সড়ক প্রশস্তের কাজ করছে শ্রমিকরা
পাবনা থেকে সিরাজগঞ্জ, ঢাকা, গাইবান্ধা, বগুড়া, রংপুর, দিনাজপুর, পঞ্চগড়গামী যাত্রীবাহী বাস ও মাল পরিবহনকারী ট্রাক বেড়ার সিঅ্যান্ডবি মোড় পার না হওয়া পর্যন্ত যেন স্বস্তি নেই। বেশিরভাগ দিনে বিশেষ করে হাটের সময় তাদের দীর্ঘ যানজটের কবলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এভাবেই কয়েক যুগ ধরে বেড়া সিঅ্যান্ডবি দিয়ে যান চলাচল করলেও এখন সে দুর্ভোগের অবসান ঘটতে যাচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ২৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যয়ে বেড়া পাম্পিং ষ্টেশন থেকে বাঘাবাড়ী পর্যন্ত ৪ দশমিক ৭ কিলোমিটার বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ কাম সড়ক পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়ায় যানজট নিরসনে আশার আলো দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। সড়কটি নির্মিত হলে বেড়া থেকে বাঘাবাড়ীর দূরত্ব যেমন ৫ কিলোমিটার কমবে তেমনি বেড়া সিঅ্যান্ডবি মোড় ও বাঘাবাড়ী ৩ মাথা মোড়ের অসহনীয় যানজটের অবসান হবে বলে তারা মনে করছেন।
বেড়া পাউবো সুত্র জানায়, পাবনা সেচ ও পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১৯৮০ সালে বেড়া পাম্পিং স্টেশনে বাঘাবাড়ী পর্যন্ত বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করা হয়। পরে যানবাহন চলাচলের জন্য বাঁধটি পাকা করা হয়। বেড়া পাম্পিং স্টেশন থেকে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়ী ৩ মাথা মোড় পর্যন্ত ৪ দশমিক ৭ কিলোমিটার বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ সড়কটি প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
বর্তমানে শতাধিক অবৈধ দখলদারের স্থাপনা উচ্ছেদ করে পুরোদমে রাস্তা নির্মাণকাজ এগিয়ে যাচ্ছে। এই সড়কটির নির্মাণ শেষ হলে সময় ও জ্বালানি সাশ্রয়ের পাশাপাশি যানজট থেকে বেড়া সিঅ্যান্ডবি মুক্ত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা তুষার আহমেদ সাচ্চু জানান, ৩০ বছর পর এ সড়কটি নির্মাণ করায় যাতায়াত, কৃষিপণ্য পরিবহনসহ সার্বিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। ট্রাকচালক আব্দুর রহমান জানান, বেড়া ও বাঘাবাড়ী মহাসড়কে দীর্ঘকাল অসহনীয় যানজটের শিকার হতে হচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এ সড়কটি চালু হলে তাদের সময় ও জ্বালানি যেমন সাশ্রয় হবে তেমনি যানজটহীন আরামে যাতায়াত করা যাবে।
বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুল কাশেম জানান আশির দশকে বেড়া বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করা হয়। ৩০ বছর পর নতুন করে পুনর্নির্মাণ ও মেরামত করায় এলাকার যানজটসহ যাতায়াতে ব্যাপক পরিবর্তন নুচিত হবে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি আবু সাঈদ জানান বেড়া পানি উন্নয়ন বিভাগের বন্যানিয়ন্ত্রণ সড়ক ও বাঁধের স্লোপ প্রতিরক্ষা কাজ চলছে।
করোনা ও অর্থ বরাদ্দ না থাকায় কাজ কিছুটা দেরী হয়েছে। কাজের অগ্রগতি যথেষ্ট ভালো তাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব হবে বলে তিনি মনে করছেন। বেড়া পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার জানান, এডিপিভুক্ত প্রকল্পের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কাম সড়ক নির্মাণে জন্য এই প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়।