ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রত্যয় জসীম

বাংলাদেশের লোকমেলার বহুমাত্রিক রূপ

প্রকাশিত: ১০:২০, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০

বাংলাদেশের লোকমেলার বহুমাত্রিক রূপ

মেলা বাংলদেশের আবহমানকালের ঐতিহ্য। মেলা বাঙালীর হাজার বছরের লোকসংস্কৃতির বাহন। বাঙালী জাতির আবহমান অনাবিল আনন্দ ও আকর্ষণ মেলা। এ দেশের নদী-নিসর্গ-মাটি-মানুষ সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে আছে মেলার আবাহন। বাঙালীর জীবনে ঐতিহাসিক ঐতিহ্য ও অকৃতিম আশীর্বাদরূপেই মেলার উৎসব আয়োজন। মেলা এলে গ্রামের আবালবৃদ্ধবনিতা সকলের মাঝে আনন্দের ধুম পড়ে যায়। বিশেষ করে বৈশাখ মাস এলেই বেশি মেলা বসে গ্রামে গ্রামে। গ্রামীণ জীবনে খেটেখাওয়া মানুষের যে সকল বিনোদনের উপকরণ বিদ্যমান, মেলা তার মধ্যে অন্যতম, একথা বলা চলে। মেলা সাধারণত কোন খোলা জায়গায় বসে। আবার অনেক সময় বিশাল কোন বটবৃক্ষের নিচেও বসে। বাংলাদেশে প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন আচার, অনুষ্ঠান, লৌকিক ও ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। কখনও পৌষসংক্রান্তি, মাঘোৎসব, চৈত্রগাজন, পয়লা বৈশাখ কিংবা অষ্টমী রথযাত্রা, মাঘীপূর্ণিমা, মুহররম, ডিসেম্বরে বিজয়মেলাসহ বারোমাসের নানা তাৎপর্য নিয়ে মেলা বসে। লোকসংস্কৃতির বিশাল উপাদান নববর্ষ বরণে বাঙালীর রয়েছে বেশ পুরনো ঐতিহ্য। নগর জীবনে অনেকের কাছে বাংলা সন-তারিখ অনেকটা অনুষ্ঠানসর্বস্ব হলেও ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের বাংলাদেশের গ্রামীণ সমাজে আজও দিন-ক্ষণ নিরূপণে বাংলা মাসই একমাত্র সহায়। নববর্ষের প্রথম দিনে গ্রামবাংলার ব্যবসায়ীরা খোলেন নতুন হালখাতা, ঘনিষ্ঠদের মিষ্টিমুখ করার রেওয়াজ রয়েছে। আর নববর্ষের অনিবার্য অনুষঙ্গ বৈশাখী মেলা বসে গ্রামে-গঞ্জের আনাচে-কানাচে। এ উৎসবের প্রকৃতি সর্বজনীন। সকল দুঃখ ভুলে অনাবিল উল্লাসে সকল ধর্ম ও সম্প্রদায়ের লোক মেলায় অংশ নেয়। মানুষের ভেতরের অন্তর্নিহিত মানুষটি যে মানুষের প্রেম, আনন্দ, ভালবাসা, সুখ, দুঃখ, বেদনার অংশীদার হতে চায় গ্রামীণ লোকমেলাগুলো তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। আগে গ্রামীণ মেলা বসত শীতকালে। গ্রামীণ মেলার আবহ আজ শহুরে নাগরিক জীবনেও এসে দোলা দিয়েছে। বাংলা একাডেমির মাসব্যাপী অমর একুশের বইমেলা তো বাংলাদেশ তথা বাঙালীর প্রধান প্রাণের ও জ্ঞানের মেলায় পরিণত হয়েছে। সব ধরনের মানুষের মহামিলনই প্রধানত মেলার আসল বৈশিষ্ট্য। পহেলা বৈশাখে সারাদেশে প্রায় প্রতিটি জেলা, থানা এমনকি গ্রামে বসে বৈশাখী ও লোকমেলা। বিনোদন আর উল্লাস আনন্দের জন্য মেলার আয়োজন হলেও মানুষে মানুষে সম্প্রীতি আর মেলবন্ধন সৃষ্টি হচ্ছে লোকমেলার মূল উদ্দেশ্য। সোনারগাঁও লোকশিল্প প্রাঙ্গণের লোকমেলা সোনারগাঁও লোকশিল্প জাদুঘর প্রাঙ্গণে শীতকালে