ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর পদ্মানদী পরিদর্শন

প্রকাশিত: ০৪:৩৭, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর পদ্মানদী পরিদর্শন

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহী শহরকে নিরাপদ এবং দৃষ্টিনন্দন রাখার জন্য যা যা প্রকল্প গ্রহণ করা দরকার তা করা হবে বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। রাজশাহীর পদ্মা নদীর টি-বাঁধ থেকে পবা উপজেলার সোনাইকান্দি পর্যন্ত পদ্মা নদীর পাড় পরিদর্শন কালে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এ কথা বলেন। এ সময় তার সঙ্গে সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা উপস্থিত ছিলেন। আজ মঙ্গলবার সকালে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী প্রথমেই নগরীর সীমান্ত অবকাশ এলাকায় পদ্মা নদীর তীর পরিদর্শনে যান। এরপর তিনি টি-বাঁধ এলাকা থেকে একটি বোটে চড়ে সোনাইকান্দি পর্যন্ত পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বুলনপুর, হাড়ুপুর ও নবগঙ্গা এলাকায় নদীর পাড়ে বাঁধ নির্মাণ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। যেসব এলাকায় এখনও বাঁধ নির্মাণ করা হয়নি সেগুলোর জন্য প্রকল্প গ্রহণের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা ও সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন প্রতিমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন। রাজশাহীর এ দুই জনপ্রতিনিধি কিছু পরিকল্পনার কথাও জানান। এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাজশাহী শহরকে নিরাপদ এবং দৃষ্টিনন্দন রাখার জন্য যা যা প্রকল্প গ্রহণ করা দরকার তা করা হবে। এর আগে নদী ড্রেজিং, শহর রক্ষা বাঁধ সম্প্রসারণ ও খাল পুনঃখনন নিয়ে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিমন্ত্রীকে দুইটি ডিও লেটার দেন রাসিক মেয়র লিটন। ডিও লেটারে মেয়র উল্লেখ করেন, রাজশাহী জেলাসহ পাশর্^বর্তী কয়েকটি জেলার অর্থনৈতিক কর্মকান্ড আবর্তিত হয় পদ্মা নদীকে কেন্দ্র করে। নদীর নাব্যতা সংকটের কারণে এ অঞ্চলের শিল্পের প্রসার ঘটছেনা। ফলে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ব্যহত হচ্ছে। নদী খনন করে নাব্যতা বৃদ্ধিসহ একটি নদী বন্দর প্রতিষ্ঠা করা একান্ত জরুরী হয়ে পড়েছে দেশের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে। এখানে নদী বন্দর প্রতিষ্ঠা হলে উভয় দেশের মধ্যে স্বল্প ব্যয়ে নৌ-পথে বিভিন্ন মালামাল পরিবহন সম্ভব হবে। শুধু তাই নয়, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে, ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং বেকার সমস্যারও সমাধান হবে। মেয়র উল্লেখ করেন নদীবন্দর প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার ধুলিয়ান হতে বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী হয়ে পাবনা জেলার রূপপুর পর্যন্ত পদ্মা নদীর এই চ্যানেলটি খনন করা আবশ্যক। এছাড়া বৃহত্তর রাজশাহীকে শিল্পোন্নত অঞ্চল হিসেবে রূপদানের জন্য রাজশাহীতে একটি নদীবন্দর প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে চ্যানেলটি খননের জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় হতে একটি প্রকল্প নেয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সহযোগিতা কামনা করেন মেয়র। এ সময় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদুল ইসলাম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মাহফুজুর রহমান, উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আমিরুল হক, নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ সাহিদুল আলম, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আসিফ আহমেদ, সহকারী প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
×