ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১

মাঘের হাড় কাঁপানো শীত চুয়াডাঙ্গায়

নিজস্ব সংবাদদাতা, চুয়াডাঙ্গা 

প্রকাশিত: ১৪:২০, ২০ জানুয়ারি ২০২৪

মাঘের হাড় কাঁপানো শীত চুয়াডাঙ্গায়

ঘন কুশায়ায় বিপর্যস্ত জনপদ। ছবি: জনকণ্ঠ

মাঘের কন কনে হাড় কাঁপানো শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা। কয়েকদিন ধরে চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। হাড় কাঁপানো শীতের সঙ্গে বেড়েছে কুয়াশার দাপট আর হিমেল বাতাস।

জেলা আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, শনিবার চুয়াডাঙ্গায় সকাল ৯ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ৯৭ শতাংশ। জেলায় চলতি শীত মৌসুমে সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

শীতের সকালে ছিন্নমূল মানুষেরা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। শীতের পাশাপাশি কুয়াশা বেশি সড়ক মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে গাড়ি। এতে দূরপাল্লার পরিবহন চলছে ধীর গতিতে।

এদিকে তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। কৃষি শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না, যাদের পাওয়া যাচ্ছে তাদের দিতে হচ্ছে বেশি টাকা। এতে বেড়ে যাচ্ছে উৎপাদন খরচ।

দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের কৃষক সিরাজুল বলেন, শীতের কারণে জমিতে ধান রোপণের জন্য শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। যারা কাজ করছে তাদের মজুরি বেশি দিয়ে কাজে আনতে হচ্ছে। এতে করে উপাৎদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

দিনমজুর মোতালেব মণ্ডল বলেন, কুয়াশা আর ঠাণ্ডা বাতাসের কারণে কাজে যোগ দিতে পারছি না। এই ঠান্ডা আর বাতাসে কাজ করতে গেলে হাত-পা কোকড়া লেগে যাচ্ছে। আবার কাজ না করলে সংসার চলবে না। খুব কষ্ট করে চলতে হচ্ছে।

শহরতলী দৌলাতদিয়াড় গ্রামের আটোচালক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, দুপুরের আগে মানুষ বাসা থেকে বের হচ্ছে না। সূর্যের দেখা মিলছে না। মানুষের চলাচল কমছে রাস্তায়, তাই ভাড়া কম, কষ্ট করে সংসার চালাতে হচ্ছে।

জেলা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক রাকিবুল ইসলাম জানান, শনিবার চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৭ ভাগ। তবে তাপমাত্রা কমলেও ১০ এর নিচে না নামার সম্ভাবনা রয়েছে।

 এসআর

×