বিশেষ করে জানুয়ারিতে মাসব্যাপী বসে লোকমেলা। এ মেলার প্রধান প্রবণতা হলো বাঙালীর লোকসংস্কৃতির নাগরিক উত্থান। লোকসংস্কৃতির নানা আয়োজন ও আবাহন এই মেলা বাংলাদেশ তো বটেই বিশ্বের অন্যতম লোকমেলার মর্যাদা পেয়েছে। আমার জানা মতে সোনারগাঁওয়ের এই লোকমেলায় যে পরিমাণ লোকসমাগম ঘটে তাও একটি দৃষ্টান্ত বলা চলে। আমরা যতই আধুনিক হই না কেন, ভেতরের বাঙালিয়ানা ও নিজস্ব সংস্কৃতিকে জানতে হলে, বুঝতে হলে লোকসংস্কৃতির বিশাল উপাদানে ঘেরা এসব লোকমেলাকে উপেক্ষা করার উপায় নেই। বাঙালীর চিরায়ত অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিকাশে এসব লোকমেলার রয়েছে বিশেষ অবদান। বাংলাদেশের বিখ্যাত কিছু লোকমেলা বিশেষ করে বৈশাখ এলেই বাংলাদেশে মেলার ধুম পড়ে যায়। শুকনো মৌসুমে মেলার বেশি আয়োজন হয়ে থাকে; তবে বৈশাখকে ঘিরেই সবচেয়ে বেশি লোকমেলা অনুষ্ঠিত হয়। এখানে জেলাওয়ারি কিছু মেলার নাম দেয়া হলো। বৃহত্তর ঢাকা জেলায় মেলা অনুষ্ঠিত হয় সবচেয়ে বেশি যেমন, সুবাদ্য, কাওরাইদ, মিরপুর, দাইগাঁও, কোলারটেক, সাওরাইল, পলতামারা তালতলা, শ্যামসিদ্ধি, ভাগ্যকলি, কুকুটিয়া, রাজনগর, বরইখালি, শেখনগর, সিরাজদীঘা, পারুলিয়া, ইছাপুর, গাওদিয়া, বারুদি ও নাগেরহাট। নোয়াখালীতে বিজয়মেলা, ফকির চাঁড়–মিজিশাহ মেলা, নলদিয়া মেলা, চৌমুহনী রামবাই মেলা, চন্দ্রগঞ্জ মেলা, সোনাপুর মেলা, বিনোদপুর বটতলা মেলা। বরিশালে- চাঁদশী, বানীপাড়া, গৌরনদী, উজিরপুর টরকী, বাটাজার বাবুগঞ্জ, পাতারহাট, মোরাকটি ও ফুলবাড়ী মেলা। পটুয়াখালীতে- কনকদিয়া, কালাইয়ারবন্দর, কালিকাপুর, চন্দখালী, বাউফল ও ফুলতলা মেলা। ফরিদপুর- তিতুরকান্দি, ভুজেশ^র, মহিসার, শিউলাপার্টি, বিলাসখান, মনোহর, লাকসীমিকুলা, গোহর ও কোটালী পাড়া মেলা। কুষ্টিয়া-ছেঁউড়িয়া লালন মেলা ও থানাপাড়া মেলা। যশোর-ভুলু দেওয়ান ও বরাদিলহ মেলা। খুলনা-শান্তিখাস, আন্দারমানিক, খাসেরহাট, খোপাখালি, ছাগলদহ মেলা। ময়মনসিংহ- কটিয়াদি, শম্ভুগঞ্জ, অষ্টমীর, ফুলপুর, মোহনগঞ্জ, নান্দাইল, কেন্দুয়া, মিঠামইন, কুলিয়ারচর, বাজিতপুর, ভৈরব ও ইটশনা বাজার মেলা। টাঙ্গাইল- বল্লাপালপাড়া, নগরপুর ও বেকড়া মেলা। জামালপুর- তিলকান্দি, ঝিনাইগাতি, পাঁচজুড়া ও ইসলামপুর মেলা। রংপুর- রাজবিরাট, মনোহরপুর, নলডাঙ্গা, সিন্দুরমতি, ধামশ্রেণি কুড়িগ্রাম, ভরতখালী ও জাংগলা বারণী মেলা। দিনাজপুর- জোষ্ট, ভোলাকালী, রাশিগঞ্জ, বেলবাড়ি, পুলপুর, কমলাদীঘি, পাক চরগাতি, পশ্চিম সিতারা, কুতুবডাঙ্গা, পাইকার ফুলপুর, পীরগঞ্জ, সেকনদার মেলা। কুমিল্লা- কান্দিরপাড়, রাণীরবাজার ময়নামতি, গাজীর দরগা, হাফগঞ্জ, পুনরা, সিদলাই চান্দনা, ধরখার, দুলালপুর, শুভপুর, সাহার বাজার, কেমতলী, বরুড়া, বাকাইল, কসবা, সিদ্ধেশ^রী ও বোল্লা মেলা। চাঁদপুর- পদুয়া, বলখাল, মঠখোলা, মহামায়া, কালীগাছতলা, মেহার, রূপসান, বালুরমাঠ, চরমুগিয়া