ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৯ জুন ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

শ্যামপুর থানার ওসির সহযোগিতায় গুদামে চলছে অবৈধ কার্যক্রম

প্রকাশিত: ১৬:১৭, ৯ জুন ২০২৫

শ্যামপুর থানার ওসির সহযোগিতায় গুদামে চলছে অবৈধ কার্যক্রম

ছবি:সংগৃহীত

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে খাদ্য অধিদপ্তরের গোডাউন থেকে ডিলারদের মাধ্যমে বিতরণের জন্য প্রস্তুত ১৭৫ মেট্রিক টন চাল ও ১৭০ মেট্রিক টন আটা গরিব মানুষের হাতে পৌঁছানোর আগেই কালোবাজারে চলে যাচ্ছে। অনুসন্ধানে উঠে এসেছে ভয়ঙ্কর চিত্র, এই খাদ্যপণ্যগুলো জুরাইন বাজারের বিভিন্ন গোডাউনে সরবরাহ করে মজুদ রাখা হচ্ছে এবং পরে ভিন্ন প্যাকেটে সাধারণ বাজারে বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।

 

 

চিহ্নিত হয় সাতটি গোডাউন, যেখানে খাদ্য অধিদপ্তরের লোগোযুক্ত বস্তাগুলো সারি সারি সাজানো। দেশ টিভির অনুসন্ধানী দল এসব চাল ও আটার ট্রাক অনুসরণ করে পৌঁছে যায় গন্তব্যে। সেখানে দেখা যায়, চাল-আটার বস্তাগুলো আবার নতুন নামে মোড়ানো হচ্ছে বিক্রির জন্য।

র‍্যাব ও সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে ৩৯ টনের বেশি সরকারি পণ্য জব্দ করে। গোডাউনে পাওয়া যায় *টিসিবির চাল, তেল, লবণ, মসলা, এমনকি র‍্যাবের স্টিকারও। এসব স্টিকার ব্যবহার করে ট্রাকগুলো নিরাপদে গোডাউনে প্রবেশ করতো।

 

 

একটি গোডাউনের মালিক মিজান, দাবি করেন তিনি পুলিশের রেশনের পণ্য ক্রয় করেন একজন স্যারের মাধ্যমে। পরে অনুসন্ধানে বের হয়ে আসে শ্যামপুর থানার ওসি শফিক স্যারের নাম। মিজানের মোবাইলে তার সঙ্গে একাধিক কথোপকথনের রেকর্ডও পাওয়া যায়, যেখানে মাসিক ‘চুক্তি’র ইঙ্গিত মেলে।

 

 

এ নিয়ে কথা বললে ওসি নিজেই স্বীকার করেন, “আমার সাথে যোগাযোগ হয়, কিছু দরকারে হয়, সব বলা যাবে না।”

সরকারি পণ্য সরবরাহে জড়িত এক কর্মকর্তা দায় নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, “আমি শুধু সই করি, ফিল্ডে আমার কাজ নেই।”

অবাক করা বিষয় হলো, গ্রেপ্তার হওয়ার পরপরই অবৈধভাবে সরকারি মাল মজুদের দায়ে অভিযুক্ত মিজান ও তার সহযোগী শাহাদাত নিষাদ অজ্ঞাত কারণে মুক্তি পেয়ে যান।
 

 

 

 

সূত্র:https://youtu.be/ztZbyWhMBBI?si=ydU4SPICumqG5Yfg

ছামিয়া

×