ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

অনলাইন ভ্যাট আদায় কর্মসূচী বাস্তবায়নে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি

প্রকাশিত: ০৫:০৩, ৮ ডিসেম্বর ২০১৪

অনলাইন ভ্যাট আদায় কর্মসূচী বাস্তবায়নে বিশ্বব্যাংকের  সঙ্গে চুক্তি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ভ্যাট আদায় অনলাইন পদ্ধতি বাস্তবায়নে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করেছে সরকার। রেভিনিউ মবিলাইলেজন প্রোগ্রাম ফর রেজাল্ট : ভ্যাট ইমপ্রুভমেন্ট প্রোগ্রাম বাস্তবায়নে প্রায় ৪৮০ কোটি টাকা দিচ্ছে সংস্থাটি। এ কর্মসূচীটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মূল্যসংযোজন কর অণুবিভাগের আধুনিকায়ন ও শক্তিশালীকরণ করা হবে। রবিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সরকারের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কাজী শফিকুল আজম এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর সালমান জাঈদী। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কর্মসূচীটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন সিওটিএস সফটওয়ারসহ প্রয়োজনীয় হার্ডওয়ার ক্রয় করে মূল্যসংযোজন কর বিভাগের সকল কার্যক্রম কম্পিউটারাইজড ও অটোমেশনের মাধ্যমে মূসক আদায় সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম অনলাইন এ সম্পন্ন করা হবে। মূসক ও সম্পূরক শুল্ক আদায় সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম অনলাইনের মাধ্যমে সহজীকরণ করা হবে। ব্যবসায়ীদের মূসক পরিশোধ সংক্রান্ত কার্যাবলীর ব্যয় হ্রাস ও ব্যবসাবান্ধব করা। মূসক অফিসে না গিয়ে অনলাইনে মূসকের পরিমাণ নির্ধারণ, পরিশোধ এবং রিটার্ন দাখিল করার সুযোগ সৃষ্টি ও দুর্নীতি হ্রাস করা যাবে। ই-পেমেন্টের মাধ্যমে করদাতারা সহজে রাজস্ব পরিশোধ করতে পারবেন এবং এতে ইলেকট্রনিক্স ভেরিফিকেশনের সুযোগ থাকায় মূসক কর্তৃপক্ষ রাজস্ব পরিশোধ সংক্রান্ত বিষয়ে তাৎক্ষণিক নিশ্চিত হতে পারবেন। চুক্তি শেষে কাজী শফিকুল আজম বলেন, কর্মসূচীটি বাস্তবায়নের জন্য বিশ্বব্যাংকের সহযোগী সংস্থা আইডিএ নমনীয় শর্তে এ অর্থ সহায়তা দিচ্ছে। যা দশ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৪০ বছরে পরিশোধ করতে হবে। এ ঋণের ক্ষেত্রে কোন কমিটমেন্ট ফি প্রযোজ্য হবে না এবং এক্ষেত্রে উত্তোলিত অর্থের উপর বার্ষিক দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ প্রদান করতে হবে। বিশ্বব্যাংকের ভারপাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর সালমান জাঈদী বলেন, এ কর্মসূচীর মাধ্যমে ভ্যাট ব্যবস্থা আধুনিক হবে। ভ্যাট আদায়ের পরিমাণ বাড়বে এবং মানুষের দুর্ভোগ কমবে এবং সেই সঙ্গে সময়ও বাঁচবে। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশে সহায়তা অব্যাহত রাখবে। কর্মসূচীটিতে রেজাল্ট অর্জনের জন্য ছয়টি ডিসবাসমেন্ট লিংক ইন্ডিকেটর (ডিএলআইএস) নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রোগ্রাম ফর রেজাল্ট পদ্ধতিতে অর্থায়নের কারণে কর্মসূচীটির রেজাল্ট তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে যাচাই এবং অন্যান্য রিপোর্টিং কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করবে।
×