ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

মৎস্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সিরাজদিখানে উৎকোচ নেয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৩:৩৬, ২৩ মার্চ ২০১৫

মৎস্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সিরাজদিখানে উৎকোচ নেয়ার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ সিরাজদিখান উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে অবাধে বিক্রি হচ্ছে জাটকা মাছ। আর এ সব বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকার ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ হেদায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে। উপজেলার বিভিন্ন বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা হলেও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুকৌশলে জাটকা বিক্রেতাদের ছেড়ে দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে মাসে লাখ টাকার বেশি। শনিবার রাতে এক জাটকা বিক্রেতাকে ধরে মৎস্য কর্মকর্তা মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে ছেড়ে দেন। তবে মৎস্য কর্মকর্তা বলছে, ছেড়ে দেইনি, পালিয়ে গেছে। জানা যায়, শনিবার রাতে সাংবাদিকরা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে রাজানগর বাজারের জাটকা বিক্রির তথ্য দিলেও জেলেদের সোর্সের মাধ্যমে গোপন সংবাদে জাটকা বিক্রয়কারীরা পালিয়ে যায়। এ সময় বাদল রাজবংশীসহ ১০ কেজি জাটকা মাছ আটক করে মৎস্য কর্মকর্তা। পরে মোটা অঙ্কের টাকা ঘুষ নিয়ে কোন মামলা না দিয়ে ছেড়ে দেন। মাছগুলো স্থানীয় ছিদ্দিকা আকবরিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় দিয়ে দেন। এ ঘটনায় এলাকা বেশ তোলপাড় শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, জাটকা বিক্রেতাকে ধরে জেল জরিমানা না করে ছেড়ে দেয়া ঠিক হয়নি। সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রওনক আফরোজা সোমা বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তদন্ত সাপেক্ষ বিষয়টি দেখব। সিরাজদিখান উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ হেদায়েত হোসেনে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, রাজানগর বাজারে গিয়ে বাদল রাজবংশীকে জাটকা মাছসহ ধরলে কোন এক সময় বাদল দাস আমাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায়।
×