ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

ভূমি দস্যুর অত্যাচারের প্রতিবাদে সাংবাদিক পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: ০৮:২৭, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০

ভূমি দস্যুর অত্যাচারের প্রতিবাদে সাংবাদিক পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব সংবাদাদাতা, লক্ষ্মীপুর ॥ ভূমি দস্যু, সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ী, নারী নির্যাতনকারী সেলিম ও তার বাহিনীর অত্যাচারের প্রতিবাদে বুধবার রাতে লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক মহিউদ্দিন মুরাদের পরিবারের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভূমি দস্যু, সন্ত্রাসী, নারী নির্যাতনকারী, মাদক ব্যবসায়ী সেলিম রেজার নেতৃত্বে মুন্নু, অভি, শিমু, মম, রুমা সুলতানা গং মুরাদ ও তার পরিবারের বাঞ্চানগর মৌজার মূল্যবান ৭৮৬৬ দাগের ১০ শতক পৈতৃক সম্পত্তি জালিয়াতির মাধ্যমে দখলের জন্য এ নির্যাতন চালাচ্ছে। তাদের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে প্রেসক্লাব সভাপতি হোসাইন আহমেদ হেলাল, সহসভাপতি জান্নাতুল ফেরদাউস নয়ন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম স্বপনসহ সাংবাদিকদের এর উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলনে ভূমি দস্যু সেলিম বাহিনীর দখল, নারী নির্যাতন, মাদক, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ওপর বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনান, দৈনিক জনকন্ঠের নিজস্ব সংবাদদাতা মহিউদ্দিন মুরাদ। তাকে সহযোগিতা করেন, এ্যাডভোকেট ইকরাম উদ্দিন পারভেজ, এ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম রতন, শিক্ষা নবীশ আইনজীবি মাহফুজুর রহমান সোহেল, আমিনুর রহমান হেলাল, রায়হান জোবায়ের প্রমুখ। এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে কথিত সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে সাধারণ মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য মঙ্গলবারে শহরের ব্যক্তিগত একটি অফিসে সাংবাদিক মুরাদ ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্মান হানির জন্য মিথ্যা কথার ফুল ছড়িয়ে সেলিম বাহিনী কথিত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাব সভাপতি হোসাইন আহম্মদ হেলাল ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক, সিনিয়র সাংবাদিক মহিউদ্দিন মুরাদসহ অন্যান্য সাংবাদিকরা সেলিম রেজার কথিত সংবাদ সম্মেলনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। উল্লেখ্য, সম্প্রতি নিজেদের ভূমি থেকে কাছ কাটা বাধা দেয়ায় সেলিম গং মুরাদের ভাতিজা এ্যাডভোকেট ইকরাম উদ্দিন পারভেজ ওপর হামলা করে হত্যার চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় এ্যাডভোকেট ইকরাম উদ্দিন পারভেজ বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলা দায়েরের পর সেলিম রেজা, ছেলে শিমু, ছোট ভাই মুন্নুকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়। পরে ওল্টো সেলিম রেজা স্ত্রী রুমা সুলতানাকে দিয়ে পাল্টা আরেকটি মিথ্যা ঘটনার নাটক সাজিয়ে মোট অংকের বিনিময়ে সদর হাসপাতাল থেকে ভুয়া এমসি সংগ্রহ মুরাদসহ পরিবারের সবাইকে জড়িয়ে আরেকটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। মামলার প্রধান সাক্ষী করা হয়, তারই ভাতিজা ইয়াবা ব্যবসার প্রধান এজেন্ট পুলিশের হাতে বেশ ক’বার গ্রেফতারকৃত জেলখাটা অভিকে। তার পিতার নাম রোকন উদ্দিন। মামলার অন্যান্য সাক্ষীও ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে। বর্তমানে সেলিমসহ অন্য আসামীরা জামিনে এসে আরো মিথ্যা মামলাসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি এবং প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। একই সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে সেলিম গংদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে সেলিমসহ হার তার লালিত ভূমি দস্যু, সন্ত্রাসী, নারী নির্যাতনকারী ও মাদক বাহিনীর কবল থেকে রক্ষার দাবী সাংবাদিক মহিউদ্দিন মুরাদের পরিবারের। সংবাদ সম্মেলনে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।
×