অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, রফতানি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সরকার পণ্য ও বাজার বহমুখীকরণের কাজ করছে। ২০২১ সালনাগাদ তৈরি পোশাক খাতের রফতানি আয় ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বৈদেশিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সহজ লেনদেন পদ্ধতি ব্যবসায়ীদের জন্য ভাল হবে। তিনি বৈদেশিক বাণিজ্যিক লেনদেন নিষ্পত্তিতে এলসির পরিবর্তে বাংলাদেশে কিভাবে ওএটি পদ্ধতি গ্রহণ করা যায়, সে বিষয়ে সুচিন্তিত পরামর্শ দেয়ার জন্য বিশেষজ্ঞদের প্রতি আহ্বান জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) আয়োজিত ‘ইন্টারন্যাশনাল ফ্যাক্টারিং ফর ফরেন ট্রেড’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।
আইসিসি সভাপতি মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গবর্নর নাজনীন সুলতানা, বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী ও পরিচালক অধ্যাপক ড. প্রশান্ত কুমার ব্যানার্জী, ফ্যাক্টর চেইন ইন্টারন্যাশনালের (এফসিআই) চেয়ারম্যান ড্যানিলা বনজানিনী, লিগ্যাল কমিটির চেয়ারম্যান মাইকেল লিবেন ও সেক্রেটারি জেনারেল পিটার মলরে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গবর্নর মোহাম্মদ এ. রুমি আলী, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সিনিয়র ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টর স্পেশালিস্ট বিদ্যুত কুমার সাহা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশে ‘ইন্টারন্যাশনাল ফ্যাক্টারিং’ বা ওপেন এ্যাকাউন্ট লেনদেন পদ্ধতি গ্রহণে সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন।
সেমিনারে অন্যান্য বক্তারা বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক কার্যক্রম সম্পন্নের ক্ষেত্রে ঋণপত্র খোলার (এলসি) পরিবর্তে ওপেন এ্যাকাউন্ট লেনদেন (ওএটি) পদ্ধতি বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের জন্য অনেক বেশি সহজ ও ব্যয় সাশ্রয়ী হবে। এতে ব্যবসায়ীদের বার বার যেমন এলসি খুলতে হবে না, তেমনি ব্যাংকের তারল্য সঙ্কটও দেখা দেবে না।
ডেপুটি গবর্নর নাজনীন সুলতানা বলেন, ব্যয় সাশ্রয়ী বা তুলনামূলক সহজ এমন আর্থিক ও নন-আর্থিক সেবা প্রদানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গত ৫ বছর ধরে বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক বিনিময় নীতি উদারীকরণে কাজ করে আসছে। এতে প্রমাণিত হয় ওএটি পদ্ধতি গ্রহণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আগেই কাজ শুরু করেছে।