ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৫ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

কক্সবাজার জেলার নামকরণের ইতিহাস এবং পর্যটন কেন্দ্র সমূহ

ইমতিয়াজ মাহমুদ ইমন, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, কক্সবাজার

প্রকাশিত: ০০:৪৫, ৪ জুন ২০২৫

কক্সবাজার জেলার নামকরণের ইতিহাস এবং পর্যটন কেন্দ্র সমূহ

কক্সবাজার বাংলাদেশে অবস্থিত একটি বিখ্যাত জেলা। জেলাটি পৃথিবীর দীর্ঘ তম সমুদ্র সৈকত নিয়ে গর্বিত।

কক্সবাজার জেলার নামকরণের ইতিহাস

নামটি এসেছে ক্যাপ্টেন হিরাম কক্স নামে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির এক অফিসারের নাম থেকে। কক্সবাজারের আগের নাম ছিল পালংকি। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি অধ্যাদেশ, ১৭৭৩ জারি হওয়ার পর ওয়ারেন্ট হোস্টিং বাংলার গভর্নর হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। তখন হিরাম কক্স পালংকির মহাপরিচালক নিযুক্ত হন।

অবস্থান 

কক্সবাজার জেলা দক্ষিণ -পূর্ব বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগে অবস্থিত। জেলাটি বিখ্যাত তার বিশাল সমুদ্র সৈকতের জন্য। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত প্রায় ১২০ কিলোমিটার লম্বা।এটি বিশ্বের দীর্ঘতম বালুকাময় সমুদ্র সৈকত।

কক্সবাজার একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। এখানে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক ভ্রমণ করে। জেলাটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মনোমুগ্ধকর, এখানে রয়েছে পাহাড়, বন, সমুদ্র। এখানকার সাদা বালির সমুদ্র সৈকত পর্যটকদের আকর্ষন করে।

পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজার জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ নিচে দেয় হলো
০১. কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
০২. কলাতলী সী বিচ 
০৩. লাভনী পয়েন্ট সী বিচ 
০৪. সুগন্ধা বিচ
০৪. ইনানী সী বিচ 
০৫. হিমছড়ি ঝর্ণা ও পাহাড় 
০৬. সেন্ট মার্টিন প্রবাল দ্বীপ 
০৭. সমুদ্র বিলাস, সেন্ট মার্টিন 
০৮. সেন্ট মার্টিন উত্তর বিচ
০৯. ছেড়া দ্বীপ, সেন্ট মার্টিন 
১০. সোনাদিয়া দ্বীপ, মহেশখালী 
১১. শাহ পরীর দ্বীপ, টেকনাফ
১২. রামু রাবার বাগান, 
১৩. রামু বৌদ্ধ মন্দির
১৪. রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড, কক্সবাজার 
১৫. নিভূতে নিসর্গ পার্ক, চকোরিয়া
১৬. ইনানী র‍য়েল রিসোর্ট 
১৭. মাথিনের কূপ, টেকনাফ 
১৮. র‍য়েল টিউলিপ সী পার্ল রিসোর্ট, ইনানী
১৯. মেরিন ড্রাইভ রোড, কক্সবাজার 
২০. মারমেইড বিচ রিসোর্ট, কক্সবাজার 
২১. শামলাপুর সমুদ্র সৈকত, টেকনাফ
২২. ডুলা হাজারা সাফারি পার্ক, চকোরিয়া
২৩. কুতুবদিয়া দ্বীপ, (বাতি ঘর)
২৪. দরিয়া নগর, কক্সবাজার 
২৫. মাহাসিংদোগ্ৰী বৌদ্ধ মন্দির, কক্সবাজার 
২৬. মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, কক্সবাজার 
২৭.  পাতাবাড়ী বৌদ্ধ বিহার, কক্সবাজার 
২৮. বড়ঘোপ সমূদ্র সৈকত, কক্সবাজার 
২৯. রাখাইন পাড়া, কক্সবাজার 
৩০. মহেশখালী দ্বীপ / জেটি 
৩১. বার্মিজ মার্কেট, কক্সবাজার 
৩২. মাতামুহুরী নদী
৩৩. নাফ নদী সাইট
৩৪. এক গম্বুজ মসজিদ, কক্সবাজার 
৩৫. কানা রাজার সুড়ঙ্গ, উখিয়া 
৩৬. আদিনাথ মন্দির, মহেশখালী 
৩৭. বরইতলী মৎস্য খামার, কক্সবাজার 
৩৮. রাডার স্টেশন, কক্সবাজার 
৩৯. বীর কামলা দীঘি, টেকনাফ 
৪০. লামারপাড়া বৌদ্ধবিহার, কক্সবাজার 
৪১. লবণ রপ্তানি বাজার, কক্সবাজার 
৪২. কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন, কক্সবাজার
৪৩ পাটুয়ার টেক বিচ, মেরিন ড্রাইভ। 

সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য

কক্সবাজারের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য অত্যান্ত সমৃদ্ধ। এখানে বিভিন্ন ধর্ম বর্ণের মানুষ মিলেমিশে বসবাস করে। মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা এখানে একসাথে উৎসব পালন করে। 

শিক্ষা ব্যবস্থা

কক্সবাজার জেলার শিক্ষার মান উন্নত। এখানে অনেক স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। কক্সবাজার সরকারি কলেজ, চকরিয়া সরকারি কলেজ এবং কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। 

অর্থনীতি

কক্সবাজার জেলার অর্থনীতির প্রধান উৎস পর্যটন ব্যবসা। এছাড়াও লবন উৎপাদন এবং মাছ ধরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

 

রাজু

×