
মুন্সীগঞ্জের চরআব্দুল্লাহপুরের কাছে মেঘনা নদীতে বালু উত্তোলনকারীদের ওপর গ্রামবাসীর ধাওয়া ও সংঘর্ষে অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করা হয়।
আহতদের মধ্যে গ্রামবাসী মো. মোস্তফাকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য আহতদের বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
চরআব্দুল্লাহপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহাবুব আলম জানান, বৃহস্পতিবার সকালে মেঘনা নদীতে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের সময় ২০০-৩০০ জন গ্রামবাসী হামলা চালায়। এ সময় বালু উত্তোলনকারীরাও চড়াও হলে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে মারধরের মুখে বালু উত্তোলনকারীরা দ্রুত ড্রেজার ও বাল্কহেড নিয়ে পালিয়ে যায়।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রশাসন বালুমহল ইজারা দিয়ে তাদের সর্বনাশ করছে। শত শত ড্রেজার ও বাল্কহেড নদীর মাঝখানের বদলে মেঘনার তীরবর্তী ডুবন্ত ফসলি জমি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। নদীতীরে দিনরাত বালু কাটার ফলে তাদের ভিটেমাটি হুমকির মুখে পড়েছে। কিন্তু প্রশাসন রহস্যজনকভাবে নিরব ভূমিকা পালন করছে।
তারা অভিযোগ করেন, গ্রামবাসীর বাঁধা ও প্রতিবাদ উপেক্ষা করেই ড্রেজার দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। এ কারণেই গ্রামবাসী ঐক্যবদ্ধভাবে বালু লুটকারীদের ধাওয়া দিয়েছে।
নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আরও জানান, ‘মনির ইন্টারপ্রাইজ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসন থেকে বালুমহল হিসেবে ইজারা নিয়ে বালু উত্তোলন করছে।
গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন, প্রতিষ্ঠানটি প্রশাসনের সঙ্গে আঁতাত করে বর্ষার পানিতে ডুবন্ত ফসলি জমি কেটে নিচ্ছে।
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুব রহমান বলেন, বালু খেকোদের সঙ্গে তার কোনো আঁতাত নেই। তবে তিনি স্বীকার করেন, বালুমহল ইজারা দেওয়া হয়েছে ভাসান চরে, কিন্তু বালু উত্তোলন করা হচ্ছিল অন্য এলাকায়। কেন এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি—সে বিষয়ে তিনি স্পষ্ট উত্তর দিতে পারেননি।
সজিব