ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

চুয়াডাঙ্গায় শেষ মূহুর্তে বেচাকেনার ধুম

নিজস্ব সংবাদদাতা, চুয়াডাঙ্গা 

প্রকাশিত: ১৫:০৫, ৭ এপ্রিল ২০২৪

চুয়াডাঙ্গায় শেষ মূহুর্তে বেচাকেনার ধুম

ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই জমজমাট হচ্ছে মার্কেটগুলো।

পবিত্র ঈদুল ফিতর আর মাত্র এক থেকে দুইদিন বাকি। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই জমজমাট হচ্ছে মার্কেটগুলো। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে বেচাকেনা। শাড়ি-কাপড় থেকে শুরু করে কসমেটিকস ও জুতার দোকানেও শিশু থেকে বৃদ্ধ বিভিন্ন বয়সী ক্রেতাদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। 

শহরের বেশির ভাগ দর্জির দোকানগুলোতে এখন কাপড় সেলাইয়ের অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পূবের অর্ডারের কাজ শেষ করতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে দর্জিদের।

রবিবার চুয়াডাঙ্গার সমবায় নিউ মার্কেট, আব্দুল্লাহ সিটি, প্রিন্স প্লাজা, রেল বাজারসহ জেলা-উপজেলার বিভিন্ন মাকের্ট ও বিপণী বিতানগুলোতে ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি মার্কেট এলাকা ও বিপণি বিতানগুলোতে ঈদের আমেজ বইছে। সব ধরনের ক্রেতা সমাগমে মুখরিত হয়ে উঠেছে দোকানপাট। শেষ মূহুর্তে বেচাকেনায় যেন ধুম পড়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সমবায় নিউ মার্কেটের বিয়ে ঘরের স্বত্বাধিকারী নিশিত চক্রবর্তী সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, এই ঈদে মেয়েদের জন্য আলিয়া, সারারা, গারারা, নাইরা, গাউন, রেডি কামিজ, পার্টি কামিজ নামের ড্রেসগুলো বেশি চলছে। দাম ২ হাজার থেকে ৩ হাজার ৫শ টাকা পর্যন্ত। একই মার্কেটের ব্যবসায়ী রাসেল গার্মেন্টর্স এর মালিক রাসেল বলেন, এবার ঈদের আকর্ষন সিকোয়েন্স পাঞ্জাবি ও কালারিং বোট ভাজ, যার মূল্যে ২ হাজার ২ শ থেকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত। এই পাঞ্জারি ক্রেতারা পছন্দ করছেন, ক্রেতাদের চাপও বাড়ছে। 

এছাড়াও তিনি বলেন, এখন যারা আসছেন তারা খালি হাতে ফিরছেন না, কেনাকাটা করতেই আসছেন।

চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার পুরাতন গলির ব্যবসায়ী দীনবন্ধু সরকার বলেন, অন্যান্য বছর থেকে এ বছর বেচাকেনা ভালো। ছেলেদের পাঞ্জাবি, মেয়েদের থ্রি-পিস এবং বাঁচ্চাদের পোশাক সব থেকে বেশি বিক্রি হচ্ছে। গত বছরের থেকে কিছু পোশাকের দাম বেশি হলেও তা ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রয়েছে। 

বেচাকেনা ভালো হওয়ায় আমরা লাভের থেকে বিক্রিতে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। সকাল থেকে দুপুর এবং বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ক্রেতারা গলির দোকানগুলোতে ভিড় করছেন।

জীবননগর উপজেলা থেকে আসা রাজু আহমেদ বলেন, রোজার শুরুতে কাজের চাপে ঈদের কেনাকাটা করতে পারিনি। জীবননগর থেকে ভালো পোষাক চুয়াডাঙ্গায় পাওয়া যায়। এজন্য চুয়াডাঙ্গা নিউ মার্কেটে এসেছি। মার্কেটে অনেক ভিড়, কিন্তু উপায় নেই। এখন কেনাকাটা না করলে আর সময় পাব না।

চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার পুরাতন গলিতে পরিবার নিয়ে পোশাক কিনতে এসেছেন সদর উপজেলা মাখালডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আব্দুল খালেক। তিনি বলেন, মা, স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে ও নিজের জন্য ঈদের পোশাক কিনতে হবে। পোশাক কেনা শেষ হলে জুতার দোকানে যাবো। কিন্তু বাজারে সব পোশাকেরই দাম অনেক বেশি। তাই হিসেব করে সবার জন্যই কেনার চেষ্টা করছি।

চুয়াডাঙ্গা সমবায় নিউ মাকের্টের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বরাবরের মতো এবারের ঈদবাজারে তরুণীসহ নারীদের প্রধান আকর্ষণ নতুন কালেকশন। এবার ঈদে মেয়েদের জমজম, গাংঙ্গুলী, তুফান, আলিয়াকাট, আরিগ্রাউন্ড, ইন্ডিয়ান গ্রাউন্ড ও পাকিস্তানি গাউন। শিশুদের নাইরাকাট, সারারা, গাড়ারা বেশি চলছে। তবে ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে, বিক্রিও ততই বাড়ছে।


 

এসআর

×