মেলা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ভোলাচং নবগ্রাম, কালীবাড়ি, নাসির নগর, সরাইল, ভাদুঘর, গোকর্ণঘাট ইত্যাদি মেলা। চট্টগ্রাম- বিজয় মেলা, ডিসিহিলের বৈশাখ মেলা, লালদীঘির ময়দান, শীতাকু-, চাঁদগাঁও, পটিয়া, বাড়বকুন্ড ও মহামুনি মেলা। পার্বত্য চট্টগ্রাম- বিজু বা বৈশাখী মেলা, চিৎমরম মেলা। এর বাইরেও বাংলাদেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও বহু বৈশাখী ও লোকমেলার আয়োজন করা হয়। শহুরে জীবনে এ মেলার প্রভাব তেমন না পড়লেও গ্রামীণ জীবনে এসব মেলার রয়েছে সুদূরপ্রসারী সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক তাৎপর্য। মেলার যে এই চিরায়ত বহুমাত্রিক আবাহন তাকে কোন অংশেই ছোট করে দেখার অবকাশ নেই। লোকমেলার গুরুত্ব লোকমেলা ও বৈশাখকে ঘিরে সারাদেশে যে মেলা অনুষ্ঠিত হয় তার রয়েছে সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব। এটি কেবল বার্ষিক আয়োজন নয়, আমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম বাহন হিসেবেও কাজ করছে। কী বিপুল ও বিচিত্র উপাদানে সমৃদ্ধ আমাদের লোকসংস্কৃতি, তা মেলা পর্যবেক্ষণ করলেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এই মেলা দলমত নির্বিশেষে সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়। এ উৎসব অসাম্প্রদায়িক চেতনার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। একটি বৈষম্যমুক্ত, উদার, আধুনিক ও ঐতিহ্যবাহী সমাজ নির্মাণ ও বাঙালী সংস্কৃতির বিকাশে লোকমেলার তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। মেলা আমাদের বাঙালীর লোকসংস্কৃতিকে উজ্জীবিত করে। অনুভবের সুযোগ পাই নতুন করে- আমরা সবাই বাঙালী। বর্ণ, গোত্র, সম্প্রদায়, গোষ্ঠী, ধর্ম, ক্ষুদ্র জাতীয়তাবাদÑ এসব কিছুর মূলে কুঠারাঘাত করতে পারে লোকমেলার মতো সর্বজনীন উৎসব। লোকমেলার অর্থনৈতিক দিক বাংলাদেশের গ্রামগঞ্জে কৃষক, তাঁতি, কামার, কুমোর, ময়রা, স্যাকরা এবং শিল্পী ও কারিগর যেসব সামগ্রী তৈরি করে, মেলায় তা প্রদর্শন ও বিক্রির সুযোগ পায়। গ্রামীণ কৃষিজাত পণ্য, কুটির শিল্পজাত পণ্য, মিষ্টান্ন দ্রব্য, মাটির তৈরি শিল্পসামগ্রী প্রভৃতি নিয়ে ছোট ছোট ব্যবসায়ী দোকান সাজায় মেলায়। বাঁশ ও তালপাতার রঙিন বাঁশি, ভেঁপু, ডুগডুগি, একতারা, দোতরা, বেলুন, লাটিম, মার্বেল, ঘুড়ি- লাটাই, চরকি, পুতুল, কাঠের ঘোড়া, মাটির ঘোড়া, কাঠ, কাগজ-বাঁশের পাখি, মাটির হাঁড়ি-বাসন, কলস, পুঁতিরমালা, কাঁচের চুরি আরও কত জিনিসের পসরা সাজিয়ে বসে দোকানিরা। এছাড়া আছে কাঠের আসবাবপত্র, খাট-পালঙ্ক, চেয়ার, টেবিল, চৌকি, আলনা, আলমারি, পিঁড়ি, ঢেঁকি ছাড়াও পাওয়া যায় পিতলের হাঁড়ি-কলস, বাসনকোসন, লোহার দা, বঁটি, খন্তা, কুড়াল, লাঙ্গল, জোয়াল। ময়রারা তৈরি করে নানা মিষ্টান্নদ্রব্য খাজা, গজা, ম-া, ছাঁচের মিঠাই, বাতাসা, কদমা, জিলিপি, নকুলদানা এসব আগে যেমন ছিল, এখনও