ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২

৪০ বছর পর খুলছে বড়ালের প্রাণপ্রবাহের দ্বার

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী 

প্রকাশিত: ১৫:২০, ১৯ জুন ২০২৫

৪০ বছর পর খুলছে বড়ালের প্রাণপ্রবাহের দ্বার

ছবি: জনকণ্ঠ

নির্মাণের ৪০ বছর পর অবশেষে রাজশাহীর চারঘাটে পদ্মার শাখা বড়াল নদীর স্লুইসগেট অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে। পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ও নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্লুইসগেট অপসারণের ফলে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত হবে এবং মরা বড়াল পুনরায় প্রাণ ফিরে পাবে বলে আশা করছেন এলাকাবাসী।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পদ্মা নদীর ভয়াল থাবা থেকে বড়ালের আশপাশের মানুষকে বন্যার পানি থেকে রক্ষা করতে ১৯৮৪ সালে চারঘাটের বড়ালের ওপর নির্মাণ করা হয় স্লুইসগেট। প্রথমে এটি মানুষের কল্যাণে এলেও দীর্ঘদিন ধরে বড়ালের দুই পাশ দখল, দূষণ আর অপরিকল্পিত খননের ফলে এটি মরা খালে পরিণত হয়। বড়ালের উৎসমুখে পলি-মাটি জমে পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করতে থাকে। বিভিন্ন সময়ে খনন কাজ করা হলেও পানি প্রবাহ বৃদ্ধি না পেয়ে সরকারের কোটি কোটি টাকা জলে চলে যায়।

ফলে বড়ালের ওপর নির্মিত স্লুইসগেটটি অপসারণ করে পানি প্রবাহ বৃদ্ধির দাবিতে সোচ্চার হন পরিবেশবিদ ও স্থানীয়রা। তারই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ১৯ মে চারঘাটের বড়াল পরিদর্শন করেন সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি নদীর পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান। ভরাট হয়ে যাওয়া বড়াল নদীর ১৮ কিলোমিটার অংশে পুনঃখননের আশ্বাস দেন। আর বড়ালের মুখের স্লুইসগেট অপসারণের তাগিদ দেন।

উপদেষ্টার ঘোষণার পর সম্প্রতি স্লুইসগেট অপসারণের লক্ষ্যে এর কপাট খোলার কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ইতোমধ্যে তিনটি গেট সম্পূর্ণ খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে বড়ালে পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশা করছেন পদ্মা পাড়ের বাসিন্দারা।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী পার্থ সরকার বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশক্রমে বড়ালে পানি প্রবাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্লুইসগেটের কপাট খোলা হয়েছে। এতে আশা করা যায় মরা খালে পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে।

শহীদ

×