স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ কিশোরীকে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় এক যুবকের পায়ে শিকল বেঁধে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার পূর্ব গোয়াইল গ্রামে। মঙ্গলবার বিকেলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বাশাইল গ্রামের গৌরাঙ্গ লাল মুন্সীর পুত্র সুমন মুন্সীর সঙ্গে এক বছর পূর্বে পরিচয় হয় পার্শ্ববর্তী পূর্ব গোয়াইল গ্রামের অমিয় মধুর মেয়ে গোয়াইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী সাথী রানীর। পরিচয়ের সূত্রধরে ১৪ মে সন্ধ্যায় সাথীর বাড়িতে যায় সুমন। এসময় স্থানীয় কতিপয় যুবক সুমনকে আটক করে জোরপুর্বক সাথীর সঙ্গে বিয়ে পড়িয়ে দেয়। বিয়েতে সুমন অস্বীকৃতি জানানোয় সাথীর বাবা অমিয় মধু ওইদিন থেকে সুমনের পায়ে শিকল দিয়ে ঘরের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রেখে মঙ্গলবার পর্যন্ত শারীরিক নির্যাতন চালায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, শারীরিক নির্যাতনের একপর্যায়ে সুমন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে সাথীর বাবা স্থানীয় ডাক্তার দিয়ে সুমনের চিকিৎসা করান। খবর পেয়ে সুমনের পিতা ওই বাড়িতে গেলে তাকে ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করা হয়। হুমকির মুখে তিনি আইনী সহায়তা নিতে পারছেন না।এ ব্যাপারে আগৈলঝাড়া থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
নওগাঁয় আমে পচন ॥ পোকায় চাষীরা দিশেহারা
নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ১৯ মে ॥ আর ক’দিন পরেই পাকা আম গাছ থেকে নামানো হবে। এর আগ মুহূর্তে আমে পচন ও পোকার আক্রমণ দেখা দেয়ায় বরেন্দ্র অঞ্চল খ্যাত নওগাঁর পোরশার আম চাষীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। এ অবস্থায় আম চাষীরা গাছে ছত্রাকনাশক বিভিন্ন ওষুধ প্রয়োগ করেও কোন ফল পাচ্ছেন না। আমের ভর মৌসুমে হঠাৎ আমের ফলন বিপর্যয়ে ব্যাপক লোকসানের আশঙ্কা করছেন আমচাষীরা ।
নওগাঁর বরেন্দ্র এলাকা পোরশায় বাণিজ্যিকভাবে আম চাষ গেল ৫/৬ বছর থেকে শুরু হয়েছে। এবার মৌসুমের প্রথমে প্রলয়ঙ্করী কাল বৈশাখীতে আমের ব্যাপন ফলন বিপর্যয় ঘটে। এ অবস্থায় আর ক’দিন পর আম নামানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে আমচাষীরা। ঠিক তার আগ মুহূর্তে আমে দেখা দিয়েছে পচন ও পোকার আক্রমণ। বড় বড় আমে প্রথমে পচন ধরে সেখানে পোকা দানা বেঁধে এক পর্যায়ে আমটি ফেটে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমচাষীরা বলছেন, আমের পচন রোধ করতে বাজার থেকে বালাইনাশক দিয়েও কোন কাজ হচ্ছে না। পোরশার বিষ্ণুপুর গ্রামের আমচাষী ফারুক হোসেন, মোজাম্মেল হক, ইসমাইল হোসেন জানান, আর মাত্র এক সপ্তাহ পরেই আম নামানো শুরু হবে। এর আগ মুহূর্তে আমের গায়ে মাছির দাগ পড়ে সেখানে পচন ধরে আম এক পর্যায়ে ফেটে নষ্ট হচ্ছে। হঠাৎ আম নষ্ট হওয়ার এমন অবস্থায় অনেক বাগান মালিক বেশ চড়া দামে কীটনাশক স্প্রে করে কোন ফল পাচ্ছেন না। বরেন্দ্র এলাকায় লেংরা, গোপালভোগ, ক্ষিরসাপাত, আমরুপালীসহ সুস্বাধু বহু জাতের আম বাণিজ্যিকভাবে চাষ করে আসছেন এলাকার চাষীরা। এবার প্রথম দিকে এসব বাগান বেশ চড়া দামে কিনে আমে পরিচর্যা করে আসছেন তারা। বাগান মালিকরা বলছেন, এবার যে বাগান দু’ লাখ টাকায় কেনা হয়েছে, আমের পোকা ও পচনের কারণে এক লাখ টাকার আমও পাবে না কেউ।