ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামের আদালতে চাঞ্চল্যকর তথ্য

প্রকাশিত: ১১:০০, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০

 চট্টগ্রামের আদালতে চাঞ্চল্যকর  তথ্য

মাকসুদ আহমদ, চট্টগ্রাম অফিস ॥ মুক্তিযোদ্ধা ছাড়াও অর্ধডজন হত্যাকান্ড এবং হত্যার শিকার মুক্তিযোদ্ধার দুই ছেলের চোখ খেজুর কাঁটা দিয়ে উপড়িয়ে ফেলার মতো ঘটনা ঘটিয়েছে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার আইয়ুব বাহিনীর প্রধান আইয়ুব আলী। আইয়ুব বাহিনীর এই প্রধানকে শেষ পর্যন্ত গত বছরের ৫ অক্টোবর প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেছে মহসিন ও তার দলের লোকেরা। পিবিআইর তদন্তে বেরিয়ে এসেছে খুনের মামলার আসামি আইয়ুব আলী খুন হয়েছে গত বছরের অক্টোবরে। হত্যাকান্ডের শিকার আইয়ুব আলী আরও বড় খুনী। তবে পূর্ব বিরোধের জের ধরে ভিকটিম আইয়ুব আলী হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি মহসিন এবং হাছান। তবে মহসিন ও হাছানের পিতা আব্দুস সাত্তার তালুকদারকে ১৯৮৭ সালে দিনদুপুরে জবাই করে নির্মমভাবে হত্যা করে আইয়ুব আলী। ফলে পিতা হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য এজাহারনামীয় আসামি মহসিন এবং হাছান বিভিন্নভাবে পরিকল্পনা করতে থাকে। দীর্ঘদিন পর তারা অত্র মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামিদের ভাড়াটে খুনী হিসাবে ঠিক করে আইয়ুবকে প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করতে সক্ষম হয়। এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে গ্রেফতারকৃত মহসিন। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্তকালে ভিকটিম আইয়ুব আলীর বিরুদ্ধে এক ডজনের উপরে হত্যাকান্ডসহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত করার অভিযোগ পেয়েছে। ভিকটিম আইয়ুব আলী ১৯৮৫ সালে সাবেক মেজর ওয়াদুদকে, ১৯৮৬ সালে রাঙ্গুনিয়ার মেহেরুজ্জামানকে, ১৯৮৯ সালে রাঙ্গুনিয়ার মেহেরুজ্জামান নামে আর এক ব্যক্তিকে, ১৯৯১ সালে রাঙ্গুনিয়ার মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সোবহান হত্যাকান্ড, একই সালে রাঙ্গুনিয়ার গফুরকে হত্যা, ১৯৯২ সালে রাঙ্গুনিয়ার নুরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা করে। ১৯৯১ সালে রাঙ্গুনিয়ার মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সোবহান হত্যাকান্ডে বিজ্ঞ আদালতে সাক্ষ্য দিতে যাওয়ার সময় মৃত আব্দুস সোবহানের ২ পুত্র কবির ও সবুরকে পথিমধ্যে আটক করে খেজুর কাঁটা দিয়ে তাদের চোখ উপড়ে ফেলার মতো ঘটনা ঘটিয়েছে আইয়ুব আলী।
×