মেলার প্রচলিত রীতিকে ধরে রেখেছে। মুড়ি, মুড়কি, খই, চিড়ে, মোয়া, তিলের খাজা, লাড্ডু, বুট, চানাচুর, মটরভাজা এসব আজও মেলার প্রিয় খাবার। এক কথায় নানা পণ্য বিপণনের এক অনন্য গণহাট হয়ে ওঠে লোকমেলা। তাঁতিরা নিয়ে আসে নক্সা করা পাড়ের শাড়ি, ধুতি, লুঙ্গি, গামছা এসব। স্যাকরার দোকানে মেয়েরা ভিড় জমায় রূপা, তামা ও পিতলের গহনা কিনতে। এভাবে হাজার বছর ধরে গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশে মেলা অনন্য ভূমিকা রাখছে যা বাঙালীর সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক অবস্থাকেও প্রভাবিত করে আসছে। মেলাকে ঘিরে নাগরিক আয়োজন একসময় মেলার প্রধান ক্ষেত্র ছিল গ্রাম। তিন নদীর মিলনস্থল, পথের তেমাথায়, বিস্তৃত ফাঁকা মাঠ, বিশাল বটগাছ, অথবা অশ^ত্থ গাছের নিচে বসত বৈশাখী ও নানা লোকমেলা। কালক্রমে মেলার স্থান গ্রাম ছাড়িয়ে শহরেও প্রসারিত হয়েছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলা নববর্ষ আমাদের জাতীয় উৎসবের দিন হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। আর তাই পহেলা বৈশাখ বর্ষবরণ ও নানা সাংস্কৃতিক উৎসব সারাদেশে প্রসার লাভ করে। ধীরে ধীরে রাজধানী ঢাকায় নববর্ষ উদযাপনের রীতি চালু হয়। এখন তো রমনার ছায়ানটের আয়োজন, চারুকলার নববর্ষ র‌্যালি জাতীয় আয়োজনে পরিণত হয়েছে বলা চলে। এছাড়া বাংলা একাডেমি, নজরুল একাডেমি, শিল্পকলা একাডেমি, লোকশিল্প জাদুঘর প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে লোকমেলা উদযাপিত হয়ে আসছে। মেলা বিনোদনের উৎস প্রাণহীন, নিস্তেজ আর নিস্তরঙ্গ গ্রামীণ জীবনে মেলা আসে আনন্দ বিনোদনের বার্তা নিয়ে। যেন এলোকেশী কিশোরীর উদ্দামতা নিয়ে আসে বাঙালীর জীবনে। মেলায় এসে মানুষ আনন্দ উপকরণ খোঁজে, যাত্রা, পালাগান, কবিগান, জারিগান, গম্ভীরা, কীর্তন, বাউলগান, পুতুলনাচ, জারিয়াল নাচ, লাঠিয়াল নাচ, সার্কাস এসব লোকমেলার প্রধানতম সাংস্কৃতিক দিক। এছাড়া মেলায় থাকে বলিখেলা। জব্বারের বলিখেলা প্রতিবছর ১২ বৈশাখ চট্টগ্রাম লালদীঘির ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়। এটা খুব বিখ্যাত। হা-ডু-ডু, কুস্তি, লাঠিখেলা, ঘুড়ি ওড়ানো, মোরগের লড়াই, ষাঁড়ের লড়াই, ঘোড়দৌড়, হালদৌড়, বানরের খেলা, গান বাজনাসহ নানা ধরনের চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা থাকে লোকমেলা ঘিরে। আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় মেলা এক তাৎপর্যপূর্ণ অনুষ্ঠান। ঐতিহ্য এবং আধুনিকতার সমন্বয় ঘটছে এসব লোকমেলায়। আধুনিক নগরসভ্যতা ও প্রযুক্তির ব্যবহার আবহমান বাংলার লোকায়ত শিল্পের ধারাকে ম্লান করে দিলেও, এটা আমাদের মনে রাখতে হবে যে বাঙালীর লোকায়ত শিল্প-সংস্কৃতিই বাঙালীর আসল গৌরব, আমাদের মর্যাদা আর স্বকীয়তার প্রতীক। লেখক : কবি, সভাপতি, বাংলাদেশ রাইটার্স ফাউন্ডেশন [email protected]
×