
ছবি: জনকণ্ঠ
উজানে ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে নীলফামারী এলাকায় তিস্তা নদী ফুঁসে উঠেছিল। শনিবার (৩১ মে) রাতে নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বৃদ্ধি হয়ে সর্বোচ্চ ৫২.০০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত উঠেছিল। এই পয়েন্টে বিপৎসীমা ৫২.১৫। রবিবার (১ জুন) সকাল ৬টায় ৬ সেন্টিমিটার (৫১.৯৪) ও সকাল ৯টায় আরও ৯ সেন্টিমিটার (৫১.৮৫) পানি কমেছে। তবে তিস্তা ব্যারাহের ৪৪টি গেট খুলে রাখায় উজানের পানি ভাটিতে ধাপিত হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সর্তকীকরন কেন্দ্র।
সূত্রমতে, তিস্তার উজানে ভারতের গজলডোবা পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়েছিল ১২০ সেন্টিমিটার।
বর্তমানে সেখানে পানি কমতে শুরু করেছে। একই সময়ে দোমহনী পয়েন্টে পানি বেড়েছিল ৬১ সেন্টিমিটার। রাত ৯টায় এ পয়েন্টে পানি সমতল ছিল ৮৫ দশমিক ৬৩ মিটার, যা বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার নিচে।
এদিকে ২৪ ঘন্টায় তিস্তা অববাহিকার ডালিয়ায় ৫৫ মিলিমিটারও কাউনিয়া পয়েন্টে ৬৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম বলেন, তিস্তার পানি এখন কমছে। অপর দিকে কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি স্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে। ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ২৯.৩১ সেন্টিমিটার। সেখানে সকাল ৬টায় ২৮.১৭ সেন্টিমিটার ও সকাল ৯টায় দুই সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ২৮.১৯ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় গতকাল রাতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে তিস্তার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে বন্যার পানি প্রবেশ করে প্লাবিত করে। আজ সকালে পানি ধীরে ধীরে নেমে যেতে শুরু করেছে বলে জানান তিস্তাপাড়ের মানুষজন।
নীলফামারী ডিমলা এলাকার পানি কমলেও ভাটিতে ধাবিত তিস্তার পানি লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা, আদিতমারী, কালিগঞ্জ, নীলফামারীর জলঢাকার ডাউয়াবাড়ি, গোলমুন্ডা, শৌলমারী, কৈমারী, রংপুরের আলমবিদিতর, গঙ্গাচরা, কাউনিয়া পীরগঞ্জ এলাকায় বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাব চৌধুরী বলেন, উজানে ভারী বৃষ্টিপাত, পাহাড়ী ঢলের কারণে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেলেও বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। শনিবার রাতে পানি বৃদ্ধি পেলেও রবিবার সকাল থেকে তা কমতে শুরু করেছে। তবে ভাটির দিকে যে পানি যাচ্ছে তাতে ওই দিকে পানি বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া উজানের ঢল পুনরায় নেমে আসলে পানি বৃদ্ধি পেতে পারে।
আবির