শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার গারো পাহাড়ের অভ্যন্তর থেকে একটি মৃত বন্যহাতি শাবক উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ শেষে ওই স্থানেই শাবকটিকে মাটিচাপা দেওয়া হয়। সোমবার (৯ জুন) দুপুরে এই কাজ সম্পন্ন করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এর আগে রবিবার বিকেলে উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়নের দাওধারা এলাকার গভীর জঙ্গলে মর্দা (পুরুষ) হাতি শাবকটির মৃতদেহ প্রথম দেখতে পান বন বিভাগ ও স্থানীয়রা। তবে মা হাতিসহ ২০-৩০টি বন্যহাতির একটি দল শাবকটির আশেপাশে অবস্থান করায় তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার সম্ভব হয়নি।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ঈদের আগের দিন দাওধারা গারো পাহাড়ি এলাকায় বন্যহাতির চিৎকার ও অস্বাভাবিক শব্দ শুনতে পান স্থানীয়রা। কিন্তু ঈদের দিন হওয়ায় কেউ জঙ্গলে প্রবেশ করেননি। পরে খবর পেয়ে বন বিভাগের কর্মকর্তা, ইলিফেন্ট রেসপন্স টিম (ইআরটি) ও স্থানীয়রা জঙ্গলে প্রবেশ করে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন এবং শাবকটির মৃতদেহ শনাক্ত করেন।
সোমবার ময়মনসিংহ বন বিভাগ, শেরপুরের বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ এবং উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. সাকিব হোসাইন সাগরের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ থেকে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে সেখানেই শাবকটির দাফন সম্পন্ন হয়।
এ বিষয়ে শেরপুর জেলার বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন সরকার বলেন, “নালিতাবাড়ী উপজেলা প্রাণীসম্পদ দপ্তরের একটি টিম মৃত হাতি শাবকের দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে। এগুলো পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে। রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।” তিনি আরও জানান, প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে ধারণা করা হচ্ছে, শাবকটি প্রসবকালীন বা পরবর্তী জটিলতায় মারা গেছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ বনবিভাগের মধুটিলা ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা দেওয়ান আলী, ওয়াইল্ডলাইফ রেঞ্জার মো. আব্দুল্লাহ আল আমীন এবং স্থানীয় এলিফেন্ট রেসপন্স টিমের সদস্যরা।
মিমিয়া
