনার্জি ডায়ালগ অনুষ্ঠানের গুরুত্বারোপ করা হয়। এই সহযোগিতায় কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস, এলএনজি, পেট্রোলিয়াম পণ্য, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, তেল ও গ্যাস পাইপ লাইন প্রভৃতি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মোদির ঢাকা সফরে নিরাপত্তা ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যকার অপ্রতিদ্বন্দ্বী সহযোগিতায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ও ভারত। এ সময় দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আপোসহীনভাবে লড়াই চালিয়ে যেতে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি তারা সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ ইস্যুতে এক দেশ অপর দেশকে ব্যক্তি ও গোষ্ঠী পর্যায়ে তথ্য আদান প্রদানে সম্মত হন। তারা কোন দেশ কারও সীমানায় কোন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকা- প্রশ্রয় দেবে না। মোদির সফরকালে ভারতকে বাংলাদেশ জানিয়েছে, বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এ লক্ষ্য পূরণে ভারতের সহযোগিতা চাওয়া হয়। মোদি ভারতের কোম্পানিগুলোকে আরও সহজে বাংলাদেশের বিদ্যুত খাতে বিনিয়োগ সুবিধা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি ভেড়ামারা-বহরমপুর গ্রিডের মাধ্যমে বর্তমানে ভারত থেকে আসা ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত এক হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করা এবং আরও ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত পালাটানা বিদ্যুত কেন্দ্র থেকে দ্রুত সরবরাহের আশ্বাস দেন। এছাড়া ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের রাংগিয়া-রাওয়াতা থেকে মুজাফফরনগর হয়ে বাংলাদেশের বড়পুকুরিয়া এলাকার সুবিধাজনক স্থান দিয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন (৮০০ কেভি) এইচভিডিসি মাল্টি-টার্মিনাল বিদ্যুত সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করার বিষয়ে দু’দেশের ঐকমত্যকেও স্বাগত জানিয়েছেন দুই প্রধানমন্ত্রী। এই গ্রিড দিয়ে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলে ৭ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত যাবে, যা থেকে বাংলাদেশও বিদ্যুত সরবরাহ নিতে পারবে। রামপালে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুতকেন্দ্র নির্ধারিত সময়েই উৎপাদনে আসবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। ভারতের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন পরিবেশ রক্ষা করে বিদ্যুত প্রকল্প নির্মাণে বাংলাদেশ-ভারত সহযোগিতা একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ হয়ে থাকবে। এছাড়া বাংলাদেশের প্রস্তাব অনুযায়ী নেপাল ও ভুটান থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুত নিয়ে আসতে ভারত করিডর দেবে বলে জানান তিনি। দু’দেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি, তেল, গ্যাসসহ প্রাকৃতিক সম্পদের ক্ষেত্রেও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় সম্মত হয়েছে। বিদ্যুত উৎপাদনে পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ দিতেও সম্মত হয়েছে ভারত। নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফর কালে আলোচনায় দুই প্রধানমন্ত্রী নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড এবং বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের মধ্যে ডিজেল পরিবহন সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারককে স্বাগত জানিয়েছেন। সমঝোতা অনুযায়ী শিলিগুড়ি থেকে পার্বতীপুর পর্যন্ত ডিজেল পাইপলাইন নির্মাণ করা হবে। এজন্য দ্রুত দু’দেশের যৌথ কোম্পানি গঠনেও তারা সম্মত হয়েছেন। ঢাকা আলোচনায় সীমান্তে হত্যাকা- শূন্যে নামিয়ে আনার বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে দু’দেশের সীমান্ত রক্ষায় নিয়োজিতদের নির্দেশনা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যৌথ সীমান্ত ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা এবং সীমান্ত এলাকা ঘিরে অপরাধ দমনে আরও কার্যকর ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। মানবপাচার এবং জাল মুদ্রা প্রতিরোধে সহযোগিতা চুক্তিও করেছে এবার দুই দেশ। উপকূলীয় ও অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে দুই দেশ। এছাড়া সমুদ্রভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে তুলতে দু’দেশের মধ্যে নিবিড় সহযোগিতার বিষয়েও একমত হয়েছে। বাণিজ্য চুক্তি নবায়ন এবং দু’দেশের ভেতরে নতুন সড়ক ও রেল যোগাযোগ চালুর মধ্য দিয়ে সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে বলেও মনে করছে উভয় দেশ। এ পদক্ষেপ পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক চালুর ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখবে। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য বাংলাদেশ থেকে ১০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ আমদানিতে দু’দেশের সংশ্লিষ্ট কোম্পানির মধ্যে চুক্তি হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতি বছর ১০ কোটি আয় করতে পারবে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দু’দেশের সহযোগিতার সম্পর্ক আগামীতে আরও নিবিড় এবং দু’দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অনেক বেশি সহায়ক হবে বলেও আশা করা হচ্ছে। দু’দেশের মধ্যে শিক্ষা, সাংস্কৃতিক বিনিময় বাড়ানোর বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের শিক্ষার্থী, গবেষকদের ভারতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন ও গবেষণার সুযোগ দেয়ার ব্যাপারে আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। তারা দু’দেশের জনগণের মেধা, জ্ঞান বিনিময়ের পাশাপাশি আন্তঃসম্পর্ক জোরদারেও গুরুত্ব দেন। অচিরেই ভারতের দূরদর্শন এবং বাংলাদেশের বিটিভি ‘প্রসার ভারতী’র ডিটিএইচ সেবায় যুক্ত করার ব্যাপারেও একমত হয়েছেন। এর ফলে দু’দেশের জনগণের সাংস্কৃতিক বিনিময় ও বন্ধন দৃঢ় হবে। উভয় দেশ মনে করে, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন যুগে, নতুন সম্ভাবনায়, নতুন মাত্রায় প্রবেশ করেছে। বিশেষ করে ৪২ বছর ধরে ঝুলে থাকা স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন বিশ্বের জন্য একটি বড় উদাহরণ বলে মনে করে দুই দেশ। নরেন্দ্র মোদি বলেছেন স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে মানবিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক অগ্রযাত্রার সূচনা হয়েছে। ভারতের জনগণ সব সময়ই বাংলাদেশের পাশে থাকবে।
×